![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
"শুধু রমজান মাসটা যেতে দিন, রমজানের পর জনগন বুঝবে কি সুখে তাঁরা ছিল! সাড়ে চার বছরের সকল উন্নয়ন ফিরত নেওয়া হবে।"
এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা।
এবার আমার একটা গল্প শুনেন। আমাদের গ্রামে একটা বোকা-সোকা লোক ছিল,তাঁর নাম চাঁন মিঞা। তাঁর যখন বিয়ের বয়স হয়েছে যথারীতি তাঁর বাবা,মা তাকে পাশের গ্রামে বিয়ে দিয়ে দিল। বউ পেয়েতো সে মহা খুশি। সারাদিন বউয়ের পিছন-পিছন ঘুরে। এক মূহুর্তের জন্য চোখের আড়াল হতে দেয়না। আগে গ্রামে একটা প্রথা ছিল নতুন বিবাহিত মেয়েদেরকে তাঁর বাপ অথবা ভাই এসে নাইওর নিয়ে যেত। বর যেত দু-একদিন পর। চান মিঞার বউকেও তাঁর বাপের বাড়ি নাইওর যেতে হল। বেচারা বউ পাগল চাঁন মিঞা অতি কষ্টে দুই দিন কাটিয়ে তৃতীয় দিন খুশি মনে শশুড় বাড়ির দিকে রওয়ানা হল। সঙ্গে করে নিয়ে গেল দুই প্যাকেট বিস্কুট। পায়ে হাটা পথে শশুর বাড়ি পৌছাতে তাঁর সন্ধ্যা হয়ে গেল। শশুর বাড়ি পৌছে দেখে সবাই ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেলেছে। চাঁন মিঞা অনেক চিন্তা করে বউ যে ঘরে থাকে সেই ঘরের জানালায় গিয়ে ধাক্কা দিল। ভিতর থেকে চাঁন মিঞার শালী জিজ্ঞাস করল "কে ধাক্কায়?"
"আমি চাঁন মিয়া।"
শালী দুষ্টুমি করে বলল " কী চাই এখানে?"
সরল সোজা চাঁন মিয়া পড়ে গেল বিরাট বিপদে। সে কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। কি চায় বলা উচিৎ হবে এখন?
যাহোক শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলল " বউ চাই।"
চাঁন মিঞার একথা শুনে শালী জানালা খুলল। দেখে বিস্কুট হাতে দুলাভাই দাড়িয়ে আছে। জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বিস্কুটের প্যকেট দুটো নিয়ে সে আবার জানালা বন্ধ করে দিল। চাঁন মিয়া কি করবে বুঝতে পারছেনা। কতক্ষন দরজা ধাক্কায়, কতক্ষন জানালা। কেউ আর দরজা খুলেনা। এভাবে কিছুক্ষণ বাহিরে দাড়িয়ে থেকে চাঁন মিঞা জোরে-জোরে বলতে শুরু করল "বউ না দিলে আমার বিস্কুটের প্যাকেট দিয়ে দাও। বাড়ি চইল্যা যাই।"
চাঁন মিঞার গল্প এখানেই শেষ। এবার আসি মূল কথায়। আমাদের বোকা সোকা চাঁন মিঞা শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে দুটো বিস্কুটের প্যাকেট কিনেছিল তাঁর কষ্টার্জিত অর্থে। সে তাঁর বিস্কুটের প্যাকেট ফেরত চাইতেই পারে। এটা যুক্তি সংগত। বউ দাও নাহলে বিস্কুটের প্যাকেট ফেরত দাও। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী এটা বলতে পারেনা, "ভোট দাও না হলে উন্নয়ন ফেরত দাও।"
জনগনের টাকায় উন্নয়ন করে জনগনকে হুমকি দেওয়ার অপরাধে তাকে জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে আমি মনে করি।
(শাহজাহান আহমেদ)
শুধু রমজান মাসটা যেতে দিন, রমজানের পর জনগন বুঝবে কি সুখে তাঁরা ছিল! সাড়ে চার বছরের সকল উন্নয়ন ফিরত নেওয়া হবে।
এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা।
এবার আমার একটা গল্প শুনেন। আমাদের গ্রামে একটা বোকা-সোকা লোক ছিল,তাঁর নাম চাঁন মিঞা। তাঁর যখন বিয়ের বয়স হয়েছে যথারীতি তাঁর বাবা,মা তাকে পাশের গ্রামে বিয়ে দিয়ে দিল। বউ পেয়েতো সে মহা খুশি। সারাদিন বউয়ের পিছন-পিছন ঘুরে। এক মূহুর্তের জন্য চোখের আড়াল হতে দেয়না। আগে গ্রামে একটা প্রথা ছিল নতুন বিবাহিত মেয়েদেরকে তাঁর বাপ অথবা ভাই এসে নাইওর নিয়ে যেত। বর যেত দু-একদিন পর। চান মিঞার বউকেও তাঁর বাপের বাড়ি নাইওর যেতে হল। বেচারা বউ পাগল চাঁন মিঞা অতি কষ্টে দুই দিন কাটিয়ে তৃতীয় দিন খুশি মনে শশুড় বাড়ির দিকে রওয়ানা হল। সঙ্গে করে নিয়ে গেল দুই প্যাকেট বিস্কুট। পায়ে হাটা পথে শশুর বাড়ি পৌছাতে তাঁর সন্ধ্যা হয়ে গেল। শশুর বাড়ি পৌছে দেখে সবাই ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেলেছে। চাঁন মিঞা অনেক চিন্তা করে বউ যে ঘরে থাকে সেই ঘরের জানালায় গিয়ে ধাক্কা দিল। ভিতর থেকে চাঁন মিঞার শালী জিজ্ঞাস করল "কে ধাক্কায়?"
"আমি চাঁন মিয়া।"
শালী দুষ্টুমি করে বলল " কী চাই এখানে?"
সরল সোজা চাঁন মিয়া পড়ে গেল বিরাট বিপদে। সে কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। কি চায় বলা উচিৎ হবে এখন?
যাহোক শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলল " বউ চাই।"
চাঁন মিঞার একথা শুনে শালী জানালা খুলল। দেখে বিস্কুট হাতে দুলাভাই দাড়িয়ে আছে। জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বিস্কুটের প্যকেট দুটো নিয়ে সে আবার জানালা বন্ধ করে দিল। চাঁন মিয়া কি করবে বুঝতে পারছেনা। কতক্ষন দরজা ধাক্কায়, কতক্ষন জানালা। কেউ আর দরজা খুলেনা। এভাবে কিছুক্ষণ বাহিরে দাড়িয়ে থেকে চাঁন মিঞা জোরে-জোরে বলতে শুরু করল "বউ না দিলে আমার বিস্কুটের প্যাকেট দিয়ে দাও। বাড়ি চইল্যা যাই।"
চাঁন মিঞার গল্প এখানেই শেষ। এবার আসি মূল কথায়। আমাদের বোকা সোকা চাঁন মিঞা শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে দুটো বিস্কুটের প্যাকেট কিনেছিল তাঁর কষ্টার্জিত অর্থে। সে তাঁর বিস্কুটের প্যাকেট ফেরত চাইতেই পারে। এটা যুক্তি সংগত। বউ দাও নাহলে বিস্কুটের প্যাকেট ফেরত দাও। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী এটা বলতে পারেনা, "ভোট দাও না হলে উন্নয়ন ফেরত দাও।"
জনগনের টাকায় উন্নয়ন করে জনগনকে হুমকি দেওয়ার অপরাধে তাকে জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে আমি মনে করি।
(শাহজাহান আহমেদ)
১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১০
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: জনগন কি বলবে উল্টো তিনিই বলছেন " ভোট না দিলে উন্নয়ন ফিরত দাও।" চিন্তা করেন কই বাস করছি...!
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: কদিন আগেই বুয়েটের এক টিচারের ৭ বছর জেল দিয়েছে আদালত, কেন জানেন তো সে নাকি প্রধানমন্ত্রীকে ফেসবুকে হুমকি দিয়েছিল! সুতরাং বুঝে শুনে ভাই। জান বাঁচান ফরজ ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১১
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: ভাইজান, কাউকে না কাউকেতো বলতে হবে
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২০
কৃরৃুৃঋপ বলেছেন: আজব দেশে বাস করি রে ভাই। আজব। সরকার এর মাথা নাই ঠিক
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
বৈশাখী ঝড়® বলেছেন: একজন প্রধানমন্ত্রী কিসের জোরে এমন কথা বলে তা বরং আমাদের কাছেই তার জবাবদিহি করা উচিত।
আমাদের টাকায় উন্নয়ন করে আবার আমাদেরকেই হুমকি প্রদান! খুবই দুঃখজনক!
রাস্ট্রের একজন প্রধান হয়ে এধরনের দায়িত্বহীন কথা বলার অপরাধে আমরাই বরং তাকে শোকজ করতে পারি।
কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি এই কথার বিরুদ্ধে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
ৈতয়ব খান বলেছেন: সত্যি কথাই তো! বউ দাও নইলে বিস্কুটের প্যাকেট ফিরাইয়া দাও। আমি বাড়ি চলে যাই। শাবাস চান মিয়া! বোকা হলেও সে তার নিজের অধিকারটা বুঝতে পেরেছিলো। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বুঝেন নি যে এ দেশটা সাধারণ মানুষের। জনগণই এ রাজ্যের মালিক।
চান মিয়ার মতো এ দেশের জনগণ যদি বলতে পারতো- উন্নয়ন দাও নইলে আমাদের ট্যাক্স ফিরাইয়া দাও, আমরা তোমারে আর চাই না। আইনের শাসন দাও নইলে আমাদের ভোট ফিরাইয়া দাও। আমরা অন্যায় দেখতে চাই না।