নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন
ভ্রমন করলে মানসিক প্রশান্তি, এক ঘেয়েমি দূর, স্বাস্থ্যগত নানা উপকার পাওয়া যায়। যার বৈজ্ঞানিক অনেক বিশ্লেষন আছে। আমি বিজ্ঞানের যুক্তিতে যাব না, ভ্রমন করে যে সকল বিষয় সুস্পষ্ঠ পরিবর্তন নিজের মধ্যে দেখেছি তার কিছুটা লেখার অপচেস্টা করেছি।
মানসিক প্রশান্তি: প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে পাথুরে মনের মানুষ ও একবার বলবেই সত্যি স্রস্টার সৃস্টি তুলনাহীন। এই একটি বাক্য তাকে অনেকদিন পাথুরে মন থেকে মুক্ত রাখবে আর ভ্রমন আগ্রহীদের কথা বাদই দিলাম।
বিশাল সমুদ্র বা বিশাল পাহাড়ের কাছে দাঁড়ালে মনে হয় আমরা কত ক্ষুদ্র, মনের অজান্তেই নিজের ভিতর লুকানো টুকরো টুকরো অহংকার নিমেষই দূর হয়ে যায়। ভ্রমনে গেলে নানান জায়গায় নানান মানুষের সাথে দেখা হয়, কথা হয়-পরিবর্তন আসে নিজের কথায়, ব্যাবহারে, যা আমাদের চলার পথে অনেক প্রভাব পড়ে।
এক ঘেয়েমি দূর: কর্মজীবনে বিশেষ করে যারা চাকরীজীবি তাদের প্রতিদিন সকালে অফিস রওনা আর রাতে বাসায় ফিরা যদি সুযোগ মেলে তাহলে টেলিভিশনে একটু বিণোদন (সুযোগ পেলে বললাম কারন বাসায় কেউ সিরিয়াল পাগল থাকলে তো কথায় নেই) জীবনের এই এক ঘেয়েমি মনকে অনেক ক্ষেত্রে অচিন্তা করতে উৎসাহ দেয়, তাই সময় ও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী কোথাও বেড়িয়ে আসা উচিত। প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে এক ঘেয়েমি তো থাকেই না বরং জীবনকে নতুন করে ভাবতে শিথায়, বাঁচতে শিখায়।
মানসিক প্রশান্তি ও এক ঘেয়েমি দূর করার সাথে সাথে স্বাস্থ্যগত একটা সুফল পাওয়া যায়, ভ্রমন করলে অনেক ক্ষেত্রে দলবেঁধে হাঁটতে হয়, ভিন্ন আবহাওয়ায় থাকতে হয় যা আমাদের সু-স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজন।
সুন্দর জীবন গঠনের জন্য খেলা-ধুলা অতি প্রয়োজন কিন্তু অমাদের দেশে শহর, নগরে খেলা-ধুলার মাঠ নেই বললেই চলে তাই উঠতি ছেলে-মেয়েরা জড়িয়ে পড়ছে মরন নেশায়, আর নেশার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে হাত মেলাচ্ছে এ দেশের নোংরা রাজনীতির সাথে।
আমরা যদি একটা ভ্রমন বান্ধব সমাজ গড়তে পারি তাহলে এ সকল উঠতি বয়সীরা ভ্রমনে উৎসাহ পাবে তাহলে তারা আর জড়াবে না উগ্রপন্হায়, খুঁজবে নতুন জীবন।
©somewhere in net ltd.