নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন
এক বনের ভিতর একটি নদী ছিল, নদীর পাশে ছোট্ট একটি টিলা ছিল, টিলার পাদদেশে সবুজ ঘাসে ভরা ছোট্ট একটি মাঠ ছিল। মাঠে চড়ে বেড়াত দুইটি গরু, গরু দুইটি দেখতে বেশ নাদুস-নুদুস ছিল, বেশ শক্তিশালীও ছিল, তাদের ভিতরে ছিল বেশ বন্ধুত্ব, একজন আরেক জনের বিপদে সবসময় এগিয়ে আসত। দু'জন মনের সুখে মাঠের ঘাস খেত, অার খেলা করত।
কিন্তু সমস্যা ছিল একটি- এই মাঠের ঘাস দিয়ে তাদের ছয়মাস চলত, তাই বাকি ছয়মাস খাওয়ার জন্য তাদেরকে- টিলা, নদী পার হয়ে ওপার যেতে হত। অনেক কষ্ট হত সেখানে যেতে, তবুও দুই বন্ধু মিলে-মিশে আনন্দ করতে করতে যেত।
এই বনে একটি বাঘ ছিল, নাদুস-নুদুস গরু দুইটি দেখে তার খুব লোভ হত, কিন্তু সে জানত শক্তিশালী দুইটি গরু বিরুদ্ধে একা পেরে উঠবে না, তাই লোভ সামলিয়ে রাখত। বাঘটি লোভ সামলিয়ে রাখলেও সে সর্বদা ভাবত- কি করে গরু দুইটি ভোগ করা যায়।
একদিন বাঘটি দেখল- গরু দুইটি মাঠের দুই প্রান্তে, সে এই সুযোগ নিল, বাঘটি বনের পাশের প্রান্তে থাকা গরুটির কাছে গেল- খুব বিনয়ের সাথে নানান কথা বলে ভাব জমিয়ে ফেলল, তারপর জিজ্ঞাসা করল-এই মাঠের ঘাস তাদের কয়মাস চলে-
গরুটি বলল- ছয়মাসের মত। বাঘটি বলল-বাকি ছয়মাস নিশ্চই খুব কষ্ট করে নদীর ওপার যেতে হয়-
গরুটি হ্যাঁসুচক মাথা নাড়াল। বাঘটি এইবার তার কু-বুদ্ধি প্রয়োগ করল, বাঘটি গরুটিকে বলল- তুমি চাইলে এই মাঠে সারা-বছর আনন্দে খেয়ে যেতে পার, গরুটি বিস্ময়ভাবে বাঘটির দিকে তাকাল-তারপর জানতে চাইল কিভাবে!
বাঘটি তাকে সুচতুরভাবে বুঝাল, তোমার বন্ধুটিকে যদি আমি মেরে নিয়ে যাই তাহলে তুমি আনন্দে সারা-বছর এখানে কাটাতে পারবে, কষ্ট করে ওপার আর যেতে হবে না। গরুটি প্রথমে প্রতিবাদ করলেও বাঘটির চতুরাতার কাছে হেরে গেল, লোভ ও তাকে খুব পেয়ে বসল, পিছে না ভেবে রাজী হয়ে গেল।
বাঘটি আনন্দে আত্নহারা হয়ে অপার পাশের গরুটিকে আক্রমন করল, গরুটি বাঁচার জন্য তার বন্ধু সাহায্য চেয়ে চিত্কার দিল, কিন্তু বন্ধুটি না শুনার ভান করে খেয়ে যেতে লাগল। বাঘ গরুটি নিয়ে বনের ভিতর চলে গেল, এক মাস আরাম-আয়াশে খেয়ে আবার ফিরে এল, এসে দেখে এই গরুটি আরও বেশি নাদুস-নুদুস হয়েছে- বাঘ গরুটির উপর হামলিয়ে পড়ল, গরুটি বাঘের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিল- বাঘ শুধু মুচকি মুচকি হাসতে থাকল, গরুটির কানে তখন তার বন্ধুর সেই করুণ চিত্কার বার বার আসতে লাগল।
দীক্ষা: "অতিথি বন্ধুর মিষ্টি কথায় সর্বদা পাশে থাকা বন্ধুকে ভুলে যাওয়া মানে, নিজেকে নিজেই ভুলে যাওয়া আর লোভ সর্বদা বিপদ ডেকে আনে"
( গল্পটি ২৫ বছর পূর্বে যখন আমি মক্তবে পড়তাম, তখন আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে শুনেছিলাম। তিনি প্রতিদিন আরবী পড়া শেষ হলে, একটি করে শিক্ষমূলক গল্প বলতেন। )
০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪১
শাহিন-৯৯ বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য, ভাই আমি একটা জিনিস সর্বদা মেনে চলি- আমি যদি কাউকে কখনও উপকার নাও করতে পারি তাতে আমার দুংখ নেই তবে আমার দ্বারা যেন কেউ কখনও বিপদে না পড়ে।
২| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৬
ওমেরা বলেছেন: বিপদেই প্রকৃত বন্ধর পরিচয় পাওয়া যায় । ধন্যবাদ
০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনি ১০০% ঠিক কথা বলেছেন, বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়, আপনাকেও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা কি শুধু গরুর জন্য প্রয়োজ্য, নাকি মানুষের জন্যও? গত ২৫ বছরের আপনার কাজে লেগেছে?