নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামলীগ সমর্থক ভাইদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫



আমি এখানে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম " আসুন, এদের কে ক্ষমা করে দেই!! সেখানে কিছু মন্তব্য আর আমার ব্যাক্তিগত জানার আগ্রহ থেকে কিছু প্রশ্ন করছি। এখানে প্রশ্ন করার মূল উদেশ্য হল- এখানে আওয়ামলীগের শিক্ষিত লোক থাকে (কিভাবে বুঝলাম তাঁরা শিক্ষিত? কিছু লিখলেই বা মন্তব্য করলে তাঁরা বলে যা জানেন না তা নিয়ে কথা না বলা ভাল, তার মানে তাঁরা ঐ সব বিষয় ভাল বুঝে) আওয়ামলীগ সমর্থক ভাইরা জিয়াউর রহমানকে দেখতে পারে না কারণ তাদের যুক্তি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিলেন। যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন।
এখন আমার প্রশ্নঃ
১) বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের মূল পথ রচনাকারী জাসদ কেন আওয়ামলীগের সাথে?
২) তাঁরা কেন মন্ত্রী?

আওয়ামলীগ সব সময় মনে করে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল করা ঠিক ছিল। তিনি দেশের উন্নয়ণ স্বার্থে বাকশাল করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পিছনে বাকশালকে যুক্তি হিসাবে দাঁড় করায় হত্যাকারীরা। আওয়ামলীগের দৃষ্টিতে, দেশের বিরুধীদের দেশের উন্নয়ন পছন্দ ছিল না তাই তাঁরা বাকশালকে পুঁজি করে নির্মম হত্যাকান্ড ঘঠায়।
এখন আমার প্রশ্নঃ
১) বাকশাল যদি দেশের উন্নয়ণে হয়, তাহলে আওয়ামলীগ কেন বঙ্গবন্ধুর জীবন দামের বাকশাল ছেড়ে আবার অাওয়ামলীগে ফিরে এল?
২) বি,এন,পি-জামায়াত জাসদের চাইতে দেশ বিরুধী এবং তাঁরা উন্নয়ন চাই না, তাহলে আওয়ামলীগ প্রায় পনের বছর রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়েও দেশের উন্নয়ণের প্রতিক বাকশালে ফিরে যাচ্ছে না?

ইতিহাস জানার অধিকার সবার আছে, আমার মত অশিক্ষিতদের ও অধিকার আছে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম তারা কিভাবে ইতিহাস জানব, নিশ্চই বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে। কার বই পড়ে শিখব, নিশ্চই যারা মুক্তিযোক্তা ছিলেন বা সংগঠিত করেছেন।
একটা বইয়ের উদাহরণ দেই- বইয়ের নাম: ৭১-ভিতরে বাইরে, লেখকঃ এ,কে খন্দকার, বীর উত্তম। লেখক পরিচিতি: মুক্তিযুদ্ধদের সময় ডেপুটি চিপ অফ স্টাফ, সেক্টর ফোরামের সভাপতি ছিলেন, ছিলেন আওয়ামলীগের মন্ত্রী, ২০১১ সালের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত।
তার বইয়ের উল্লেযোখ্য বির্তকিত তা হল, তিনি বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন- বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ শেষে জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান বলেছিলেন আর কিছু ব্যাক্তি মতামত তুলে ধরেছেন। তারপর তাকে নিয়ে আওয়ামলীগের বক্তব্য মোটামুটি সবার জানা।
এখন আমার প্রশ্নঃ
১) কাদের বই পড়লে আমি সঠিক ইতিহাস জানতে পারব?
২) আওয়ামলীগের মতে বাইরে গেলে সেই বই কি অগ্রহণযোগ্য আর সেই লেখক কি নব্য রাজাকার?

আওয়ামলীগের দৃষ্টিতে- জামায়াতের সব লোক রাজাকার এবং দেশ বিরুধী।কিন্তু পত্র-পত্রিকায় বা স্বচক্ষে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের এলাকার আমির, রোকন আওয়ামলীগে যোগ দিচ্ছে।
এখন আমার প্রশ্নঃ
১) আওয়ামলীগে যোগ দিলেই কি জামায়াত সদস্য দেশ প্রেমিক হয়ে গেল?
২) নাকি আওয়ামলীগ এমন এক মেশিন যার এক দিক দিয়ে রাজাকার ঢুকালে অন্য দিক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বের হয়।

সর্বশেষ কথা হচ্ছে আমি রাজনৈতিক ফেরিওয়ালা নই তাই আপনাদের মন্তব্যগুলো রুচিশীল হবে বলে আশাকরি।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: দেখা যাক, তারা কি উত্তর দেয়। যাই দেক, বায়াসড উত্তর ই দিবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আশাকরি ভাল উত্তর দিবে।
আপনার দৃষ্টিতে কি হতে পারে আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো।

মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি আওয়ামী লীগের সমর্থ নই; তারপরও রাজনৈতিক পোষ্ট হিসেবে মন্তব্য করতে চাচ্ছি।

১) শেখ সাহেবকে হত্যা করেছে সিআইএ, তারা ধারণা করেছিল যে, যুদ্ধের থেকেই বাংলাদেশ সোভিয়েত ব্লকের সাহায্য পেয়ে এসেছে; শেখ সাহেব বাংলাদেশকে সোভিয়েত ব্লগে নিচ্ছে।

সিআইএ ২ পয়সা দিয়ে কিছু মিলিটারী অফিসারকে কিনেছিল, জেনারেল জিয়াকে নিয়েছিল শাসন ক্ষমতা দখল করে, দেশকে ক্যাপিটেলিজমে নিতে; বাকী জাসদ মাসদ বাই-প্রোডাক্ট।

বাকশাল ছিল সর্বদলীয় প্লাটফরম; শেখ সাহেব মানুষকে সঠিকভাবে জানতে দেননি, উহা কেন, কিভাবে জাতি উপকৃত হবে! শেখ সাহেবের জনপ্রয়তার ধ্বসের সুযোগ নিয়ে, সিআইএ বিশাল পয়সা খরচ করে বাকশালের বিপক্ষে এমন প্রচারণা চালায় যে, স্বপ্প ধারণার বাংগালীরা কিছুই বুঝতে পারেনি।

ইনু, জাসদ ও আওয়ামী লীগের শেখ সাহেব বিরোধীদের কেন শেখ হাসিনা সাথে রেখেছেন? বিএনপি জামাতকে কট্রোলে আনার জন্য; উনি সুযোগ মতো, সময় মতো সবাইকে শাস্তি দেবেন।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার এ্যানালাইসিস ভাল লাগলো,
আওয়ামী কি আপনার মত করে ভাবে?

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

করুণাধারা বলেছেন: বসে রইলাম উত্তর পাবার জন্য। মনে হচ্ছে খুব কঠিন প্রশ্ন করে ফেলেছেন, কেউ তো উত্তর নিয়ে এল না।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: অপেক্ষায় আছি, আশা করি ভাল উত্তর পাব।
আপনার কি কোন উত্তর জানা আছে?
থাকলে চাঁদগাজী ভাইয়ের মত জানাতে পারেন আমাকে।

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: না, জানা নেই। তবে এটা জানি ইতিহাসে কিছু গোঁজামিল দেয়া আছে। আপনার প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত পাবেন না।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এই গোঁজামিল ইতিহাস জাতিকে শেষ করে দিয়েছে।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

কানিজ রিনা বলেছেন: সব রকম ডাল চাল মিশে গেছে এখন
এই ডালচাল আলাদা করার মানুষ নাই।
হয়ত আর আলাদা করাও সম্ভব না।
তাই এভাবেই খিচুরী পাকায়া নিতাতিপাত
করতে হবে। খিচুরি অভক্তিতে অপমান।
ইহাই রাজনীতি যথারীতি। ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে এখনও বেঁচে আছেন তারপরেও ইতিহাসের এই অবস্থা আর সবাই মারা গেলে???

সুন্দর মন্তব্যর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: পাকিমনা রাজাকার বান্ধবদের কাছে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ সবসময়ই 'গোজামিল' বলে মনে হয়...এখানে গোজামিল বলে কিছুই নাই...ফকফকা ইতিহাস....পাকিরা শোষন করত বুটের তলায় নিয়ে...বংগবন্ধুর দৃপ্ত দৃড়তায় বাংগালী স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং নয়মাস পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়....এর মাঝে কোন গোজামিল নাই...ক্ষুদ্র স্বার্থে কিছু কিছু লোক স্বাধীনতা টা কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই অর্জনটাকে গোজামিল বলে চালিয়ে দেয় যেমন কোন মুক্তিযোদ্ধা হয়ত জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রিকশা চালিয়ে জীবন যাপন করছে এমন ছবি নিয়ে জামাতি/রাজাকার রা অনলাইন গরম করে ফেলে ...একজনের এমন করুন পরিনিতীতে মহান স্বাধীনতা টা গোজামিল হয়ে যায় না...এটা একটা উচিলা মাত্র পাকি মনাদের

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ভাই, আমি জানতে চাইলাম কি আর আপনি জানালেন কি!!!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই, বিতর্ক পরবর্তী সময়ের।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি নিজে বললেন ইতিহাসে গোজামিল ------ ৪ নং মন্তব্যে

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমি যে প্রশ্নগুলো করেছি ঐ গুলোর কিছু উত্তর খুঁজতে গিয়েই খোঁজামিল ইতিহাস পেয়েছি, আশাকরি আমার কথা আপনি বুঝতে পেরেছেন,

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২

রায়হান চৌঃ বলেছেন: এত কিছু বুঝিনা বা বুঝতে ও চাই না.... সোজা কথা হলো ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদান, এটা দরকার ছিল... কিন্তু ৭১ পরবর্তি সময়ে যারা ই বাংলাদেশ এর শার্থ ছেড়ে ভারত বা পাকিস্তানের ইয়ে চাটিয়াছে বঝতে হবে তারা ৭১ এর ফলাফল মানে আমি বলতে চাচ্ছি "War Child" তাদের শরীরে ও দের রক্ত রহিয়াছে।

সুতরাং বুঝে নিন

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশ কে অস্বীকার করা একথা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি- আমার বক্তব্য ছিল অন্য কিছু হয়তো আপনি তা বুঝতে ভুল করেছেন বা আমি ঠিক মত লিখতে পারিনি।

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২০

রায়হান চৌঃ বলেছেন: জ্বী না জনাব,
আপনার বক্তব্য আমি খুব ভালোভাবে ই বুঝতে পেরেছি, তবে আমি খুব ঠান্ডা মাথায় বলছি যে "বাংলাদেশের সার্থ ছাড়া যারা অন্য কিছু চিন্তা করে তারা সবাই ১৯৭১ এর War Child " এবার হোক সে চামার- মুচি অথবা কোন পীর সাহেব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.