নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য যে কঠিনেরেই ভালোবাসি, সে যে কখনো করেনা বঞ্চনা।

মোঃ শাহিন ইসলাম

সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা।

মোঃ শাহিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন পথে এগোচ্ছে থ্রি হুইলার শ্রমিক, চালক ও তাদের পরিবারের ভাগ্য?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৩

রর
পৃথীবির সকল দেশের নাগরিক সুষ্ঠভাবে সুযোগ সুবিধার পাবার আশায় একজন অভিভাবক নির্বাচিত করে থাকে। এই সোনার বাংলার সোনার মানুষ গুলোও কিন্তু এর ব্যতিক্রম নয়। তাদেরও আশা থাকে সরকারের কাছ থেকে ভালো কিছু পাবার। জনগণের নাগরিক সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে সরকারও অবগত আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আজ পৌনে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে যেখানে প্রায় ১ কোটি মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে যে গাড়ির উপর আজ সেই গাড়ি গুলো চলার অধিকার হারাচ্ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সেটা বলা হচ্ছে না। তবে যে ২২ মহা সড়কে কোনক্রমেই এই গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না সেখানে একথা বলাই যায় যে তাঁরা এই গাড়ি গুলোর ব্যাপারে যেমনটা সন্দিহান তেমনি সেই গাড়ির সাথে জড়িত মানুষ গুলোর ব্যাপােরেও যে খুব ভালো অবস্থানে আছে সেটা কতটুকু বলা যায় আপনারাই ভালো বুঝবেন। স্বীকার করছি প্রস্তাবিত আইন টা ভালো তবে এটার চেয়ে কি ঐ মানুষ গুলোর পেটে খাবার যাওয়ার চেয়েও বেশি ভালো? যে মানুষ গুলো বেঁচে থাকার তাগিদে সূর্য উদয় হবার পূর্বেই তার সারা দিনের খাবার সংগ্ররে অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিচিত তিন চাকার সেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে পড়ে। তাদের এই ন্যায্য আয়রোজগার আজ আমাদের দেশের সুশীল সমাজের দুচোখের বেদেনায় রুপ নিয়েছে। আমাদের সেই সমাজের মানুষ গুলো মুষ্টিমেয় কিছু পথযাত্রীর সুবিধার্থে সারা দেশের যে ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তাদের কি জানা আছে দেশের অভ্যন্তরের এই ২২ টি মহাসড়ক বাদে যে রাস্তা গুলো আছে সেই রাস্তা গুলোতে সিএনজি, অটোরিক্সা, ট্যাম্পু, মাহেন্দ্রর মতো গাড়ি গুলো চালিয়ে আয়তো দূরের গ্যাস/তেলের মূল্যই আনো সম্ভব না। দেশের এই লক্ষাধিক গাড়ি গুলো তৈরি বা আমদানীতে তেমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আর সেখানে নিশষধাজ্ঞা থাকবেই বা কেন এতে যে সরকারি কোষাগারে একটা মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। তাছাড়া মাঝে মাঝে এই গাড়ি গুলোর চলাচলে একটু কড়াকড়ি করলেই যে নেতা নেতৃদের পকেট ভারি হয়ে থাকে। এবারের পদ্ষেপে যদিও সেরকম কোন আভাস মিলছে না তবে অতীতে কিন্তু এমনটাই হয়ে এসেছে।

এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারের জন্য নিঃশন্দেহ ভাল হতো যদি এই লক্ষ মানুষ ও তাদের পরিবারের রক্ষণাবেক্ষনের জন্য অামাদের সরকার থ্রি হুইলার ভাতার ব্যবস্থা করতো। মনে করি তা সম্ভব না, তবে কেন এই ভুক্তভোগী মানুষ গুলোর পেটে লাথি মারা হচ্ছে? এর ব্যাখ্যাটা যেন আমাদের মন্ত্রীবৃন্দ বলে যায়।

সময় থাকলে আমার www.usefulearth.com সাইট টি ঘুরে আসবেন। নিশ্চয় ভাল লাগবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৭

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: যে সরকার থ্রি হুইলার এর জন্য ২২ টি মহাসড়কে আলাদা লেন তৈরী করে দিতে পারছেনা সেই সরকার বুঝি থ্রি হুইলারদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করবে। হাসালেন ভাই।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা খুশি তাই করার নামইতো স্বেচ।ছাচার!!

ফাটাকেস্ট অভিনেতা হঠাৎ স্বপ্ন দেখেছেন মনে হয় থ্রি হুইলার খারাপ!

ব্যাস বন্ধ হবার হুকুম হয়ে গেল!!!!!!!!!

তাদের পুর্নবাসন! বিকল্প কর্মসংষ্থানের চিন্তা, ব্যবস্থা না করেই হুট করে হুকুম জারিতোজারি.. আবার হুমকিও -প্রয়োজনে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেব কিন্তু হুকুম নড়বে না!

আবার হাইকোর্ট মহাশয়- কছু বলতেতো আবার ভয়- হয়- আদালত অবমাননার মামলা যদি ঠুকে দেয়!!

তিনারা ফিটনেসের হুকুম দিলেন! ভাল এটাতো নিয়মতান্ত্রিকই হবার কথা। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে গাড়ী ডাম্পিংয়ে চলে যাবে!
তা হচ্ছে না বিধায় এভারেজ সব গাড়ি চেকিংয়ের হুকুম নাজিল করলেন। আগপিছ ভাবলেন না!
বিকল্প মাস ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করলেন না।
ফেসে গেল আম জনতা!
যত কষ্ট- ভোগান্তি সব আমজনতার! লৌকাল বাসে উঠাও হয়ে গেছে ভাগ্য!!! ঘাম গন্ধে জুবুথবু হয়ে অফিস কর ঘরে ফেরত যাও!

হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না!
আগে পিছে কেউ ভাবে না!!!!!!!!!!!!!!

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০০

সোজা কথা বলেছেন: সাধারণ জনগণের পেটে লাথি মারার যে সুমহান দায়িত্ব সরকার নিয়েছে সেটা অনেক আগেই উপলব্ধিতে এসেছে। এখন সরকার এদের প্রতি সদয় হলেই হয়। তাহলে আমরা যাত্রীরাও ভোগান্তি থেকে রেহাই পাব।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২২

রাজীব বলেছেন: তিন চাকার ড্রাইভার ১ কোটি হলে যাত্রী কয় কোটি??

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৮

শেখ মফিজ বলেছেন: আমার মতে সিদান্তটি সঠিক সময়ে নেওয়া হয়নি ।
ধাপে ধাপে নেওয়া হলে ভাল হতো ।
এই সময়ের মধ্যে অন্য ফোর হুইল গাড়ী রাস্তায় নামতো ।
তিন চাকার গাড়ীর মালিক , চালকরা ও যাত্রীরা এ সময়ের মধ্যে
নিজেদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদেরমত করে
তৈরী হতে পারতো । তিন চাকার গাড়ীগুলি ক্রমশ্ শহরএলাকা
থেকেও সরানো হলে খারাপ হতো না । যাত্রী পরিবহনের জন্য
আরো বড় গাড়ী এবং সুশৃখল পরিবহন ব্যবস্থা থাকা দরকার ।
শহর বড় হচ্ছে, যাত্রীও বাড়ছে ।এগুলি বিবেচনায় নেওয়া উচিত ।
সরকারের আগে পরিবহন মালিকদের এ ব্যাপারে এগিয়ে
আসতে হবে , একটি ভাল পরিবহন ব্যবস্থা তৈরী করার জন্য ।
গ্রাম থেকে আসা কৈশোর উর্ত্তীন ছেলেদের হাতের ইসারায়
নিয়ন্ত্রিত হয় শহরের রাস্তা চলা । যে ছেলের কাছে সময় মূল্যহীন ।
(বাসের হেল্পার)
তিন চাকার ড্রাইভার ১ কোটি ! অবাস্তব নয় কি ?

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এক কোটি....???? ভাই, আবেগটা একটু বেশী হয়ে গেল না?!?

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

মোঃ শাহিন ইসলাম বলেছেন: #শেখ মফিজ, #মাঘের নীল আকাশ, আমি কোথাও কিন্তু বলি নাই ড্রাইভার ১ কোটি। একবার ভেবে দেখুন একজন চালকের আয়ের উপর কয়টা পেট নির্ভর করে। সেদিক বিবেচনা করলে আবেগা হয়তো আহামরি হবে না। ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪০

ভোরের সূর্য বলেছেন: সমবেদনা জানানোর আগে জানতে চাই দেশে লোক সংখ্যা ১৭ কোটি এর মধ্যে ১কোটিই থ্রী হুইলার চালক!!!!!!! তার মানে বাংলাদেশে গড়ে ১৭জন মানুষের মধ্যে ১জনই হচ্ছে থ্রী হুইলার চালক আর বাদ বাকি বাস,প্রাইভেট কার,ট্রাকচালক ইত্যাদির সংখ্যার কথা না হয় বাদই দিলাম।
সংখ্যাটা বড় ব্যাপার না কারন সংখ্যা যাই হোক না কেন এদের যে অসুবিধা হচ্ছে এবং এদের সমবেদনা জানানো উচিৎ আমাদের কিন্তু আপনার সংখ্যার বিষয়টা উল্লেখ করলাম কারন সংখ্যার বিষয়টা বড় করে যখন সুবিধা আদায় করার বিষয়টি আসে।

সরকারের দোষ আছে কেন তারা নিবন্ধন দেয়ার সময় বলে দিলনা যে অমুক অমুক রাস্তায় থ্রীহুইলার চালানো যাবে না। আবার এটাও ঠিক এই থ্রীহুইলার গুলো মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার অন্যতম কারন কারন তখন সরকার মহাসড়ক জনগণের স্বার্থে থ্রীহুইলার নিষিদ্ধ করতে পারে। আরো একটা কারন হচ্ছে যতটা থ্রীহুইলার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী অবৈধ থ্রীহুইলার রাস্তায় চলাচল করছে। সরকার কাউকে দিব্বি দেয়নি যে আপনাকে থ্রীহুইলার চালাতে হবে কিন্তু চালাতে হলে অবশ্যই সরকারের আইন মানতে হবে। আর কোটি কোটি মানুষ যারা রাস্তায় চলাচল করে তাদের নিরাপত্তার জন্য সরকার যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

থ্রীহুইলার বিশেষ করে যেটাকে আমরা ইলেক্ট্রিক অটো বলছি। এক একটি গাড়ীর দাম ১লাখ ৫০হাজার টাকা। দিনে জমা দিতে হয় ৫০০টাকা। মাস শেষে মালিকের সবকিছু খরচ বাদ দিয়ে মিনিমাম ১০হাজার টাকা থাকে। এর থেকে লাভজনক ব্যাবসা বাংলাদেশে কয়টি আছে? তাই আমাদের লোভও বেশী তাই এরকম অটো নামিয়েই চলছে।
তবে হ্যা সরকার কঠোরভাবে থ্রীহুইলার আমদানী নিষিদ্ধ করতে পারে। আমি যতদূর জানি সেটা সরকার করেছে কিন্তু এখন যেগুলো বেড় হচ্ছে সেগুলো থ্রীহুইলারের পার্টস আমদানির নামে পুরো একটা গাড়ীর পার্টস এনে এদেশেই সংযোজন করছে।
এছাড়া অবৈধ থ্রীহুইলার বন্ধ হলে এমনিতেই রাস্তায় এর সংখ্যা কমে আসবে।
গাড়ী মালিক,চালক এবং সরকার সবাইকেই সচেতন হতে হবে।
তবে শেষে এটাই বলবো যে ১৭ কোটি মানুষের নিরাপত্তা সবার আগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.