নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যরাত রাজনীতি: হেফাজাতের একাল-সেকাল।

২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬



এই সেই ছবি যে ছবি দেখে অাওয়াম লীগের মনে এক মিনিটের জন্য হলেও ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়ে বসেছিল, কিন্তু মধ্যরাতের রাজনীতি
এক নিমিষেই তা উড়িয়ে দেয়, ২০১৩ সালের ৫ মে'র সেই রাত এখনো অনেক মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। হেফাজাতের ইমান বাঁচানোর সেই অাহবানে সাড়া দিয়েছিল এদেশের সাধারণ মুসলমান।



এই ছবি নিয়ে বর্তমান বাংলাদেশে তুমুল অালোচনা-সমালোচনা চলছে, গতকাল মধ্যরাতে তা সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এই মুর্তিটির সরানোর সবচেয়ে জরালো দাবি ছিল হেফাজাত ইসলামের, এক কথায় বলা যায় তাদের দাবির মুখেই সরকার এটা করেছে।

কি বিচিত্র আমাদের দেশের রাজনীতি? ২০১৩ সালের ০৫ মে যাদের তাড়ানোর জন্য পুলিশ বাহিনির সাথে সাথে নিজস্ব পেটুয়া বাহিনী ব্যাবহার করেছিল, আজ তাদের কথায় মূতি সরালো কিন্তু এটা কি আওয়ামলীগ এমনি এমনি করল, আসলে আওয়ামলীগ যা করছে তা আগামী নির্বাচনের ভোটের হিসাব করে করছে।

কিন্তু ২০১৩ সালের ০৫ মে যারা শাপলা চত্বরে যারা এসেছিল সবাই কি হেফাজাতের কথামত ভোট দিবে?

এদেশের অধিকাংশ মুসলিম ধর্মভীরু, তারা সম্মন করে আলেম-ওলামাদের কিন্তু তাদের নিয়ে রাজনীতি করা কতটা যুক্তিযুক্ত।

( আমি ব্যাক্তিগতভাবে এই মূর্তিটি সরানোর পক্ষে )

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অপ-রাজনীতির ফল সবাকে খেতে হবে।

২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: নোংরা রাজনীতিও একটা সীমা আছে কিন্তু আমাদের দেশে নোংরা রাজনীতি সীমা নেই-অনন্ত সীমাহীন।

২| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: হেফাজাতের ইমান বাঁচানোর সেই অাহবানে সাড়া দিয়েছিল এদেশের সাধারণ মুসলমান

ভুল ধারনা আপনার। সারাদেশের মানুষ নয়। জামাতি গুন্ডা আর কওমি মাদ্রাসার কমলমতি বাচ্চাদের কে ভুল বুঝিয়ে এদের নিয়ে ঢুকেছিল কিছু অর্থলোভী ক্ষমতালিপ্সু ভন্ড এর এতে তাল দিয়েছিল জামাত, বি এন পি আর জাতীয় পার্টি। সাধারন মানুষ বহুত দূরে ছিল এই সব থেকে।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার কথা সঠিক ধরি কিভাবে, আপনি বলছেন- জামাত, বি এন পি আর জাতীয় পার্টি এতে তাল দিয়েছিল!!!. এখন আপনি নিজে বলুনতো- এই তিন দল এ দেশের কত পারসেন্ট মানুষের প্রতিনিধি?

৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিড়াল কালো কি ধলো উহা বিবেচ্য নহে , বিড়াল ইঁদুর মারে কি না , উহাই বিবেচ্য ! সরকারে কে আছে উহা দিয়া কি হইবে ? মূর্তি সরানো ভালো কাম হইছে ! আর যাই হোক , পাঁঠারা স্বমেহন হইতে বঞ্চিত হইয়াছে ! এহন নিজের বিচিতে জব্বর কামড় দেওন ছাড়া তাগো আর কুনু উপায় দেহি না !

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: বিড়াল কালো কি ধলো উহা বিবেচ্য নহে , বিড়াল ইঁদুর মারে কি না , আমিও তাই বলি-কিন্তু শুধুমাত্র স্বার্থের কারনে
সাদা বিড়াল কখনও কালো রং করে কালো বানানো আবার প্রয়োজনে ধুয়ে সাদা বানানো খুবই খারাপ।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশে সাধারন মানুষ আর পার্টি এই দুই এর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে। পার্টি গুটি কয়েক স্বার্থবাদি মানুষ কে পুজি করে ক্ষমতা প্রদর্শন করে। আর সাধারন মানুষ তারা নির্বিকার চেয়ে দেখে আর ভাবে পিপিলিকার পাখা হয় মরিবার তরে।

এই তিন দল এ দেশের কত পারসেন্ট মানুষের প্রতিনিধি?

এই তিন না ৪ দলের কথাই বলি ৫% লোক এদের প্রতিনিধি বাকি সব সাধারন মানুষ, এরা কার প্রতিনিধি না, আজীবন এরা ভুক্তভুগি তার পরেও বাদর নাচ দেখতে এরা অনেক পছন্দ করে আর তাই এরা দেখছে।

সাধারন জনগনের উপস্থিতি যদি দেখতে চান তবে দেখুন রাজাকার দের ফাসির দাবির মঞ্চে মানুষের সহজ যোগদান। ওখানে কিন্তু হিন্দু বৌধ্য মুসলিম খ্রিষ্টান , মাদ্রাসার ছাত্র, স্কুলের ছাত্র, গৃহিনি, রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, রাস্তার ফকির পর্যন্ত ছিল। অবশ্য কেউ কেউ এতে বিরানির গন্ধ পায়, গন্ধ গোঁকুলরা আবার সেই ৫% দেরই সাউন্ডবক্স, একটু তো আওয়াজ হবেই।

পরিশেষে এটাই বলব পার্টির সাথে সাধারন মানুষের কোন আত্মিক যোগাযোগ নেই, হয়ত এক সময় ছিল, নতুবা ৫২ ৭১ হতো না। কিন্তু বর্তমানে আত্মিক যোগাযোগ ০ এর কোঠায়।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনি ঠিক যেভাবে শাহবাগ মঞ্চকে সাধারণ মানুষের ভাবছেন, ঠিক একইভাবে অনেকে শাপলা মঞ্চকে সাধারণ মুসলমানের অংশগ্রহন হিসাবে দেখেছে। জানি এ নিয়ে সারা-রাত যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দেওয়া যাবে, আমি তা চাচ্ছি না,

আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০৫

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: শাহবাগের আন্দোলনে সত্যিই সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল। এজন্যই শাপলা চত্ত্বর শাহবাগ হতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তীতে শাহবাগীদের ইসলাম বিদ্বেষ আর নোংরা ব্যক্তি জীবনের কাহিনী ফাস হতে থাকলে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর সরকারের অনিয়ম দুর্নীতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যু একটু একটু করে চাপা পড়তে থাকে। ত্রিশ পার্সেন্ট নাতিপুতি কোটা দিয়ে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিজেই গলা টিপে হত্যা করে। পহেলা বৈশাখ, কুরবানির ইদ নিয়ে কয়েক বছর ধরে বামদের নির্লজ্জ বেহায়াপনা জনগণকে বিরক্ত করে। যার ফলে দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। শাহবাগে এখন যত লোক জমায়েত হয়, "বাসায় বিরিয়ানি রান্না হয়েছে" লিখে ফেবুতে পোস্ট দিলে আমার বাসায় তার চেয়ে বেশি মানুষ হাজির হবে। জড়িপ করলে দেখা যাবে দেশের ৮০% মানুষই এখন ডান ঘেঁষা। দেশের মানুষ সাধারণত মধ্যপন্থী হলেও বামদের প্রতি ঘৃণা থেকেই ডানপন্থী মনোভাবের জন্ম। লীগের চতুর নেতারা বিষয়টা ধরতে পেরে হেফাজতকে কাছে টানছে।

২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার সাথে আমি ১০০% সহমত।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


তবে, হেজতেরা কিছুই চাহেনী, ছোট বাচ্চার মতো একটা মোয়া চেয়েছে

২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: চাঁদ গাজী ভাই মানুষের লোভ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু তা নিয়ে
নোংরামি ঠিক নয়।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

অগ্নিপাখি বলেছেন: লেখকের কাছে জানতে চাই- কেন আপনি এই "ভাস্কর্য" টি সরানোর পক্ষে?
আপনি এই "ভাস্কর্য" কে "মূর্তি" বলে আখ্যায়িত করেছে। মূর্তি আর ভাস্কর্যের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান।
উত্তর পাবো আশা করি।

২৭ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এই চুরি করা শিল্পকর্ম এখানে থাকুক এটা মনে হয় আপনিও চান না, চুরি করা বললাম এই কারণে - মৃণাল হক নিজেই বলেছেন-গ্রীক দেবীর ভাস্কর্যটি যোজন-বিয়োজন করে বাঙ্গালী মেয়ের সাঁজে আনা হয়েছে।

আর আমি ব্যাক্তিগতভাবে এসব ভাস্কর্য বলেন আর মূর্তি বলেন- এগুলো সরকারী টাকা খরচ করে বানানোর বিপক্ষে কারণ এদেশ এখনো মানুষের মেীলিক অধিকারগুলো পূরণে অনেক পিছিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.