![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না
পাঠকের সাড়া পেলে নতুন প্রজন্মের অজানা সেই আশির দশকের সাড়া জাগানিয়া শফিক রেহমান সম্পাদিত "যায় যায় দিন" পত্রিকায় প্রকাশিত প্রেমলীলা বিষয়ক গল্পচ্ছটা ধারাবাহিক ভাবে প্রচারিত হতে পারে।
প্রেমলীলা * পর্ব -১
----++++++
স্বামী তার স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অথবা স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুর পরে শোকে মুহ্যমান থাকেন। সাধারনত এই দৃশ্যটাই বিশ্বজুড়ে দেখা যায়। তবে তার ব্যতীক্রমও দেখা যায়।
মি.ও মিসেস গোল্ডবার্গ বহু বছর সুখী দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছিলেন। অন্তত তাই তাদের প্রতিবে্শীদের মনে হয়েছিল। হঠাত একটা সাধারন অসুখে মি. গোল্ডবার্গ পরলোকে চলে গেলেন। যথারীতি তাকে সমাধিস্ত করে বাড়িতে ফিরে এলেন মিসেস গোল্ডবার্গ। সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী মিসেস স্টোল যিনি তার স্বামীকে হারিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। বাড়ীতে ঢুকেই মিসেস গোল্ডবার্গ সোজা চলে গেলেন তার কিচেনে।সদ্য বিধবা শুরু করলেন রাতের রান্না। তিনি খুব যত্ন করে পেঁয়াজ, রসুন কাটলেন, ফ্রাইং প্যানে তেল ঢাললেন এবং গ্যাসের চুলো অন করলেন।
তেল একটু গরম হতেই মিসেস গোল্ডবার্গ তার হ্যান্ডব্যাগ থেকে একটা প্যাকেট বের করে তার মোড়ক খুলতে লাগলেন।
তুমি আমাকে আজ সসেজ খাওয়াবে? আমি কিছুতেই আজ সসেজ খাবো না। মিসেস স্টোল আপত্তি জানালেন।
আমি দুঃখিত। এটা তোমার জন্য নয়। তোমাকে আমি অন্য খাবার দেব। এটা আমার জন্য।
সসেজ সাধারনত গরু অথবা শুকরের মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী হয় এবং আকৃতিতে শিক কাবাবের মতো। বাংলাদেশে মুরগীর মাংসেরও সসেজ পাওয়া যায়। কিন্ত বিদেশে সসেজ একটি সাধারন খাবার। তাই কবরস্থান থেকে ফিরে সরাসরি সসেজ রান্না করতে দেখে মিসেস স্টোল অবাক হলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন।
তুমি আজ এইমুহুর্তে সসেজ রান্না করছো কেন?
দীর্ঘ ছত্রিশ বছর আমাদের দাম্পত্য জীবন ছিল। কিন্ত কোনোদিনই আমি আমার শখ মিটিয়ে পেয়াজ, রসুন দিয়ে সসেজ খেতে পারিনি।ওর কাছে পেয়াঁজ রসুন চক্ষুশুল ছিল। ফ্রাইং প্যানে কুচি কুচি করে কাটা পেয়াঁজ,রসুন ঢেলে ধীরে ধীরে সসেজ নাড়তে নাড়তে মিসেস গোল্ডবার্গ উত্তর দিলেন।
©somewhere in net ltd.