নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসা ভালোবাসি।

শাহনূর সুমন

কিছুই বলার নেই।

শাহনূর সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধা বীরউত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ!!!!!!!

২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

ইতিহাস আমাদের অনেককেই চিনিয়েছে। আমরা জেনেছি মেজর জিয়া, কর্নেল তাহের, জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে। কিন্তু একজন সবসময়ই উপেক্ষিত থেকেছেন তিনি হলেন মেজর জেনেরেল খালেদ মোশাররফ। আমার এই জীবনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যত বই পড়েছি কোথাও এই মানুষটা সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি। তাকে ৭ই নভেম্বর, ১৯৭৫ সালে খুন করা হয়। খুন করেন ক্যাপ্টেন আসাদ এবং ক্যাপ্টেন জলিল, যারা খালেদ মোশাররফের অত্যন্ত পছন্দের মানুষ ছিলেন। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন আসাদকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকেও বাঁচিয়েছিলেন। এই নির্ভীক মানুষটি মেজর হুদাকে বলেছিলেন, সাধারণ সৈনিকেরা কিছুক্ষণের মাঝেই আমাদের হত্যা করবে। তাদের কাছে জীবন ভিক্ষা করে নিজেকে ছোট করবেনা। যখন তাকে গুলি করা হয় তিনি নির্বিকার ভঙ্গিতে সিগারেট টানছিলেন!!



বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়কদের বিরোধিতা তিনিই করেছিলেন। মেজর ফারুক, মেজর রশিদ সহ আরও কিছু অফিসার দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন খালেদ মোশাররফের কারনেই। মেজর রশিদ চেয়েছিলেন দেশকে পেঙ্গুইন মুক্ত করতে সে লক্ষ্যেই ক্যাপ্টেন মোসলেম কে দিয়ে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু খুন হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হন শ্বেত সর্প খন্দকার মোশতাক। রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্যেই খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান হন, তিনি কখনোই রক্তপাত চাননি কিন্তু শ্বেত সর্প খন্দকার মোশতাককে নিজ হাতে খুন করতে চেয়েছিলেন!!! বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়কদের মধ্যে তিনিও অন্যতম।



তাকে কেন খুন হতে হল??

মেজর জিয়া তখন বন্দী। খালেদ মোশাররফই তাকে বন্দী করেন। মুক্তির জন্য তিনি বন্ধু কর্নেল তাহেরের সাহায্য চান। কর্নেল তাকে সাহায্য করেন সিপাহী আন্দোলনের মাধ্যমে। মূলত এই সিপাহী আন্দোলনের বলীই হলেন খালেদ মোশাররফ। মেজর জিয়া সেনাপ্রধান হয়ে দৃশ্যপটে চলে আসেন। পরবর্তীতে বন্ধু কর্নেল তাহেরকেও ফাঁসীতে ঝোলান।



যাই হোক আমার মূল বক্তব্য খালেদ মোশাররফকে ঘিরেই। এই অকুতোভয় বীর সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। তার উত্থানে কোন রক্তের দাগ ছিলোনা। সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার সপ্নে তিনি বিভোর ছিলেন। অথচ এই মানুষটা সবার মাঝ থেকে একরকম হারিয়ে গেছেন, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা বীরউত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় খেজুরতলায় অপমানে অবহেলায় শুয়ে রয়েছেন।



#দেয়াল#, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস টি পড়ার অনুরোধ রইলো। আর কিছু না হোক অন্তত রেফারেন্স হিসেবে যে বইগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো পড়ার আকুলতা বাড়বে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

পরোবাশি২০১৩ বলেছেন: A Real Hero,,, Very tragic

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

শাহনূর সুমন বলেছেন: কত জনের দিবস আছে, উনার নাই। দুঃখজনক!!!

২| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: সবারই প্রমোশন হইলো কিন্তু জিয়া মেজরই থাকলো

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

শাহনূর সুমন বলেছেন: গদির নেশা বড় নেশা!! জেনারেলের ভাত নাই!!!!

৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

রাজীব বলেছেন: পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: সবারই প্রমোশন হইলো কিন্তু জিয়া মেজরই থাকলো

আসলে সময়টা এমন ছিল যখন কোন নিয়ম চলছিলন না। সেটা ছিল জরুরী অবস্থা।

হুমায়ুন আহমেদের ভাষায়, "শুরু হলো ঝিম ধরার সময়। দেশের প্রদ্বীপসম সন্তানেরা একে একে নিভে যেতে লাগলো।"

সেজনই মনে হয় জিয়া বাধ্য হয়েছিল অনেক হ্ত্যাকান্ড ঘটাতে। তা না হলে একের পর এক অভ্যুত্থান চলতে থাকতো!

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

শাহনূর সুমন বলেছেন: ঠিক এই কারনেই উনি মাত্র ১১৪৩ জনকে হাপিশ কইরা দিছেন!!! নিজের বন্ধুকেও ছাড়েন নাই!! এবং এই কারনেই দীর্ঘনিঃশ্বাস গুলা সার্কিট হাউসে জমা হয়।

৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালও লিখেছেন ভাই। প্লাস।।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

শাহনূর সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!

৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

গেস্টাপো বলেছেন: এই লোক সম্পর্কে খুব বেশী জানি না।তবে কর্নেল তাহেরই যে খালেদ মোশাররফ সহ আরও বহু আর্মি অফিসার হত্যার মূল কারিগর তা বেশ ভাল করেই জানি।এমনকি কর্নেল তাহেরের পরিকল্পনা ছিলো জেনারেল জিয়াউর রহমানকেও হত্যা করার।আমার মনে হয় কালসাপ তাহেরকে জিয়াউর রহমান উচিৎ শিক্ষাই দিয়েছেন

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

শাহনূর সুমন বলেছেন: সহমত!!! তবে জিয়াও ওই একি পথের পথিক!!!! তার হাতে রক্ত বড় বেশী!!!!

৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

রিওমারে বলেছেন: পাকিস্থানী সেনাদের বিরুদ্ধে যে তিনজন অকুতোভয় সৈনিক প্রথম বিদ্রোহ করেছিল খালেদ মোশাররফ তাদের অন্যতম। বাকী দুইজন হলঃ মেজর জিয়া এবং মেজর সফিউল্লা। সত্যি কথা বলতে বাঙ্গালী জাতি হল গাদ্দার জাতি। বিশ্বাস ঘাতকতা-ই এদের ধর্ম। পোস্ট এ প্লাস।

একজন লিখেছেন মেজর জিয়া মেজরই থেকে গেলেন তার আর প্রমোশন হয়নাই। আপনার জা না ভুল। জিয়া মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। একজন মেজর সেনা প্রধান হয় না প্রমোশন ছাড়া।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

শাহনূর সুমন বলেছেন: সহমত!!!! বাঙ্গালী খুব দ্রুত সব ভুলে যায়!!!!

৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাইফ সোহেল বলেছেন: এই লোকটা সম্পর্কে আমি সামান্য কিছু পেয়েছিলাম ৭১ এর দিনগুলি বইটাতে। আরেকটা বইয়ে কিছু অংশ পেয়েছিলাম। এই মুহূর্তে বইটার নাম মনে পরছেনা। এবং সেই সামান্য কিছু পড়েই আমি রিতিমত তার একজন ভক্ত হয়ে গেছি। তিনি একজন সত্যিকারের নায়ক।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

শাহনূর সুমন বলেছেন: সঠিক!!! কিন্তু তাও সেখানে উনি নিষ্প্রভ রুমির কাছে!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.