নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন
(সব ছবি আমার কর্মস্থলের)
আমি একজন পোশাক শিল্প কর্মী, গত বার বছর কাটিয়েছি এই শিল্পের মাঝে। আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে-এই শিল্পের বর্তমান হাল-চাল।
বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হল এই পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের প্রায় ৮০% ভাগ আসে এই শিল্প থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে এই পোশাক কারখানা আছে প্রায় ৪২০০-৪৫০০ মত যেখানে প্রত্যক্ষভাবে কর্মে নিয়োজিত আছে প্রায় চল্লিশ লক্ষ মানুষ তাছাড়া পরোক্ষভাবে আরও দশ লক্ষ মানুষ এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। অনেক জায়গায় স্থানীয় অর্থনীতি চরম উন্নয়ন এই পোশাক শিল্পের কারণে। আজকে সরকার যে নারী উন্নয়ন রুপরেখা দেখায় তার অধিকাংশ কৃতিত্ব এই শিল্পের, কারণ এই শিল্পে নিয়োজিত কর্মীদের প্রায় ৮০% নারী।
খুব সংক্ষেপে, কিছু প্রশ্নভিত্তিক উত্তর খুঁজি এই শিল্প নিয়ে।
১) কেমন আছে অর্থনীতির চালিকা শক্তি এই শিল্পের কর্মরত শ্রমিকরা?
২)প্রয়োজনীয় কতটুকু দক্ষ জনবল তৈরী করেছি আমরা?
৩) কেন এই শিল্পের অশনি সংকেত দেখচ্ছি আমি?
পোশাক শিল্পকে দুই অংশে ভাগ করা যায়-১) টেক্সটাইল ২) গামেন্টস
গামেন্টসের তুলনায় টেক্সটাইলে অনেক বেশী সুযোগ পাওয়া যায় কারণ এখানে অনেক শিক্ষিত লোক থাকে পক্ষান্তরে গামেন্টসে বেশীভাগ স্বাক্ষর শিক্ষিত। তাই এ শিল্পে সবচেয়ে অবহেলিত অংশ হল গামেন্টস। আমরা মাঝে-মধ্যে যে শ্রমিক আন্দোলন দেখি তা মূলত এই সেকশনের শ্রমিকরা। এখনও অনেক কারখানা আছে যেখানে সরকার কতৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই সব শ্রমিকরা।
এই শিল্পে প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন, কিন্তু সেই পরিমাণ দক্ষ জনবল আমরা তৈরী করতে পারিনি বা পারচ্ছি না যার কারণে এই শিল্পে ঢুকে পড়েছে- চীন, পাকিস্তান, শ্রীলংঙ্কা, ভারতের লোকবল। যাদের বিশাল একটা অংশ ম্যানেজমেন্টে দায়িত্বরত। তারা কোম্পানীর অধিক লাভ দেখাতে গিয়ে শ্রমিকের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে তাতে করে বাড়ছে ম্যানেজমেন্টে-শ্রমিক দুরত্ব। যা এই শিল্পের জন্য মোটেও ভাল নয়।
এই শিল্পের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে গামেন্টস টেস্টিং জগৎ যা পুরোপুরি বিদেশীদের দখলে যেমন- SGS, ITS, Intetack.
এখানে প্রায় বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা।
কেন আমি অশনি সংকেত দেখচ্ছি- আমাদের দেশে নিয়োজিত বিদেশী জনবল হল-চীন,পাকিস্তান,শ্রীংলঙ্কা,ভারতের লোকজন, আর এই দেশগুলো আমাদের এই শিল্পের প্রতিযোগি। আমি আগে বলেছি তাদের সাথে সাধারণ শ্রমিকদের তেমন মিলছে না, তার উপর পায় না নায্য অধিকার, এখন যদি আমাদের শিল্প ক্ষতির ইচ্ছায় তারা শ্রমিক উস্কে দেয়, তাহলে এই শিল্প অনেক ক্ষতির মুখে পড়বে।
উপরের সব মেশিনগুলো এই শিল্পের ব্যবহৃত হয়, সুইডেন, ইংল্যান্ড, ভারত থেকে কোটি কোটি ডলার খরচ এগুলো আমদানী করতে হয়।
খুব দ্রুত আমরা যদি দক্ষ জনবল না তৈরী করতে পারি তাহলে এ শিল্পের ভবিষ্যত খুবই খারাপ হবে। কারণ মেশিন তৈরী করার মত প্রযুক্তি, কাঁচামাল আমাদের নেই।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। সরকারকে এগুলো খুব জরুরীভাবে খেয়াল করতে হবে।
আপনার মন্তব্যর জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
জাহিদ হাসান বলেছেন:
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন: কি বুঝাতে চাইছেন বুঝি নাই, যদি কষ্ট করে বুঝিয়ে দিতেন তাহলে খুশি হতাম।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারত, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, উজবেক, ইন্দোনেশিয়া ভাগ বসাবে
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন: এখনি সাবধান না হলে তা হবে সময়ের ব্যাপার।
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
কালীদাস বলেছেন: জনবল স্বল্প। মার্কেট ধরে রাখার জন্য মেকানিকাল দিক থেকে আরও সাউন্ড হওয়া উচিত, খুব ফাস্ট। হিউম্যান লেবারের বিকল্প খুঁজছে সবাই, মেশিনকে ২৪/৭ কাজ করান যায়। চাইনিজরা ধীরে ধীরে এই সেক্টরটাও দখল করার পথে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
শাহিন-৯৯ বলেছেন: সহমত, মানব শক্তি তৈরী করতে পারলে আমরা দ্রুত উন্নয়নের দিকে ধাপিত হতে পারব।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বাংলাদেশ যদি এ সেক্টর টা হারিয়ে ফেলে তাহলে কোনটার দিকে নজর দিবে? বা তখন আসলে কি করা উচিত?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
শাহিন-৯৯ বলেছেন: উন্নত কৃষি ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে পারলে এই শিল্পের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিজিএমইএ ট্রেনিং দিয়ে কাদের বের করছে? তারা কি ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানী. শ্রীলংকানদের রিপ্লেস করতে পারছে না?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৮
শাহিন-৯৯ বলেছেন: কোয়ালিটি মানের খুবই কম বের হয় এখান থেকে।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: গার্মেন্টস সেক্টরের আপার লেভেলে মাত্রাতিরিক্ত বিদেশী নিয়োগ আমাদের ক্ষতি করছে |কিন্তু এতো বছরেও এর কোনো সমাধান আমরা করতে পারলাম না এটাই একটা আশ্চর্যের ব্যাপার ! আপনার পুরো লেখাটার সাথেই আসলে দ্বিমত করার খুব বেশি সুযোগ নেই | খুব সুন্দর হয়েছে এই লেখাটা |
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
হাঙ্গামা বলেছেন: আমি নিজে একটা ওয়াশিং প্ল্যান্ট এ কাজ করি।
আমাদের এই শিল্পের মালিকরা নিজেরা কি এ বিষয়ে সচেতন?
তারা নিজেরাই খুজে খুজে ম্যানেজমেন্টের টপ পজিশিন গুলাতে বিদেশীদের বসায়।
তারা নিজেরাই মনে করে ইন্ডিয়ান শ্রীলঙ্কানরা এসব যায়গায় অনেক বেশি কর্মদক্ষ।
বাস্তবে ম্যানেজমেন্টের ঐসব টপ পজিশনে বসার মত আমাদের দেশীয় প্রচুর কর্মদক্ষ মানুষ থাকা সত্তে ও তাদের নিয়োগ দেয়া হয় না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
শাহিন-৯৯ বলেছেন: বিদেশী নিয়োগ দেওয়ার আরেকটি কারণ তারা buyer নিয়ে ভাল কাজ করতে পারে, আপনি এ শিল্পের লোক আপনার অবশ্যই অভিজ্ঞতা আছে।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
বাংলাদেশের পোশাক বলেছেন: পোশাক শিল্প নিয়ে সুন্দর লেখা ৷ আমিও এই শিল্পে জড়িত ৷
http://www.apparelexportgr.com
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফান্ডামেন্টাল বেস দুর্বল থাকলে কোন শিল্প খাত এই ওপেন মার্কেট ইকনমিতে টিকে থাকতে পারবে না। ধসে পড়াটা শুধু সময়ের ব্যাপার।