নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহ, বন্ধু!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

"দুইজন ধূমপায়ীর একজনের লাইটারের আগুনে অন্যজন সিগারেট ধরালেই একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়!"

দুজন মানুষের মাঝে যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেও বন্ধুত্ব হতে পারে এটা বুঝাতে উপরোক্ত উক্তিটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজলভ্যতায় বন্ধুত্ব সৃষ্টি করা দিন-দিন আরো সহজ হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুত্বের পরিধি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের নানান প্রান্তে বিস্তৃত হচ্ছে। সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার প্রতিটি মূহুর্তে বন্ধুই হয়ে উঠছে একমাত্র আবেগের আশ্রয়। বন্ধু ছাড়া এখন একটা দিনও চলেনা। কিন্তু শুরুতেই ব্যপারটা এমন ছিলনা।

মানুষের মাঝে বন্ধুত্বের ধারণাটা তৈরি হতেই যুগের পর যুগ লেগে গেছে। আদি যুগে মানুষেরা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করত। তাঁদের নিজেদের পরিবার কিংবা গোত্র ছাড়া অন্য সকলকেই তাঁরা মনে করত শত্রু। অপর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাবারের অংশীদার! ফলে, এক গোত্রের সাথে অন্য গোত্রের সংঘাত লেগেই থাকত। একটা শিকারকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো গোত্র পরস্পর মারামারি করে ধ্বংস হয়ে যেত। হিংস্র পশুর আক্রমনে এবং নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগেও তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেত। এমনি প্রতিকূল অবস্থায় মানুষ গোত্রের বাহিরেও বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল।

সেই থেকে শুরু হল একটি সংঘবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থার। বন্ধুর হাতে হাত রেখে, কাধে কাধ মিলিয়ে অনুর্ভর পৃথিবীর জমিনে মানুষ একে দিল সভ্যতার প্রথম পদরেখা।



তারপর আর মানুষকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা কোন কিছুই আর দমাতে পারেনি সংঘবদ্ধ মানুষের অগ্রযাত্রা। একজনের বিপদে অন্যজন ঝাপিয়ে পড়েছে নিঃস্বার্থভাবে।

যে বন্ধুত্বের ধারাটা সৃষ্টি হয়েছিল স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে, সেই ধারা আজ সকল স্বার্থ ছাপিয়ে মানুষের জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে ফেলেছে। এখন কেউ আর বন্ধুর কাছে স্বার্থ খোঁজেনা। যারা স্বার্থ খোঁজে তাঁরা আর যাই হোক প্রকৃত বন্ধু না।

আজ বন্ধু দিবস। আমার যদি কোন নিঃস্বার্থ বন্ধু থেকে থাকে শুধুমাত্র তাঁদেরকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

সাথে অনেকদিন আগে লেখা আমার একটি অগভীর, নিম্নমানের কবিতা।



এই ! কি হল তোর ?

কেন তুই চুপটি করে

একলা ঘরে।

অন্ধকারে বসে আছিস ?



কেউ কি তোরে কষ্ট দিছে ?

আরে বোকা,

কঁাদছিস কেন মিছে ?



আমায় বলনা খুলে

মাথা তোলে;

একটু তাকা।



দুত্তুরী ছাই !

বরাবরই তোর ঘাড়ের

রগটা একটু বঁাকা।



পরিক্ষায় ফেল করেছিস ?

বাবা বকা দিছে ?

মায়ের টাকা চুরি গেছে ?



নাকি ভাব ধরেছিস বল।

শালা ! থাপ্পড় খাবি।

এখন উঠ। আমার সাথে চল।



(শাহজাহান আহমেদ)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

সোনি সুলতানা বলেছেন: বন্ধু দিবসে অনেক অনেক শুভেচ্ছা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: আপনাকেও... :)

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বন্ধু দিবসে অনেক অনেক শুভেচ্ছা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: আপনাকেও...:) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.