![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।
লন্ডনের কারাগারের একটি ঘটনা।
লন্ডনের কারাগারে এক মুসলিম ভাইকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দির্ঘদিন আটক করে রাখা হয়। সম্ভবত তিনি এখনও কারাগারেই আছেন। তাঁকে কারাগারের সবচেয়ে ছোট সেলে বন্দি করে রাখা হতো। সেটি এতোটাই ছোট ছিল যে, খুব কষ্ট করে আটোসাটো হয়ে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে হতো।
একদিন এশার নামাযের জন্য উযু করে প্রস্তুত হয়ে আসলেন। তিনি লক্ষ করলেন, কারারক্ষি এখনও খাবারের প্লেটগুলো নিয়ে যায় নি। নামাযে দাঁড়ানোর আগে প্লেটগুলোকে দরজার কাছে রাখলেন। যেন কারারক্ষিকে সেলে প্রবেশ করতে না হয়। এই ব্যবস্থা করে তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন।
কারারক্ষি প্লেট নিতে আসলে ,ঐ ভাইকে নামাযরত অবস্থায় দেখতে পেল। সেই কারারক্ষি নামায নষ্ট করার জন্য সেলের দরজা খুলে জুতা পায়ে জায়নামাযের সেজদার জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল। সেই ভাইটি তার পায়ের কাছে সেজদায় চলে গেল। তিনি সেজদাবনত হয়ে বললেন, “আল্লাহ! এই কারাগারে মুসলিমের জন্য কোন মানবাধিকার নেই। আমাকে সাহায্য করার মত তুমি ছাড়া আর কেউই নেই। ইয়া মাবুদ! তুমি এই জালিম কারারক্ষির ‘পা’ টাকে ভেঙ্গে দাও”।
সেই কারারক্ষি রাতে ডিউটি দেবার সময় হঠাৎ করে একটি ইস্পাতের টেবিল তার পায়ে এসে পড়ে। আর এ ঘটনায় সেই কারারক্ষির একটি ‘পা’ ভেঙ্গে যায়। (আল্লাহু আকবার) সেই কারারক্ষি এই ঘটনার পর আর কোনদিন সেই মুসলিম ভাইয়ের সেলে আসেনি। [প্রাচীর বই থেকে সংগৃহিত,পৃঃ১৯৩]
একবার সাইদ ইবনে যাবিত (রাঃ) কে এক নারী চুরির অপবাদ দেয়। সাইদ ইবনে যাবিত (রাঃ) হলেন,সেই ১০ জন সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের একজন,যারা দুনিয়ায় থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। হযরত সাইদ (রাঃ) তখন দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে বললেন,“ ইয়া গাফুরুর রাহিম! সেই মহিলা যদি মিথ্যে বলে থাকে,তবে তাকে অন্ধ করে দাও এবং তার ঘরটাকেই তার করব বানিয়ে দাও”।
এর কিছুদিন পরই সেই মহিলা অন্ধ হয়ে গেলেন। অন্ধ হবার পর সেই মহিলা লোকজনকে বলেছিল, সাবিতের দোয়ার কারনে আজ আমি অন্ধ হয়ে গেছি। সেই মহিলার ঘরেই কাছেই ছিল কুয়া। যেখান থেকে তিনি খাবার পানি সংগ্রহ করেন। একদিন একাকী পানি তুলতে গিয়ে তিনি কুয়ায় পড়ে মারা যান। শেষ পর্যন্ত তার ঘরটাই তার কবর হয়ে গেল।
[সহীহ মুসলিম এ বর্নিত]
উপরে বর্নিত দু’জন ব্যক্তি মযলুম। যাদেরকে একমাত্র আল্লাহপাক ছাড়া সাহায্য করবার মত কেউ নেই। আর তারা সেই মহান আল্লাহরাব্বুল আলামীন এর সাহায্য কামনা করে নিরাশ হননি।
হাদীসে পাওয়া যায়, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“ মযলুমের দু’আকে ভয় কর। কারন তা আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে আসমানে পৌছায়”।[সহীহ মুসলিম]
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১
ইসলামের ইলম বলেছেন: “মুসলিম বন্দিদেরকে কাফিরদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করা হচ্ছে আবশ্যক। তবে, মুসলিমরা যদি তা করতে সক্ষম না হয়, তাহলে মুক্তিপন দিয়ে হলেও তাদেরকে মুক্ত করা তাদের জন্য বাধ্যতা মূলক হয়ে দাড়ায়।”
(ইমাম ইবন জুযাই আল আলিকী রহীমাহুল্লাহ)
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: তখন মুসলিমদের উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“ মযলুমের দু’আকে ভয় কর। কারন তা আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে আসমানে পৌছায়”।[সহীহ মুসলিম]
আল্লাহু আকবার।