নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য যে কঠিনেরেই ভালোবাসি, সে যে কখনো করেনা বঞ্চনা।

মোঃ শাহিন ইসলাম

সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা।

মোঃ শাহিন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সন্তাস নিয়ে কিছু কথা

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

“এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান, জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের ” সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতার অংশটি মানুষের ব্যক্তি জীবনের অতি বাস্তব নিদর্শন। ছোট্ট শিশুটি মায়ের কোলে অতি আদরে বড় হয়। এক সময় তার মুখে মায়ের মুখে শেখা বুলি ফুটে উঠে । এভাবে শিশুটি এক সময় স্কুল, কলেজ পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার করে কর্ম জীবনে পদার্পণ করে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো সকল শিশুই কি এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারে? এক বাক্যে উত্তর আসবে, না। এদের মধ্যে কেউ দারিদ্র্যতার পৃষ্ঠপোষকতায় জর্জরিত হয়ে স্থান পায় কোন সাহেব/সাহেবানের বাড়িতে কাজের ছেলে বা মেয়ে হিসেবে। কেউবা আবার বাবা-মায়ের সাথে কাজের সহায়তায় নিয়োজিত হয়। যে ছাত্র-ছাত্রী গুলো বিদ্যালয়ে যায় তাদের কিছু সংখ্যক প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেই ঝরে যায়। পরিবারের সঠিক তত্বাবধান না পেয়ে বা অভাবের তাড়নায় বাসা বাড়ি, দোকান বা গ্যারেজের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে বাধ্য হয় । এদের মধ্যে যে ছেলে মেয়ে গুলো মাধ্যমিক স্তরে পৌছালো তাদের কিছু অংশ বাল্য বিবাহ ইত্যাদির শিকার হয়ে থাকে। এর পর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যে ছেলে মেয়ে গুলো উপস্থিত হলো তারা যেন খাচা থেকে মুক্ত হওয়া পাখির মতো হয়ে গেল। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই অবস্থার ব্যতিক্রম হয়ে থাকে ,তবে এর হার অতি নগন্য। এ পর্যায়ে এসে অনেক ছেলে মেয়ের মাঝেই নেশার উপদ্রব পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এখানে আমজনতার কাছে একটা প্রশ্ন রেখে যায় কারা এই বয়সে মাদকের যোগান দিল? এরই মাঝে কেউ কেউ আবার অতি মহৎ কাজ করার উদ্দেশ্যে যোগ দেয় ছাত্র রাজনীতিতে। তাদের সেই মহৎ কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার, শিক্ষক পিটানোর মতো বিষয় গুলোও বিদ্যমান। আজকের এই ছাত্র সমাজ এতটাই ক্ষমতাশীল হয়েছে যে, আজ তারা দুরন্ত পথের দুরন্ত ঘোড়া। তাদের মুখে লাগাম দেবার মতো কেউ নেই। আজ আমরা কেউ এই ছাত্র সমাজের দোষারোপ করতে পারি না, কেননা এটা আমাদের মতো কিছু মানুষের প্রদান করা সুবিধার ফল যা তারা ব্যবহার করে আজকের ছাত্র সন্ত্রাস। অাজকের ছাত্র রাজনীতি মানই ক্ষমতার আধিপত্ব প্রতিষ্ঠা করা। এটা স্বীকার করতেই হবে আমাদের দুঃখিত হওয়ার কথা এই ভেবে যে আজকের ছাত্র রাজনীতিতে যারা জড়িত তার একটা বড় অংশই পথভ্রষ্ট, অবাধ্য ছাত্র। আর যদি তাই না হবে তবে কেন আমরা স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার করার পরেও একজন ভাসানী, ফজলুল হক, মুজিব পেলাম না? তবে কি আজকের ছাত্র সমাজ রাজনীতি বুঝেনা? তবে কি এই সমাজটাকে যারা নিয়ন্ত্রন করে তারা রাজনীতির ব্যাপারে সন্দিহান। রাজনীতি নিয়ে যারা চুল চেরা গবেষণা করেন তাঁরা কি পারেন না এই দেশের ছাত্র রাজনীতির অবকাঠামো পরিবর্তনের নকশা করতে। অবশ্যই পারেন তবে কেন করেন না?

বিঃদ্রঃ আমার লেখার কোন বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করে থাকলে আমায় বলবেন। আমার ভুল হলে আমি সংশোধন করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
সময় থাকলে আমার www.usefulearth.com সাইট টি ঘুরে আসবেন। নিশ্চয় ভাল লাগবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.