![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
অনেকদিন ধরে টিভিতে সংবাদ দেখা হয়না। অনলাইনে পত্রিকা পড়ে অথবা, ফেসবুকে দেশের পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করি। গতকাল কোন একটা চ্যানেলে সংবাদ চলছিল। একটা কণ্ঠ শুনে আমার রুম থেকে মনযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টা করলাম ওনি কি বলছেন। ওনি পিতা-মাতা হন্তারক ঐশী মেয়েটির পক্ষে সাফাই গাইছে শুনলাম। বুঝতে বাকি রইলনা ওনি কে। ওনি বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী মিজানুর রহমান!
প্রত্যেক দেশে দেশেই মানবাধিকার এর জন্য সংগঠন আছে। সেই সংঘঠনগুলো মানবের মৌলিক অধিকার নিয়ে কথা বলেন। সে অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু কোথাও মানুষ নামধারী পশুদের নামে সংগঠন নাই। ব্যতিক্রম, একমাত্র বাংলাদেশ। এখানে জাতীয়ভাবে সেই অমানুষদের জন্য সংগঠন খুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সংগঠনের প্রধান বানানো হয়েছে একজন একচোখা দানব কে। যার মূল কাজই হচ্ছে একদল অমানুষ, হিংস্র পশুদের অপরাধ আড়াল করে তাদেরকে মানব-মুখোশ পড়িয়ে দেওয়া। সেই কাজটি সে নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে।
•ঐশী যত অপরাধই করে থাকুক, সে এখনও শিশু।
•ঐশীর মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করা যাবেনা।
•হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যেই মানুষগুলো মারা গেছে তা তিনি দেখেননি।
•সেখানে যে ঐশীর বয়সি শিশুরাও যে ছিল তা তিনি জানতেন না।
•চট্টগ্রামে যুবলীগের গুলা-গুলিতে যে শিশুটা মারা গিয়েছিল এই ঘটনা সারা বিশ্ব জানলেও তাঁর কানে কোন খবর যায়নি।
•র্য্যবের গুলিতে পা হারানো লিমনের পায়ের জন্য কাঁদতে-কাঁদতে তাঁর চোখের পানি ফুরিয়ে গেছে। এজন্য হরতাল, সমাবেশে পুলিশের গুলিতে জীবন হারানো মানুষের জন্য তাঁর কান্না আসেনা।
•ময়লা আবর্জনার সাথে অসংখ মানুষের কংকাল কোথা থেকে এসেছে তা তিনি জানতেও চায়নি!
হে মিজানুর রহমান। কখনো যদি এমন দিন আসে ক্ষমতা হারিয়ে তুমি সাধারণ মানুষের কাতারে চলে আস। আর সেদিন যদি তোমার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাহলে অন্য কোন মানবাধিকার সংগঠন যদি তোমাকে মানব মনে না করে নর্দমার কিট মনে করে গায়ে থু-থু ছিটিয়ে চলে আসে তাহলে তুমি কার কাছে তোমার অধিকার রক্ষার দাবী জানাবে? পৃথিবীতে অনেক পশু-রক্ষা সংগঠন আছে। বৃক্ষ রক্ষার জন্য সংগঠন আছে। কিন্তু ক্ষতিকর নর্দমার কিট রক্ষার কোন সংগঠন নাই।
অতএব, সাবধান। সময় গেলে সাধন হবেনা।
(শাহজাহান আহমেদ।)
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
রুপম হাছান বলেছেন: ও দাদা আপনি খুব সুন্দর কথা বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গুছিয়ে লিখাটি লেখার জন্য।
ওনি শুধু মুখে দুই চারটি ইংরেজী শব্দ উচ্চারণ ছাড়া আর যে নিজ থেকে কিছুই করতে পারেন না তা আবার প্রমাণ করে দিলেন। আর উনি দেখবেন কিভাবে, উনি তো চশমা পরে থাকেন!