নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

স্পষ্টবাদী

আমার দেশ বাংলাদেশ

স্পষ্টবাদী

আমার দেশ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিপ্লোমাদের দাবির চুলচেরা বিশ্লেষণঃ সবাই পড়ুন [ গন পোষ্ট ]

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন গত বছর থেকে দুই/তিন দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন করছে। পাঠক, কি তাদের দাবি?? কি হবে যদি এই দাবি বাস্তবায়িত হয়??

আসুন একটু ধর্য্য ধরে পড়ুন।-

যে দুই দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন -

(তাদের লিফলেট থেকে প্রাপ্ত)

১) বেতন বৈষম্য ও পেশাগত সমস্যা সমাধানে সরকারের দুটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা।

২) দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে টাইমবার পদোন্নতি প্রথা প্রবর্তনসহ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসকে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাগ করে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী ডিগ্রিধারী ইঞ্জিনিয়ারদের ডেস্ক এবং ডিপ্লোমাদের ফিল্ডের দায়িত্ব প্রদান এবং সব প্রশাসনিক পদে কারিগরি পেশাজীবীর নিয়োগ বন্ধ করে জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকদের নিয়োগ দেওয়া।



দাবি মাত্র দুটি হলেও এই দুই দাবির মধ্যে যাবতীয় সব দাবি লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এই দুটি দাবির মধ্যে দেশের প্রকৌশল সেক্টরে মেধার অবমূল্যায়ন করে এই সেক্টরকে ধ্বংস করার রূপরেখা তৈরি করা আছে।

(মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাথমদিকে তাদের দাবি দাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দেন। মন্ত্রণালয় থেকেও এসব দাবী বিবেচনার সুপারিস করা হয় পরবর্তিতে তাদের দাবিগুলো পর্যালচনার পর সঙ্গত কারণেই প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

পাঠক লখ্যকরুন, তারা এখন তাদের ১ নং দাবী সরাসরি জনগণের কাছে না বলে মন্ত্রণালয়য়ের সুপারিস এবং প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কথা বলে বেড়াচ্ছেন। ওই অযৌক্তিক দাবী জনগণকে বললে কেউ তা সমর্থন করবেনা সেটা তাদের ভালোই জানা আছে। )



দেখুন তাদের ১নং দাবি বাস্তবায়িত হলে কি হবে?

আপনারা জানেন, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে “প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড” পদে সরাসরি নিয়োগ পেতে হলে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে BSc ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে (প্রায় দুই লাখ মেধাবী প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে) দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ পেতে হয়।

ডিপ্লোমাদের দাবি বাস্তবায়িত হলে গেজেটেড পদের ৫০% ডিপ্লোমাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ যদি “প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড” পদে ১০০ জন নিয়োগ দিতে হয় তবে ৫০ জন- BSc ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আসবে, আর বাকি ৫০ জন- ডিপ্লোমারা প্রমোশন পেয়ে আসবে।

পৃথিবীর সবখানে এই হার যখন ০% এ নামিয়ে আনা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে এটা কি হচ্ছে???



(এমন হলে ডিপ্লোমারা SSC পাস করে নিকটস্থ কোন পলিটেকনিকে পড়ে একটি ২য় শ্রেণীর পদে ঢুকে দিন গুনবে কখন ৫০% কোটায় তারা ১ম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার হবে। অপরপক্ষে, সাধারণ ছেলেমেয়েদের কষ্ট HSC তে ভালো রেজাল্ট করে, ভর্তিযুদ্ধে লড়াই করে “প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে” পড়ে এবং ধৈর্যের পরীক্ষা “বিসিএস” পাড়িদিয়ে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড পদে এসে দেখবে ৫০% পদে ডিপ্লোমা !!!)

বেতন বৈষম্য বলতে আসলে কি বোঝাচ্ছে তা যেনে নিন। একজন “বিসিএস ক্যাডার প্রথমশ্রেণীর অফিসার” ৯নং গ্রেডে যে স্কেলে বেতন পান, একজন ডিপ্লোমা ১০ম গ্রেডে (২য় শ্রেণীর স্কেল) বেতন পায় প্রথম শ্রেণীর চেয়ে মাত্র ৩ হাজার টাকা কম স্কেলে।

তারা চাচ্ছেন পোষ্ট ২য় শ্রেণীর রেখেই তাদের প্রথম শ্রেণীর অফিসারদের মত ৯ম গ্রেডে বেতন দেয়া হোক।



এখন দেখি তাদের ২য় দাবি বাস্তবায়িত হলে কি হবে?

২য় দাবিটির কয়েকটি অংশ আছে।

প্রথম অংশঃ “দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে টাইমবার পদোন্নতি প্রথা প্রবর্তনঃ”

তাদের টাইমবার পদ্ধতির মূল কথা হচ্ছে- একজন Diploma ধারী ২য় শ্রেণীর চাকুরী করে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হলেই তাকে BSc ইঞ্জিনিয়ারিং পদের যোগ্য বিবেচিত করে প্রমোশন দিতে হবে।

>> ২য় দাবির ২য় অংশঃ “ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসকে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাগ করে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী ডিগ্রিধারী ইঞ্জিনিয়ারদের ডেস্ক এবং ডিপ্লোমাদের ফিল্ডের দায়িত্ব প্রদানঃ”

খুবই মজার দাবি। আচ্ছা বলুন তো, ইঞ্জিনিয়াররা ডেস্কে বসে থাকলে ইঞ্জিনিয়ারিং কিভাবে হয়?? একটি বড় প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার, সেফটি ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি অনেক পোষ্ট আছে। বিশ্বে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের ৮০% গ্রাজুয়েট বা PHD ইঞ্জিনিয়াররা ফিল্ড বা প্রজেক্টে প্রোডাকশন ওরিয়েন্টেড কাজ করে।

বাংলাদেশের গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের ডেস্কে বসিয়ে আমলা বানিয়ে পুরো ইঞ্জিয়ারিং সেক্টর ডিপ্লোমাদের দিয়ে দিলে এই দেশের ভবিষ্যৎ কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।

২য় দাবির শেষ অংশঃ “প্রশাসনিক পদে কারিগরি পেশাজীবীর নিয়োগ বন্ধ করে জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকদের নিয়োগ দেওয়া”

বন্ধুরা, প্রশাসন মানেই কিন্তু মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন নয়। রাষ্ট্রীয় উচ্চ পদে এবং বিশেষ কিছু নিতিনির্ধারক পদে বা অধিদপ্তরে (যেমন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়য়) বা বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গের উপদেষ্টা হিসেবে পেশাজীবী অভিজ্ঞ লোকজন দরকার হয়। অনেক পেশাজীবীই তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে সচিবালয়ে এবং নিতিনির্ধারক পদে কাজ করে থাকেন। দেশে অনেক পেশাজীবী সংসদ সদস্যও আছেন। এতে দেশের সার্বিক লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। খুবই যুক্তিসঙ্গত কারনে এসব পদে উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশলীরাই যায়। সঙ্গত কারণেই এখানে ডিপ্লোমাদের সুযোগ নেই।

ডিপ্লোমারা নিজেদের ইঞ্জিনিয়ার দাবি করছে অথচ প্রতিহিংসা বশত তারা আন্দোলন করছে যেন কোন ইঞ্জিনিয়ারকে নিতিনির্ধারক পদে যেতে না দেয়া হয় !!! কি অদ্ভুত মানসিকতা!!!



পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ

প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের এই ছোট গরিব দেশ। এটা সত্যি যে এই দেশের প্রকৌশল সেক্টর ইউরোপ, আমেরিকা বা জাপানের মত উন্নত হয়ে যায়নি। এদেশে সবারই সীমাবদ্ধতা আছে। এদেশে মিস্ত্রি দিয়ে ৩-৪ তলা ভবন তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এর পরও বাবা-মায়েরা স্বপ্ন দেখে তাদের সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত বানাবে। ডাক্তারি, ইঞ্জিয়ারিং বা BBA, MBA পড়াবে। আমরা এমন কোন দাবী সমর্থন করবনা যাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী না হয়ে SSC পাস করার পর একটি ডিপ্লোমা করে জীবন কাটিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদেশে এখন হাজার হাজার গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার বেকার।

একটু ভেবে দেখুন, “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং” পাস করে যদি কেউ বলে যে তাকে টাইমবার পদ্ধতিতে নির্দিস্ট সময় পর গ্রাজুয়েট ডাক্তারের পদে প্রমোশন দিতে হবে তখন কি অবস্থা হবে??

বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী এবং ডেমনেস্ট্রেটররা কিছুদিন পর প্রভাষক পদে প্রমোশন চাইবে !!



( সরকারী গেজেট অনুসারে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রীধারী ও আইইবি'র সদস্য হওয়া সাপেক্ষে নামের পূর্বে Engr. লিখতে পারবেন বলে উল্লেখ আছে । এটি আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।

আমাদের দেশে অন্যান্য পেশাজীবি যথাঃ ডাক্তার, আইনজীবি, ইত্যাদি পেশাজীবিগণ সংশ্লিষ্ট স্নাতক ডিগ্রী ছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি পরিচয় নামের সাথে ব্যবহার করতে পারেন না।)



ডিপ্লোমা ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ

ভাই, আপনারা ১৫/১৬ বছর বয়সে আর্টস/সায়েন্স/কমার্স থেকে SSC পাস করেছেন। এর পর পলিটেকনিকে গিয়ে ২০/২১ বছর বয়সে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এত অল্প বয়সে চাকুরী করতে না গিয়ে গ্রাজুয়েশনটা করেই ফেলুন। এদেশে এখন সাধারণ মানের ছাত্ররাও অনার্সে ভর্তি হয়ে মাস্টার্স পর্যন্ত সহজেই পড়ালেখা করে। আপনরা HSC সমমানের সার্টিফিকেট নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেবার কথা ভাবছেন কেন??

আর্থিক সমস্যা থাকলে কয়েক বছর চাকুরী করে নিন, এর পর শুরু করুন। এখন দেশে অন্তত ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে সারাদিন চাকুরী করেও সন্ধ্যার পর ক্লাস করে অনেকে গ্রাজুয়েশন করছে। এছাড়া গাজীপুরে DUET আছে, IEB থেকেও গ্রাজুয়েশন করানো হয় AMIIE এর মাধ্যমে।

এছাড়া আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানদের কথা ভাবুন। আপনার ছেলে/মেয়ে যদি কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখে তখন তাকে কি পলিটেকনিকে পাঠাবেন? নাকি তাকে একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার চেষ্টা করবেন?? আমি নিশ্চিত আপনি ২য় টাই করবেন।

তাই, এসব অযৌক্তিক দাবি করে নিজেদের ভবিষ্যৎ সন্তানদের অধিকার হরণ করবেন না।



সব শেষেঃ

ডিপ্লোমা ভাইয়েরা, আপনারা “প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড” পদ চাইলে পিএসসির কাছে আন্দোলন করুন যেন আপনাদের BCS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়!!!!!! সেই আন্দোলনে আমিও সরিক হব। আসুন, যোগ্যতা প্রমাণ করুন। যোগ্যতা প্রমাণ করে শুধু ৫০% কেন? পারলে ১০০% পদই নিয়ে যান। কোন আপত্তি নেই।

সামনের দরজা দিয়ে আসুন। দেশের হাজারো তরুণের স্বপ্ন “বিসিএস” এর ৫০% পদ পেছনের দরজা দিয়ে দখলের চেষ্টা করবেন না।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

হেডস্যার বলেছেন:
শুধু ডিপ্লোমা করে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা বা বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারার দাবী অযৌক্তিক আর ফাযলামি।
অন্তত যে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীধারী হওয়া উচিত।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: বর্তমানে" প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার" পদে নিয়োগ দেবার সময় খালি পদের ৬৭% পদে বিসিএস এর মাধ্যমে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নেয়া হয়। আর বাকি ৩৩% -এ ডিপ্লোমাদের প্রমোশন দেয়া হয় (কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই)

আপনি তাদের পরীক্ষা দেবার যোগ্যই মনে করছেন না
তাহলে বর্তমানে প্রচলিত এই ৩৩% পদ্ধতি আপনার কেমন লাগলো সেটিও জানতে চাইবো আপনার কাছে।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

দি সুফি বলেছেন: যোগ্যতা প্রমাণ করে শুধু ৫০% কেন? পারলে ১০০% পদই নিয়ে যান। কোন আপত্তি নেই।
এইটা তারা মানতে নারাজ।

আর শুধুমাত্র ডিপ্লোমা করে বিসিএস দেয়ার সুযোগ করে দিলে সেটাও যথাযথ হবে না। অনার্স পাশ করে তারপর আসুক।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: সহমত।
(যোগ্যতা প্রমাণ করে শুধু ৫০% কেন? পারলে ১০০% পদই নিয়ে যান। কোন আপত্তি নেই।
কথাটি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বলাহয়েছে।)

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ভাইরে, ডিপ্লোমাদের বিসিএস দেয়ার সুযোগ করে দিলেও তারা আসবে ভেবেছেন???
৩৩% বিসিএস পদ তারা এমনিতেই নিয়ে যাচ্ছে। এটি আপনার জানা আছে??

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। আসলে ডিপ্লোমা সমস্যা টা পুরোপুরিই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দেখছি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেক ডিপ্লোমাধারীর দক্ষতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়েও ভালো। সেখানে অবশ্য লড়াই করেই তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। অনেকে শত কস্টের মাঝেও বিএসসি করে ফেলে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে এত সুযোগ থাকলে কেইবা বিএসসি করতে চাইবে?

ভাই ভালো লাগতেছেনা মাথা ধরছে। যাই ঘুমাই গিয়া।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১২

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: সাইট সুপারভিশনে ডিপ্লোমারা বিএসসি দের চেয়ে ভালো হতে পারে।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে সাইটের অনেক ফোরম্যান বা অভিজ্ঞ মিস্ত্রিরাও ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে।
একই ভাবে, সদ্য পাস করা এজন ডাক্তারের চেয়ে ২০-২৫ বছরের পুরনো কম্পাউন্ডারকে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি দক্ষ মনে হতেই পারে।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৬

চাচ্চু বলেছেন: তাদেরকে ২য় শ্রেণীর মর্যাদা তথা সহকারী প্রকৌশলী থেকে সুপারভাইজারে নামানো হয়েছে। এটাকে আপনি সমর্থন করেন?

কেবল ডিপ্লোমা পাশ করলেই তাদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিতে হবে, এমন দাবী করেছে কি না জানি না, করে থাকলেও "সেটা যেমন অসম্ভব ও অনুচিত", তাদের সুপারভাইজারে ডিমশন করে দেয়াটাও ঠিক তেমনই।

তাছারা আমি নিজে বহু বিএসসি ইঞ্জিয়ারদের দেখেছি, ডিপ্লোমাধারীর আন্ডারে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে কি বলবেন?

যারা দেশের জন্য যতটুকু উপকারী, তাদের তেমন মর্যাদাই দেয়া হোক, সেটাই কাম্য সবার।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: সহকারী প্রকৌশলী পদটি ২য় শ্রেণীর নয়। এটি প্রথম শ্রেণীর পোষ্ট।
আমিও দেখেছি অনেক অশিক্ষিত মালিকের অধীনে বহু কর্পরেট লোকজন এবং PHD দের কাজ করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী/ টেকনিশিয়ান/ ডেমনেস্ট্রেটরদের অধীনে কাজ জোরে হাজার হাজার ছাত্র প্রকৌশলী হয়ে বের হয়। অনেক ল্যাব টেকনিশিয়ান(ডিপ্লোমা) আছেন যারা প্রকৌশলী শিক্ষকের চেয়েও ভালো টেস্ট করতে পারে। তাহলে তারাও তো ধীরে ধীরে প্রফেসর হয়ে যাওয়া উচিৎ। কি বলেন?

তাদের প্রথম দাবিতে আছে ক্যাডার পদে বা প্রথম শ্রেণীর পদে নিয়োগের সময় ৫০% পদ ডিপ্লোমাদের দিতে হবে।আপনার সন্দেহ থাকলে তাদের জিজ্ঞাসা করুন এটি সত্যি কিনা।
মজার ব্যাপার হলো, এই দাবিটি তারা সরাসরি করছেনা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি / মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে।

একজন সদ্য পাশ করা বা নবীন গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার যখন ফিল্ডে যায় তখন কার্য্যক্ষেত্রে সে হয়তো ১৫-২০ বছর ধরে একই কাজ করছে এমন কোন ডিপ্লোমার অধীনে থাকতে পারে। কিন্তু ১০বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারকে আমি কোনদিন ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিপ্লোমার অধীনে থাকতে দেখিনি। হাজারে একটি থাকতে পারে, নাও পারে।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

প্রতিবাদী আদনান বলেছেন: এত চিল্লাপাল্লা না করে সবার দিকটা ভাবুন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: চিল্লাপাল্লা আসলে কারা করছে?? ভাংচুর, অবরোধ কারা করেছে?

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

দ্যা ডার্ক নাইট বলেছেন: একমত।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২

ইলুসন বলেছেন: সহমত। সরকারের শেষ সময়ে এসে যে যেভাবে পারছে নিজেদের দাবী আদায় করে নেয়ার তালে আছে। সরকারও উলটা পালটা এসব দাবী মেনে নিচ্ছে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ভোটের রাজনীতিতে সাধারন মানুষ অসহায়।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

শাকিল মাহতাব বলেছেন: লেখক ভাই আপনার কথাগুলো পড়লাম...হ্যা আমি ও মনে করিনা প্রশাসনিক পদে কারিগরি পেশাজীবীর নিয়োগ বন্ধ করা টা যুক্তিযুক্ত দাবি..তবে..ইকুয়াল অপারটুনেটি বলে একটা কথা আছে..এদেশে সেটা কখন মানা হয়েছে..??? কোন হিসেবে Diploma in engineering will be equivalent to HSC...??এ ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল...কোন এক শিক্ষা পদ্ধতিতে ভালো খারাপ থাবতেই পারে...সেই জন্য গেটা ব্যাবস্থাকে অসম্মান করে বিদ্রুপ করে সম্ভধোন করা খেকে বুঝাযায় আপনারা কত অসুখি হিংসাপরায়ন...আসলে তাদের অবদানে অখুশি....Diploma in engineering একটা Specialize education as B Tech/BSc Engineering. But aim to produce a diploma engineer is to start work at mid level engineer as they are now. For the reason behind they don't do so called research work as BUET and bla bla university's student do on their rest two years. If diploma engineering is not a general degree then how come BSc Engineering will be regarded as a graduate education? I know some people say diploma engineers are SSC pass...then question can be raised Bsc Engineers are HSC pass...?? Technical discipline never can be compared with general degree.According toInternational Journal of Basic & Applied Sciences IJBAS-JENS Vol:12 No:05 It was found that maximum weightage of general subjects is given in the diploma engineering curriculum of Bangladesh (20%) that met the standard set by European Engineering Education [1]. India provides 14%)
of general subjects which meets the standard defined by Accreditation
Board for Engineering and Technology [2]. Whereas Pakistan
(12%) and Maldives (8%) are still below the criteria and they
need to improve their diploma engineering curriculum by in
corporating more general courses.on the other hand diploma engineering from bangladesh is technically more sound by 4 years curricular.Though Indian 3 years diploma regarded as a govt university entry quantification with 1 year exemption.they study three year in the university for their graduation. but in BD where constitution say equal opportunity for all.. n constitutionals university's dont obey that. Even Curtin University of Technology, Australia get them entry to 2nd year in a 4 years engineering...in usa when some one has done his 14 years schooling with associate degree in technical field they can write associate engineer...and they can finish their BS by doing 2 more years in a university........so do your govt following what happening around the glob...?? if U r an engineer U might be knowing IEI...U know IEI give exemption in AMIE exam for diploma holders??? N IEI is commonwealth engineering body member. IEI look after engineering activities and education...then in Bangladesh...who prepares diplomas syllabus ,course work???They r not engineers, they are alien with no connection with IEB...??? that's why IEB think IDEB as a counterpart...?? IEB suppose to work/ partiality only for member or have to work for engineering activities of country ???? Diploma engineers never snatch others job but BSc Ppl dose.. According to ours countries situation diploma engineers are more suitable n they r contributing accordingly more then BSc Engineer.In BD university's interaction language couldn't be a problem or question as constitution give more emphasize in Bangla...and there is no place for other language.so why they wont get exemption in BD universities. Ok IEB ,Tech University wont give them equal opportunity for study n designation to diploma. diploma in engineering is a deadened education curricular so they will work only.....if he work in a technical section for 4 years then for promotion he has to give theoretical exam with a fresh applicant for assistant engineer position...how funny it is???I batter say protest to diminish technical education then see how much flash remain on your buttock.If IEB cant ensure equality then dont go against their promotion quota...just think how many engineers graduate each year n how may diploma engineers wait for their promotion in a factory after working long time under a graduate engineer.Every year 200000 Diploma engineers come out...where as BSc engineers not even 30000...whats the ratio? NO you r a BSc engineers...U studied 2 more years...been to NASA...invented new something for human kind ..U shouldn't compete with them..you will go to snatch 4 years experienced diploma engineers job how worked under a graduate ,n eventually has been promoted for higher post..nice no??? yeah this fresh graduate and experienced diploma ratio will be much more then the quota 50% they want. until they got equal opportunity in studies they should get quota according to their ratio n contribution.For everything Isostasy is much more important.

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল মাহতাব
আপনার বক্তৃতার প্রথম কয়েকটা লাইন ছাড়া বাকি সবই এখানে অপ্রাসাঙ্গিক। এই প্রসঙ্গে অন্য কোথাও আপনার সাথে আলোচনা করা যাবে। তবে যেহেতু আপনি আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ টেনে আনলেন সেহেতু একটু বলি-
ইঞ্জিনিয়ারের আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা আছে, এই পদবির বেসিক রিকুয়ারমেন্ট-ও আছে।
একই ভাবে ডিপ্লোমার আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা আছে-
(কিছু মনে করবেন না, এটি আমার লেখা নয়, আমি উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি কপি করে দিচ্ছি, ডিপ্লোমাদের অবমূল্যায়ন করা আমার উদ্দেশ্য নয়।) Click This Link

সংজ্ঞাঃ "The Diploma in Engineering or Diploma in Technical Studies is a technical degree below the undergraduate rank
which aims to provide students with some basic knowledge of engineering, scientific, computing, mathematical techniques, a sound knowledge of English to communicate in the job field and ability to apply the basic problem solving techniques.

কর্সের সময়কালঃ Its duration is 3-4 years.

সার্টিফিকেটের মূল্যায়নঃ "Many countries in the world recognize it as equivalent to Inter-Science or Pre-Engineering for further studies purpose. "

ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটধারীরা কোন কোন পোষ্টে চাকুরী পাবার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়ঃ
After successful completion of Diploma in Engineering course, students can either continue further Engineering studies in undergraduate level or get employment as supervisors, foremen, sales engineers, workshop technicians, draughtsman, service station managers, auto engineers, agricultural overseers, farm managers, junior instructors, workshop superintendents etc.

ডিপ্লোমায় ভর্তি হবার যোগ্যতাঃ In most of the countries one can apply for studying diploma in engineering degree after completion of 10th grade or the secondary school certificate."
----------------
তবে আপনার একটি যুক্তির সাথে একমত, ৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স HSC সম মানের হওয়া ঠিক হয়নি। অন্ততঃ ডিগ্রি পাস কোর্সের লেভেলের হতে পারতো। কিন্তু যখন ডিপ্লোমা কোর্স ৪ বছরে উন্নীত হয়েছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? সার্টিফিকেটের মান বাড়িয়ে নেননি কেন??

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

ড. জেকিল বলেছেন: সুন্দর যুক্তি ............ তবে কয়েকটা কমেন্টের উত্তরে অসাধারন যুক্তি দেখিয়েছেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

প্রিয়ংকর বলেছেন: ভাই যোগ্যতাটা আবার কি? গায়ের জোর, মামার জোর, পার্টির জোর থাকলেই তো হল...

বছরের পর বছর ধরে "রাজনীতি" আমাদের নতুন প্রজন্মকে যা শিখিয়েছে তাই এখন প্রয়োগ হচ্ছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে আর কি হবে? আমরা পাবলিক কি ভালো?

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: এখন যার যা ইচ্ছে হচ্ছে তাই করতেছে। দেশটা কি মগের মুল্লুক নাকি!! যতসব। কদিন পর দেখবেন নার্সরাও সহকারী ডাক্তার পদের জন্য আন্দোলন করবে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: নার্সের চেয়ে প্যারা-মেডিকেল ডাক্তাররা এগিয়ে আছে। তারা মেডিকেল অফিসার হতে চাইলে ক্ষতি কি?

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৭

মো: তরিকুল ইসলাম বাদল বলেছেন: ভাল বলেছেন।এই ডিব্বা গুলার জালায় আর বাচা গেল না ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ভাই, আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। আমি কখনো তাদের ডিব্বা বলে সম্বোধন করিনা। এটা ঠিক না।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩০

ফারহান আহমেদ বলেছেন:
যুক্তিতে আসেন, আপনারা না বড় ইঞ্জিনিয়ার :D :D



@সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম

নার্স কথা কইলেন না ধরেন রাত ১ টায়
রোগী সমস্যা হয়ইলে আফার কাস এ না গিয়া ডাক্তার এর কাছে যাবে ।

কানসার উপর দিবো এমন সিস্টেমে আপনে ও সময়ই পাশের বেডে চলে আসবেন।তখন নার্স ই আপনারে ঔষধ দিবো

ডাক্তার লগে এটা ও কইবো আমি ব্যাটা ডাক্তার ( ব্যাচেলর ডিগ্রি ) । আমার সহকারীরে ( ডিপ্লোমা ) কও । এটা স্বাভাবিক


আপনাদের কথা টা হইলো
আমি ব্যাটা ডাক্তার ( ব্যাচেলর ডিগ্রি ) । আমার ক্লিন্ নারে ( ডিপ্লোমা ) কও । আসলেই পদবিতে কি এসে যায় ।

আমার মনে হয় আপনি ক্লিন্ নার কে কই তে পারবেন ।

ক্লিন্ নার এক জিনিষ
নার্স এক জিনিষ গুলায়েন না

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: আপনার বাংলা পড়তে অনেক কষ্ট হলো।

(অফ দ্যা টপিকঃ তবে আপনি ভালো ডায়লগ লিখতে পারেন।)

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫২

ওমর এন সোহান বলেছেন: ‘সুপারভাইজার’ হওয়ার জন্য চার বছরে ‘আটটি সেমিস্টার’ পড়তে হবে কেন?!
একজন দক্ষ মিস্ত্রিকেই তো এই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে! দেওয়া যেতে পারে সদ্য এইচএসসি পাশ করা যে কাউকেই! o.O
ডিপ্লোমা পাশ করেও বিএসসি করতে চার বছর লাগছে, এইচএসসি পাশ করেও চার বছর!

এই দাবী তো কেউ করেনি “ডিপ্লোমাদের বিএসসি দুই বছর করে দেওয়া হোক” , এই আপনি যে এতো যুক্তি এবং জোর দিয়ে এতো কিছু লিখলেন, আপনিও তো এই বিষয়ে কিছু বললেন না! !
আপনার ‘user name’ এ লেখা দেখলাম ‘cuet’ । আপনি তো সেখানে চান্স পেয়ে/পাশ করে বড় বড় লেখা পোস্ট করছেন,
কয়টা আসন আছে সরকারি, আর মানসম্পন্ন বেসরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে? আমিতো এমন ছেলেও দেখেছি যে ssc, hsc দুটোতেই gpa 5 পেয়েও ভাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পেয়ে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে ।।

‘ডিপ্লোমাদের অধীনে বিএসসি কাজ করে’ এমন মন্তব্যের জবাবে আপনি লিখলেন, ‘আপনিও দেখেছেন অনেক অশিক্ষিত মালিকের অধীনে বহু কর্পোরেট লোকজন এবং PHD দের কাজ করতে ।’
ডিপ্লোমারা ভাল কাজ পারলেই তো আর ‘মালিক’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়না! ! নাকি হয়?

আপনারা বড় ডিগ্রিধারী বড় মানুষ মাঝেমধ্যে এমন ছেলেমানুষি করেন না! ! o.O

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: আমার পোষ্টের কোথাও আপনাদের সুপারভাইজার হবার কথা বলেছি?
আর সরকার সেদিন আপনাদের ওই দাবী মেনে নিয়েছে যে- আপনাদের সুপারভাইজার বলা হবেনা। এখনো মাথা গরম কেন??

আমি তো আপনাদের বিএসসি করতে উৎসাহ দিলাম। সে ব্যাপারে সুযোগ সুবিধা যা লাগে আন্দোলন করে আদায় করে নিন। সমর্থন আছে।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
কিছু কমেন্টের যুক্তিখণ্ডন গুলোও অসাম লেগেছে।
কিপ ইট আপ।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

ধানের চাষী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
যোগ্যতা দিয়ে নয়, জোর করে দাবি আদায় করাই যেন এদের লক্ষ্য।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

এন এফ এস বলেছেন: সহমত। তারা কেন কোটাভিত্তিক শিক্ষা ব্যাবস্থা চায় জানিনা। যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যাবস্থাই কাম্য।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

শাকিল মাহতাব বলেছেন: লেখক ..I dint mention anything irrelevant...if you are affiliated with IEB then why dont you except the discrimination upon diploma engineers by IEB.. cant IEB learn from IEI...where IEI give exemption/articulation why not IEB....mention what was irrelevant????ohh wiki has been edited....why dont bsc engineers wait 2 more years for msc without starving for job where there is job opportunity after bsc merely??I mentioned how diploma has been treated in Australia and usa... sins IEB thinking them counterpart they are treating as a High school graduate and govt university's as well

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: আমার পোষ্টের উদ্দেশ্য দুই দফা দাবী সম্পর্কে আলোচনা করা।
ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যাবস্থাএবং তার উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট দেন। সেখানে আলোচনা হবে। এখানে এগুলো প্রাসাঙ্গিক।

সবশেষে আপনাকে একটি কথাই বলছি-

"আপনাদের অযৌক্তিক দাবীগুলো প্রত্যাহার করুন,

আপনাদের যুক্তিসঙ্গত সব দাবীতে সমর্থন পাবেন।"

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: ব্লগে আপনাকে আমি আগে দেখিনি। আমার শুধু কথা একটাই আমরাতো বিএসসিএর সমান মর্যাদা চাচ্ছিনা। কিন্তু আমাদেরকে যদি এখন এইচ এস সি এর সমান মান দেয়া হয় তখন কেমন লাগে? তাও দিল তো সেটা ভর্তি হবার আগেই বলত তাহলে তো আর ভর্তি হতাম না। এখন পাশ করার পর কেন বলা হচ্ছে যে আমি সুপারভাইজার? আর আমাদেরকে যদি সুপারভাইজারই হতে হবে তাহলে আমাদের কোর্সের নাম কেন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: এই কমেন্টে যা লিখেছেন যুক্তিযুক্ত।
আমার ব্যক্তিগত মতামতঃ আপনাদের ৪বছরের ডপ্লোমাটা
পাসকোর্স-ডিগ্রির সমান হতে পারত । আর আপনাদের জন্য বিএসসি কোর্স কারিকুলাম ৩ বছরের হতে পারতো (ভারতের মত)

আপনাদের শিক্ষাক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সমস্য, উচ্চ শিক্ষার অন্তরায় ইত্যাদি বিষয় সমাধান করার জন্য চেষ্টা করলে ব্যাপক সমর্থন পাবেন

(সুপারভাইজার বলা হবেনা -এ দাবী সরকার মেনে নিয়েছে।)

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

বাংলিক বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

কিন্তু ভাই আমাদের বি,এস,সি ইঙ্গিনিয়ারদের মধ্যে একতার অনেক ঘাটতি রয়েছে।

লোক নিয়োগের সময়ঃ ইউনিভার্সিটি নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। শুধুমাত্র বুয়েটএর ইঞ্জিনিয়াররা আবেদনের যোগ্য, অথবা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট চলবে না ইত্যাদি উল্লেখ থাকে সার্কুলার এ।

আই,ই,বি এসব নিয়ে কিছুই বলে না।

আর তারা বলবেই বা কোন মুখে, কারণ তারাই নিজেরাই তো বিভিন্ন প্রোগ্রামে বেসরকারী আর সরকারী ইঞ্জিনিয়ার তুলনা করে মুখের ফেনা তুলে ফেলে।

তাদের কাছে আমার প্রশ্ন একটাই, ১৫ লাখ এ+ পাওয়া স্টুডেন্ট এর কয়জন পড়ার সুযোগ পায় সরকারীতে? আর বাকিরা কি না পইড়া পাশ করেছে। তারা কেনো তাদের মনের মতো সাব্জেক্ট নিয়ে পড়তে পারবে না।

আই,ই,বি এর কাছে তারা মুল্যায়ন না পেতে পারে , বিশ্বের কাছে তারা ঠিকই মুল্যায়ন পায়।

এতো সংখক বি,এস,সি, ইঞ্জিনিয়ারকে আঁধারে রেখে আন্দোলন জমাবেন কিভাবে আপনারা।


আমি একজন প্রোফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যা জানি, মেধার পাশাপাশি যদি টাকা থাকে তাহলে একজন ইঞ্জিনিয়ার শতশত ইঞ্জিনিয়ারের কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারে। যারা প্রাইভেটে পড়ে তাদের সবাইকে ইগনর করার মানে হচ্ছে আপনি এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।


এজন্যই আগে নিজেদের বিভক্তি দূর করা দরকার। প্রয়োজনে মেডিকেলের মতো পদ্ধতি অবলম্বন করুন। একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাবস্থা করুন, এবং শিক্ষার মান সমানভাবে নির্ধারন করুন।

আগে নিজেদের ভিতরকার দৈত নীতির সমাধান করেন। কারন, প্রাইভেট ইঊনিভার্সিটি পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারের সংখাটা কিন্তু সরকারীর চেয়ে কম হবে না।

তা না হলে ব্রেইন ড্রেন কি জিনিস তা নিশ্চয়ই সবার জানা আছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০১

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

সায়েম উর রহমান বলেছেন: Emnitai kota poddhitir berajale BCS e medhabider trahi modhusudon obostha ... tar upor aai shob faltu jhamela ... Sompurno logic bihin dabi ebong kono motai acceptable na ....

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

ওমর এন সোহান বলেছেন:
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, ‘Diploma in Engineering Program’-এ পড়ে পাশ করলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (Sub Assistant Engineer-SAE) বলা হবে, সেটা তো আমরা সবাই জেনেছি । সেখানেও তো আপনার এলার্জি আছে মনে হচ্ছে । প্রকৌশলী সংজ্ঞায় ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদের পরে তো আর পদ নেই । BSc তে অধ্যয়নরত অনেকে বলছেন এদের প্রকৌশলী বলা না হোক, যুক্তি দিলে বলছেন সুপারভাইজার করার কথা তো বলিনি!
‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ এর নীচে মূল্যায়ন করলে তো সুপারভাইজারই হয়!! এইটা আবার উল্লেখ করতে হবে কেন?! মুখে বলেন একটা, আর ইঙ্গিত করেন আরেকটা! !

‘ডিপ্লোমা পাশ করে বিএসসির সমান মর্যাদা দাবী করা হচ্ছে’ টাইপের যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেটা রীতিমত জঘন্য ।
এমন অযৌক্তিক দাবী আমরা কেউ করিনি । নিজেও স্বশরীরে আন্দোলন করেছি, এমন কথা কারো মুখে শুনিওনি ।
এখনতো এমন কথাও শোনা যায়, এইটা নাকি শিবিরের আন্দোলন!!! আসলে ব্যাপারটা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই একটা চক্র এইসব আজগুবি, গাঁজাখুরি তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ।। ইতরামির একটা সীমা থাকা উচিত ।।
শোনেন ভাই, 'Diploma সম্পন্ন করে BSc পাশ করা প্রকৌশলীদের চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে' এমনটা ভাবলে কিন্তু তাদের মানসিক দুর্বলতাই প্রকাশ পায় । Diploma ইঞ্জিনিয়ার BSc ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়ক ভূমিকা পালন করে, বিকল্প নয় ।


দাবী মূলত দুটিই, যার জন্য আমরা সাধারণ ছাত্ররা আন্দোলনে করছিঃ

১)ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এ যে অল্প কিছু টাকা দেওয়া হয় সেটা অপর্যাপ্ত, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে এবং সম্মানজনক পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে ।

২)ডিপ্লোমাদের 'প্রকৌশলী' পদ বহাল রেখে দিয়ে গেজেট পাশে যে গড়িমসি করা হচ্ছে, সেই বিভ্রান্তি দূর করে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা হোক । চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগে ‘প্রকৌশলী’ পদ দিতে হবে, সুপারভাইজার নয় । যা উপ-সহকারী পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে আপাতত খবর ।

আর কি বলবো । নিজের বিবেক কাজে লাগিয়ে ভাবেন, দাবী গুলোর যুক্তিকতা কতটুকু...

‘সরকারের শেষ সময়ে দাবী দাওয়া আদায় করে নিচ্ছে’ এইটাইপের অভিযোগের উত্তরে বলতে চাই,
‘Diploma in Engineering Program’-এ পড়ে পাশ করাদের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীই বলা হতো, এখনো পর্যন্ত হয় । সম্প্রতি জোরেশোরে ‘সুপারভাইজার’ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । ‘সুপারভাইজার’ হওয়ার জন্য চার বছরে ‘আটটি সেমিস্টার’ পড়তে হবে কেন?!
একজন দক্ষ মিস্ত্রিকেই তো এই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে! দেওয়া যেতে পারে সদ্য এইচএসসি পাশ করা যে কাউকেই! o.O

তাই আমরা আমাদের পূর্বের অবস্থান ধরে রাখা জন্য লড়ছি । আর শুধু প্রকৌশলী পদ দিলেই তো হয় না, সেই অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধাও দিতে হবে ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: আমার পোষ্টে যে দুটি দাবী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা যদি আপনার দাবী না হয় তবে আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: আপনরা HSC সমমানের সার্টিফিকেট নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেবার কথা ভাবছেন কেন??

আপনি এই কথাটা বাদ দিলে ভাল হয়। আমাদের মূল দাবীই এইটা। যে আমাদের মান HSC এর সমান নয়।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: তাহলে আলোচিত দুই দাবী প্রত্যাহার করে মূল দাবীতে আসুন।

২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

ফারহান আহমেদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার বাংলা পড়তে অনেক কষ্ট হলো।

(অফ দ্যা টপিকঃ তবে আপনি ভালো ডায়লগ লিখতে পারেন।)

ইংরেজি পড়তে পড়তে এখন বাংলা পড়তে অনেক কষ্ট হবেই



আপনি ভালো ডায়লগ লিখতে পারেন

জি আপনি ও অতি চালাকীর সাথে কথা এড়ায়ে যাই তে পারেন । :) :)

২৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

ফায়ারবক্স বলেছেন: বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয়, নার্সিং ইন্সটিটিউটগুলোকে মেডিকেল কলেজ, ডিগ্রী কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যলয়ে, এবং স্কুলগুলোকে কলেজে রুপান্তরিত করা এখন সময়ের দাবী।

Sad But True: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবী যদি মেনে নেয়া যায়, তবে এই দাবী মেনে নিতে কতক্ষণ?

২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আমি এখন ডিপ্লোমা এবং বিএসসি এর মধ্যবর্তী অবস্থায় আছি।
আমার মতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি চাওয়ার অধিকার তাদের আছে সেটা ন্যায্য দাবী হিসেবেই আমি দেখি। আর আপনি যেভাবে দাবী গুলো বিশ্লেষণ করেছেন তাতে আপনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
কিন্তু আমার মনেহয় যারা আন্দোলন করছে তাদের সিংহভাগই আপনার মত করে ভাবেনি কারণ আমি নিজে যটুতকু দেখেছি শুনেছি তাতে তাদের দাবী ছিল "সুপারভাইজার হব না পরিক্ষা দিব না " এই রকম । আমি আবারো বলি তাদের দাবীটা ছিল "উপ-সহকারী প্রকৌশলী" সহকারী প্রকৌশলী নয়।
তবে এই পয়েন্টে আমি আপনার সাথে একমত হব যদি "ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা" প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড পদটি দাবী করে তা অযৌক্তিক। একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এক হতে পারে না। ডিপ্লোমারা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়ক হিসেবেই কর্মরত থাকে এবং সেটাই উচিত। যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতেই পদ বন্টন হোক সেটাই আমারো চাওয়া। তবে অনেকের ডিপ্লোমাদের প্রতি কটুক্তি দেখে খারাপ লাগে কারণ অই কোর্সটা আমিও সম্পন্ন করেছি। :( :( :( :( :(

২৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

পারভেজ রানা বলেছেন: ভাই চমৎকার লিখেছেন। অনেকদিন সামুতে ঢুকি না। পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিলাম তাই, মন্তব্য করতে পারিনি। সবার মন্তব্য -পাল্টা যুক্তি সবই ভালো লাগলো।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

ইয়ান্তোজোন্স বলেছেন: আসলে নাট বল্টু লাগাতে পারলেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়না। ইঞ্জিনিয়ার শব্দ মানে কৌশল। চারটা বছর ৪০ টা সাব্জেক্ট, ৩০-৩৫ টা কুইজ, ১২০টা ক্লাস টেস্ট আর শেষ দুই বছরে প্রজেক্ট নিয়ে দৌড়ের উপর না থাকলে কেউ বুঝবে না ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? আমাদের দেশের অবস্থা এমন যে, এখানে মানুষ মনে করে ইঞ্জিনিয়াররা গাড়ি, ফ্রিজ, টিভি ঠিক করে। কেউ যদি তা না পারে তাহলে তাকে অপমানের স্বীকার হতে হয়। বাস্তবতা হল, একজন ইঞ্জিনিয়ার তার বুদ্ধি, পুথিগত শিক্ষা,অভিজ্ঞতা নিয়ে কোন প্রজেক্টের কাজ সমাধান করে নির্ধারিত সময়ের ভিতর। একজন ইঞ্জিনিয়ার ফরক্যাস্ট করে আসন্ন সমস্যা এবং সেই অনুযায়ী সে প্রজেক্টের ডিসাইন করে তা সিমুল্যেশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে সেই ডাটা গুলো একজন ডিপ্লোমা (ডিপ্লোমাই, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার না) কে দেয়। আর সে সেই উপাত্ত সংগ্রহ করে কোন প্রোডাক্টটিকে বাস্তব রূপ দেন। আর মানুষ মনে করে সেই ইঞ্জিনিয়ার। হায়রে দুনিয়া। সে একজন টেকনিশিয়ান/মান্যুফেকচারার (তাকে খাটো করছি না, কারন সে নতুন কোন কৌশল উদ্ভাবন করেনি। সে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রোডাক্টটিকে বাস্তব রূপ দিয়েছে।) বাংলাদেশের বাইরে পৃথিবীর কোথাও তাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়না। অথচ আমাদের দেশে জানিনা কবে কে তাদের ডিগ্রীতে "ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং" শব্দটি যোগ করল।

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

নকীবুল বারী বলেছেন: আন্দোলনের পুরো বিষয়টা সরকারী চাকুরী কেন্দ্রীক। তাই যেখানে সরকারী ডিপ্লোমা পেশাজীবিদের আন্দোলন করা দরকার ছিলো, তা কিভাবে ছাত্রদের আন্দোলনে পরিনত হলো ভাবার বিষয়। কারণ পলিটেকনিক থেকে পাশ করা কতজন ছাত্র সরকারী চাকুরীতে আসে বা আসার সম্ভাবনা আছে তা দেখতে হবে।

আমার মতে শুধ স্মাতক পাশ হলেই নামের আগে প্রকৌশলী ব্যবহার করতে দেয়া সমুচিন নয়। স্মাতক পাশের পাশাপাশি, বিষেশায়িত স্মাতকত্বর এবং পেশায় নির্দিষ্ট পরিমান অভিজ্ঞতা (কমপক্ষে ১০ বছর) ছাড়া কাউকে প্রফেশনাল প্রকৌশলী হিসেবে একসেস প্রদান করা উচিত নয়। ঢালাও ভাবে যে কোন ডিপ্লোমাধারী বা স্মাতকধারী যেকোন টেকনিক্যাল বিষয় অনুমোদন বা ডিজাইন বা পরিকল্পনা করার সুযোগ পেলে অপরিকল্পিত এবং ধংস্বাত্বক ইন্জিনিয়ারিং-এর সৃষ্টি হবে।

মানসম্মত ডিগ্রী পেতে হলে প্রয়োজন মানসম্মত কারিকুলাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দু-একটি বাদে বাকি বেসরকারী ইন্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিগুলা কতটা মান সম্পন্ন এবং নির্দিষ্ট পরিমান ফি-এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট বিলানোর মেশিন নাকি তাও ভেবে দেখতে হবে।

রাজনীতিবিদরা তোষনে অভ্যস্ত। কোন বিষেশজ্ঞ ইন্জিনিয়ারের পক্ষে তোষন করাটা কষ্টকর। সে জন্য পলিসি মেকিং-এ বিষেশজ্ঞ ইন্জিনিয়ারের অবস্থান অনেকটা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো। জেনারেল আমলা ও রাজনীতিবিদের উচ্চ গলার অকারিগরী সিদ্ধান্তের সাথে বেশির ভাগ সময়ই বিষেশজ্ঞ ইন্জিনিয়ারদের অনিচ্ছাতে সুর মেলাতে হয়। অথবা স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন দিলেও দূর্নীতি, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের জন্য সে প্রতিবেদন ধুলোয় মাঝে পড়ে থাকে। সাধারণ মানুষের পক্ষে সুক্ষ জটিল কারিগরি দিক বোঝাটা কষ্টকর। তাই রাজনীতিবিদ ও আমলারা দেশের জনগনকে স্থুলভাবে অনেক কিছু বুঝিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে।

এ জন্য কঠোর মান নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে বিষেশজ্ঞ ইন্জিনিয়ার তৈরী করা এবং তাদের দেশের পলিসি মেকিং-এ নিয়োজিত করা দেশের নীতি নির্ধারকদের অপছন্দ।

আমার মনে হয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আন্দোলন প্রকারন্তরে আবেগের বশবর্তী হয়ে বি এস সি প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে, যা তাদের বিভিন্ন মতামতে প্রকাশ দেখা যায় এবং গায়ের জোরে প্রফেশনাল প্রকৌশলী কার্যক্রমে অ্যাকসেস চাওয়া। রাজনৈতিক দেউলীয়াপনার কারনে হয়তো তাদের গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার হবে কিন্তু দেশ পিছিয়ে পড়বে এবং দীর্ঘ সময় পরে এই দেশ অপরিকল্পিত এবং ধংস্বাত্বক ইন্জিনিয়ারিং শিকার হয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়বে। সে বিপর্যয় হবে এ দেশের ভবিষ্যঁত প্রজন্মের।







৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

ফায়ারম্যান বলেছেন: ডিপ্লোমারাও ইঞ্জিনিয়ার ?? তাইলে টেকনিশিয়ান কেডা ??

৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

বিজন শররমা বলেছেন: ওমর এন সোহান বলেছেন.।.।।। ‘Diploma in Engineering Program’-এ পড়ে পাশ করাদের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীই বলা হতো, এখনো পর্যন্ত হয় । "
আপনার এই স্টেটমেন্ট এর মধ্যেই আপনার, আপনার মত হাজার হাজার মানুষের ভুল ধারনা এমনকি অপ্রয়োজনীয় আন্দোলনের রসদ লুকিয়ে আছে । আন্তর্জাতিক ভাবে যা স্বীকৃত তা হল, ডিগ্রী হল একটি সার্বজনীন শিক্ষা সনদ পৃথিবীর সব দেশে স্বীকৃত, আর ডিপ্লোমা হচ্ছে যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রয়োজনে সৃষ্ট নিজস্ব শিক্ষা, সাধারন ভাবে যার আন্তর্জাতিক কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই । এই ডিপ্লোমা আবার দুই রকম – ন্যাশনাল বা আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, আর পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা । সাধারন ভাবে আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা না থাকলেও একই রকম অবস্থা যে সব দেশে বিরাজমান তারা একই ডিপ্লোমার মূল্য দিয়ে থাকে ।
ইঞ্জীনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে ১২ বছর স্কুলে শিক্ষার পর কমপক্ষে ৪ বছরের কোর্স করলে তারা হয় ইঞ্জীনীয়ার, আর এই ইঞ্জীনীয়ারএরা কোন পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করলে তারা হয় পোষ্ট গ্রাজুয়েট ইঞ্জীনিয়ার । ন্যাশনাল বা আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা পাশ যারা করে তারা কোন ভাবেই ইঞ্জীনীয়ারই নয়, এরা “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জীনিয়ারিং” ।
বাংলাদেশে বুয়েট থেকে যেসব বি এস সি ইঞ্জীনিয়ারেরা কোন পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করেছে কেবল তারাই ডিপ্লোমা ইঞ্জীনিয়ার । বাংলাদেশে সংখ্যা বা গায়ের জোরে যারা যাই বলুক না কেন, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত এই নিয়ম তারা বদলাতে পারবে না ।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘Diploma in Engineering Program’-এ পাশ করাদের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদ দেয়া ভূল ।

৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাজু মিয়া বলেছেন: #বিজন শররমা ভাই তাহলে আপনার কথাই আমদের কে সুপারভাইজার হিসাবে নিয়োগ নেয়া হোক
ভালোই বললেন ////////////////


আমরা পড়াশুনা করতে আসিনি মনে হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.