![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
অনেক বছর আগের কথা।
আচমকা সভ্য সমাজে এসে ঢুকে পড়েছিল এক দল নষ্ট-ভ্রষ্ট জলের কাফেলা। আমরা সভ্য মানুষেরা যাকে আদর করে "বর্ষা" বলি! অতি আদরে নষ্ট হয়ে যাওয়া ছোট ভাই-বোনদের মত সেই জলের দলও ছিল দুরন্ত,বাধাহীন। সকল সীমা অতিক্রম করে তাঁরা অল্প সময়ের মধ্যেই এক বিরাট জল-জাগরণ ঘটিয়ে ফেলল।
ততদিনে জলের প্রতিটি ফোটার বিরুদ্ধে কলঙ্কের বদনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তথাকথিত শৌখিন মানুষেরা পা বাঁচানোর কৌশল বের করতে ব্যস্ত ছিল তখন। সেই সুযোগে স্নো-পাউডার মাখানো রাস্তাঘাট; চিকা মারা কালভার্ট। সব মাখা-মাখি হয়ে গেল কলঙ্কময় নোংরা জলে।
আর আমরা, কয়েকজন নিশী-মানব ছিলাম সে জলের সবচে বড় সমঝদার। কারণ, আমরা কলঙ্ক ভালবাসি, কলঙ্কময়ী জল ভালবাসি। জলও আমাদের ভালবাসে হয়তো। দিনের আলোতে আমরা তথাকথিত সভ্য মানুষের প্রতিনিধি। আর রাতের অন্ধকারে জলক্রিয়া-রত নষ্ট-কিশোর! জলের দেহে পা ডুবিয়ে ছোপ-ছোপ শব্দে আমরা সুর তুলি। দলের একজন হঠাৎ গেয়ে উঠে "সখি তোরা প্রেম করিওনা, পিরিত ভাল না...।"
অথচ, জলের সাথেই হয়েছিল আমাদের প্রথম পিরিত!
সরারাত জলের বুকে চলে আমাদের নিষিদ্ধ-বৈঠক। ছই তোলা নৌকায় বিস্তৃত-বিরান জলভূমিতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে আমরা যাত্রা করি আজানার খোঁজে। প্রায়ই আমাদের সঙ্গী থাকে দু-একজন নির্লিপ্ত ফেরেস্তা। মাঝে-মধ্যে মেঘ কেটে আকাশে চাঁদ দেখা যায়। চাঁদের আলো যখন তীব্র হয় তখন ফেরেস্তাদের অস্থিরতা দেখে আমরা মজা পাই। তাঁরাও আমাদের মত নোংরা জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকে। কলঙ্কময়ী জলের দেহে নিজেকে সপে দেয়। সিগারেট টানার পর সেই জলে কুলি করে! আজান্তে দু-এক ঢোক গিলে ফেলে হিঃ হিঃ করে হাসে।
আমরা তাদের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকাই।
জলের সাথে আমাদের প্রেম যখন গভীর থেকে গভীরতর হয়ে আসে, তখন জলে টান পড়ে। পরকিয়ার কলঙ্ক মাথায় নিয়ে তাঁরা ফিরে যায় আপন ঘরে। নদীতে, সাগরে, আকাশে। আমরাও ফিরে আসি। আবারো অপেক্ষা করি। পঞ্জিকায় চোখ বুলিয়ে চন্দ্রের হিসাব রাখি। কখন পূর্ণিমা আসবে। যৌবনে ফুলে-ফেপে উঠা জল আমাদের পায়ে এসে মাথা ঠুকবে। আমরাও সব অভিমান ভুলে রাতের আঁধারে মেতে উঠব নিষিদ্ধ পরকিয়ায়!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
শংখনীল কারাগার বলেছেন: জ্বালাময়ী মন্তব্য দিতে আসছি কারন আজ থেকে আমি জেনারেল। এতদিন মন্তব্য করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আপনারে দিয়াই শুরু করলাম।
জলের সাথে প্রেম আর কিছু পাইলেন না।
লেখা সহজ, সাবলীল হইছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: পৃথিবীতে নির্ভেজাল প্রেম যদি থাকে সেটা জলের সাথেই। যে পাত্রে রাখবেন সেই পাত্রের আকার এবং রং ধারণ করবে। ধন্যবাদ জ্বালাময়ী মন্তব্যের জন্য।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫১
আহারে বেচারা বলেছেন: চমৎকার
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০২
রাখাল রাাজু বলেছেন: গল্পেচ্ছলে কবিতা! নাকি কবিতাদলে গল্প! অসাধারণ!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: নিজেও বুঝতে পারছিনা। একটা হলেই হল। লিখে আরাম পেয়েছি এটাই বড় কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার।