নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার স্বপ্ন ছিল ঘাতক রাজাকারদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার জীবদ্দশায় দেখার। আমার আর কোনো চাওয়া নেই তবে জামাতের সব ব্যবসা প্রতিস্ঠান অচিরেই বাংলাদেশে বন্ধকরা উচিত। না হলে ওরা আবার অঙ্কুর উদগম করবে এই মাটিতেই।

শাহীন ভূইঁয়া

বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না

শাহীন ভূইঁয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রলীগ যুবলীগের কিচ্ছা শুনুন তবে .........পত্রিকায় প্রকাশিত

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

যুবলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দীন খান মিল্কি হত্যাকাণ্ডের আরেক আসামি যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলকে আটক করতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।



রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায় তাকে গ্রেফতারে হন্যে হয়ে ঘুরছে ৠাব-পুলিশ।এরই মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে চঞ্চলের এক আত্মীয় পাপ্পুকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে পাপ্পুকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেনি ৠাব-পুলিশ। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর আটক করে নিয়ে যায়।



চাঞ্চল্যকর এ হত্যার প্রধান আসামি তারেকসহ তার এক সহযোগী ৠাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর চঞ্চলকে গ্রেফতারে ৠাব পুলিশ ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে।



গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নূরে আজম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘পাপ্পুকে আমরা আটক করি নি। তার আটকের খবর আমাদের কাছে নেই। তবে মিল্কি হত্যাকাণ্ডের আসামি চঞ্চলকে গ্রেফতারে আমরা কাজ করছি। শুধু চঞ্চল নয়, এ মামলার পলাতক অন্য আসামি জাহিদুল ইসলাম টিপু, সোহেল ওরফে কার্নি সোহেল, জাহাঙ্গীর মন্ডল এবং ওয়াহেদুল ইসলাম আরিফকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’



তিনি বলেন, ‘রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে এই আসামিদের ধরতে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। পাশাপাশি তারা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে ব্যাপারে বিমানবন্দর, নৌবন্দর এবং স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’



র্যাব-১ এর অপারেশন অফিসার মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘পাপ্পুকে আটকের খবর আমার কাছে নেই। তবে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের অন্য আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জায়গায় তাকে গ্রেফতারের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’



যুবলীগ নেতা মিল্কিকে একেবারে কাছ থেকে গুলি করে তারেক। ধারণা করা হচ্ছে, তারেক ও সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের সঙ্গে ঠিকাদারি ও রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে হত্যার শিকার হন মিল্কি। ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে তারেক সরাসির এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। আর দূর থেকে মনিটরিং করে চঞ্চল। চঞ্চল গ্রেফতার হলে হত্যার রহস্য পুরো উদঘাটন হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।



চঞ্চল যুবলীগে নতুন। অভিযোগ রয়েছে যুবলীগের শীর্ষ এক নেতাকে দুই কোটি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সে এই পদ নিয়েছে। আর পদ পাওয়ার পর থেকে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে নিজের আধিপত্যের প্রমাণ দিতে চেয়েছে।



কে এই চঞ্চল

২০০৩ সালেও চঞ্চল ছিল অটোরিকশা চালক। ২০০৫ সালে পরিচয় হয় বাড্ডার আবাসিক হোটেলের বয় রহমানের সঙ্গে। হোটেল সূত্রে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে রাজধানীর অভিজাত এলাকার মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। বাড়তে থাকে তার নেটওয়ার্ক। শুধু অভিজাত এলকায় অবৈধ কাজে নারী সরবরাহের টাকায় চঞ্চল রাজধানীতে গড়ে তুলেছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট আর জমি। যার বাজারমূল্য অন্তত ৫০ কোটি টাকা।



২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড্ডা এলাকার নজরুল েএক মন্ত্রীর সঙ্গে দলের সমর্থক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় চঞ্চলকে। সরকারি ক্ষমতার ছত্র-ছায়ায় চঞ্চল হয়ে ওঠে অদম্য।



জানা যায়, এ দুই গুরু-শিষ্য বিগত চার বছরে গুলশান-বাড্ডা এলাকায় ছিল স্বঘোষিত মন্ত্রী! স্থানীয় থানা কোন আসামিকে ছাড়বে আর কাকে আসামি বানিয়ে ধরতে হবে, তা নির্ধারণ করে দিত চঞ্চল-নজরুল। এ বাণিজ্যে গত কয়েক বছরে তারা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।



স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, থানা কিংবা মহানগরের কোনো পর্যায়ে পদ না থাকলেও তারা নিজেদের যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে আসছিলো। ক্ষমতার দাপট ধরে রাখতে দুই কোটি টাকা নজরানা দিয়ে যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেয় চঞ্চল।



আর এই পদ পাওয়ার পরপরই বাড্ডা যুবলীগের আহ্বায়ক কায়সার মাহমুদ, সুমন, বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তালাল রিজভী, গুলশান থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক মিলন ও রাকিব নামে এক ব্যক্তিকে ধারাব‍াহিকভাবে তাদের বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলি চালায় এ বাহিনী। এছাড়া চঞ্চল বাহিনীর সঙ্গে জয়নাল বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে নিহত হন পোশাক কর্মী সোহাগ।



হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েও লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল তার। অভিযোগ রয়েছে চঞ্চল ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মোট আটটি অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। যেগুলো বিভিন্ন সময় ব্যবহৃত হয় চঞ্চল বাহিনীর সদস্যদের নানা অপকর্মে।



স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বড় কোনো ব্যবসায়ী না হয়েও সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল বাগিয়ে নিয়েছে অস্ত্রের লাইসেন্স। অথচ তার বিরুদ্ধে বাড্ডার ফরহাদ এবং গোড়ানের অ্যাপোলো হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।



সূত্রগুলো আরও জানায়, অস্ত্রের লাইসেন্স বাগিয়ে নেওয়ার পর এ যুবলীগ নেতা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সবসময় সে কোমরে অস্ত্র গুঁজে চলাফেরা করে। কথায় কথায় অস্ত্র বের করে হুমকি-ধামকি দেয় যাকে-তাকে। অভিযোগ রয়েছে গুলশান ও বাড্ডার নানা অপকর্মের হোতা নজরুল-চঞ্চলের ভয়েই উল্টো তটস্থ থাকে পুলিশ ।

কপি+পেষ্ট এখান থেকে=http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=ad6585ff33c504f84b6a178e641d98d0&nttl=20130801032925214596

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা !!!!!!!!!!

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: ১০ নং মহাবিপদ সংকেত , অোটো ড্রাইভার যখন লীগের সদস্য হয় ......এটাই স্বাভাবিক

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২১

মদন বলেছেন: জয় বাংলা

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

নতুন বলেছেন: ভাল না.. ভাল তো.... এই না হইলে আমগো দেশের নেতা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.