![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পিতভাবে শুরু হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত থেকে। সেই ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের সহযোগীতায় আমাদের এদেশীয় জামায়াত আলবদর আল্শামস রাজাকার মিলে দেশের প্রগতিশীল চিন্তা নায়কদের ঘর থেকে ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও উদীচী ট্র্যাজেডি এবং বহুমাত্রিক প্রথা বিরোধী লেখক ও দার্শনিক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার চেষ্টা থেকে শুরু করে আজোবধি কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় বিজ্ঞান মনস্ক ও প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের চুড়ান্তভাবে ভয়ের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করতে হচ্ছে। তবুও তারা তাদের চিন্তার প্রকাশ থেকে পিছু হটেনি। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কাগজের পাশাপাশি মানুষ তার চিন্তার প্রকাশ বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইট ও নিজস্ব ব্লগে লিখতে শুরু করে। ফলে ধর্মান্ধ ও দলকানাদের মুখোশ আরও বেশি উন্মোচিত হতে থাকে, যার ফলে আবার শুরু হয় হত্যাযজ্ঞ। এখন স্বাধীন দেশে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানমনস্ক ও চিন্তাশীলকে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ নীরব সরকার ও কথিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবীরা। তারিখ উল্লেখ করে আগাম ঘোষণা দিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি থেকে ২০১৫ সালের ১২মে পর্যন্ত সিলেটের “বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলে’র” সাধারণ সম্পাদক, বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশসহ নয় ব্লগার নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। ইতিপূর্বে ৮ ব্লগার হত্যার কোন ক্লু বের করতে পারেনি সরকার। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সরকারের প্রশাসনিক বিভাগ জানানেও এখনও তার কোনো সুরাহাত হচ্ছে না। আমরা কোথায় বসবাস করছি। দিবালোকের একটি সংখ্যায় অনন্তের শেষ লেখাসহ প্রতিবেদন কলাম থেকে শুরু করে দেশের আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়টি উঠে আসলেও রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনন্তের মা-বোনের আহাজারি, বাবার বোবা কান্না দেখে কি রাষ্ট্রের একটুও কি বিবেক নড়ে না? তাহলে প্রশ্ন আসছে রাষ্ট্র কি চায়? তাহলে কি আমরা সাধারণ মানুষ ধরে নেব রাষ্ট্র একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হউক? তখন না হয় দেশের মানুষ বুঝতে পারবে তাদের করণীয় কি? এখন তালিকা ছাড়াও রাষ্ট্র হোক আর জঙ্গি হোক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রগতিশীলদের হুমকী-ধামকী এমনকি মৃত্যুর পরওয়ানা পাঠানো হচ্ছে। জানা যায়, অনন্তের ঘনিষ্ঠ আরো দু’জনকে তারা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে সংগঠনের আরো দু’জন দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এখন কার পালা? কখন, কবে, কিভাবে, কে হত্যার মুখোমুখি হবে, কেউ তা বলতে পারছে না? তাই সরকারকে বলতে হবে নিরাপত্তা দিতে না পারলে জঙ্গিদের কাছে নিজেদের সমর্পণ করে ’৭১ এর পুণরাবৃত্তির জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে। প্রশাসন খুব ভালো করে জানে, নয়জন ব্লগারসহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের তদন্তকার্য বিলম্ব করে ‘জজ মিয়া’র মতো নাটক করে বিচার কার্যে কিছুদিন ভুলিয়ে বালিয়ে রাখতে পারলে পার পেয়ে যাবে। রাষ্ট্র কি বিএনপি’র কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেনি? কি করে বিএনপি’র সহযোগিতায় জামাত দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চেয়েছিলো ! তাই বর্তমান সরকার জঙ্গিদের মদদ দিতে গিয়ে বগুড়ার কলাপাড়া, পিরোজপুরের কাউখালি, রামুসহ অসংখ্য সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন অত্যাচারের সুষ্টু তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় একসময় জঙ্গিরা রাষ্ট্রের উপর চড়ে বসবে। এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল হয়ে দেশ ও রাষ্ট্রের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী হয়ে পড়ছে। আর যদি বিলম্ব হয় তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশে আফগান-পাকিস্তানের মতো একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপ নেবে।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
সিপন মিয়া বলেছেন: বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধি দিয়ে আঘাত করেই যাবেন। আর বুদ্ধিহীন বলে আমরা আপনাদের মানসিক নির্যাতন সইব? এদেশের মানুষ শারীরিক আঘাত সহ্য করতে পারে তবে মানসিক না। কাজেই সিমা লংঘন করবেন না। তাহলে আর সরকারের কাছে বিচার বিচার করতে হবে না। সবাইকে মানুষ ভাবুন।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: যারা ধর্মকে আঘাত করে লেখে আর যারা (যদি) ধর্মকে আঘাতকারীকে মারে,দুই পক্ষই ইসলামের ক্ষতি করছে। কারন একপক্ষ সরাসরি ক্ষতি করে আরেকপক্ষ মুসলমানদের জংগী হিসাবে পরিচিত করে। তবে বাংলাদেশে আসলে কারা মারছে ,এখনও প্রশ্নসাপেক্ষ।
কিন্তু আমার দুইটা প্রশ্ন, কোনো ব্লুগার মরলেই জংগী জংগী রব ওঠে কেনো? তাদের কি ব্যক্তি জীবনে অন্য কোনো শত্রু থাকতে পারে না?
আরকটা প্রশ্ন, আগে শুনতাম গবেষনা করে বিজ্ঞানী হয় আর এখন ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলেই বিজ্ঞনমনস্ক? আর যদি বিজ্ঞনমনস্ক হলেই তাকে জংগীরা হত্যা করার জন্য খুজে,তাহলে বাংলাদেশে এত বিজ্ঞানী,তারাতো কবেই মরে যেত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একজন মানুষকে তার মত প্রকাশের জন্য মারা যেতে হবে, এটা সমর্থন যোগ্য নয়। বাই দ্যা ওয়ে, আমার জানতে ইচ্ছে করছে উনারা এমন কি লিখেছিলেন, যার কারনে তাদেরকে হত্যা করা হলো?
ধর্ম নিয়ে অশ্লীল সমালোচনা কি দেশের সমাজ পরিবর্তনের জন্য কতখানি প্রয়োজন বা কার্যকর??