নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
বন্ধুরা আজ এই মুহূর্তের একটি গরম খবরের বিষয়ে না লিখে থাকতে পারলাম না।
বিষয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এ কে খন্দকারের লিখিত বইয়ের (১৯৭১ ভেতরে-বাইরে) কিছু অংশ।
☛বইতে উল্লেখিত কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
✔মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেছিল, "জয় পাকিস্থান" বলে
✔শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নাই/দিতে চায় নি/ জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন
✔মুজিব স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত ছিল না/ সে চেয়েছিল রাষ্ট্রক্ষমতা
✔মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী আর মুজিব বাহিনী প্রকাশ্য বিরোধ ছিল
✔স্বাধীনতার পরে মুজিবের রক্ষীর গুপ্ত হত্যা/ অত্যাচার/ নির্যাতন নিয়ে বর্ণনা
☛এখন জানা দরকার কে এই এ. কে. খন্দকার ???
✔১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি!
✔এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) !
✔আওয়ামী লীগ এর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী! ২০০৮
✔ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা !
✔সেক্টর কমান্ডরস নেতা!
✔আওয়ামী লীগ নেতা!
☛সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করা বোকামি কিন্তু অন্তত ১টি অংশের ব্যাপারে না বললেই নয়।
✔এ বিষয়ে ৭ মার্চের জনসভার অন্যতম সংগঠক, শফিউল আলম প্রধানের অভিমত, কে কি বললো, তার চেয়ে বড় বাস্তবতা হলো, সেদিন বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলে বক্তব্য শেষ করেছিলেন। রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, সত্য কথাটা এ কে খন্দকার লিখেছেন, তিনি না লিখলেও কোন যায় আসে না। কেননা সত্য আপন নিয়মে প্রকাশিত হয়। ইতিহাস নিয়ে খেলা করা যায় না। ৭ মার্চের জনসভায় শুধু শ্রোতা হিসেবে নয়, একজন আয়োজক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে জয় পাকিস্তান বলে বঙ্গবন্ধু বক্তব্য শেষ করেছিলেন তা প্রমাণের জন্য আমার কোন সাক্ষী দরকার নেই। এ কথা সেখানে উপস্থিত লাখো মানুষের মুখে মুখে আজও ফিরে। কিন্তু এ কে খন্দকার সরকারের কাছের লোক হিসেবে এ সত্য উচ্চারণ করায় চারদিকে সাড়া পড়েছে।
✔বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, এ কে খন্দকারের লেখা বইটি আমি পড়ছি। এখানে জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান বলায় কোন যায় আসে না। পাকিস্তান রাষ্ট্র ছিল বলেই জয় পাকিস্তান বলেছিলেন। যেভাবে একটি ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে হয়, যখন যেটা বলা দরকার, বঙ্গবন্ধু সেটা পেরেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি। কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, তিনি যা ভেবেছেন, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন । তিনি সেনানিবাসে ছিলেন, সেখানে থেকে সামরিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করেছেন।
✔মানব জমিনের সাংবাদিক সাজ্জাদ কাদির তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেনঃ আমরা যারা ৭ই মার্চের ভাষণ সেখানে উপস্থিত থেকে শুনেছি তারা জানি বঙ্গবন্ধু তার ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে। তখনকার বাস্তবতায় এটি ঠিক ছিল। এটা বললে কাউকে খাটো করা হয় না, কেউ খাটো হন না। এ ভাষণ সেদিন থেকে ২৪শে মার্চ রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বহুবার সম্প্রচার হয়েছে রেডিওতে। পরে ঢাকা রেকর্ডস ৪৫আরপিএম-এ এটি প্রচার করে। তখন কিছু অংশ সম্পাদিত হয়।
✔দুই জন সেক্টর কমান্ডারের এ বিষয়ে ২ ধরনের বক্তব্য।
✔অর্থ মন্ত্রী বলেছেন কোন বই নিষিদ্ধ করা উচিত নয় বরং আপনারা পাল্টা বই লিখুন, জনগন সত্যটাকেই বেঁছে নিবে।
✔বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে 'র' ও সি আই এ এর ভুমিকা বইটি পরলে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
✔কিছু দিন পূর্বে তাজউদ্দীন আহাম্মেদের মেয়ের লেখা বইটাও কিছুটা ধারনা দিবে এই বিষয়ে।
✔ আমার মন্তব্য হল না বুঝে বিরোধিতা করার থেকে প্রথমে বইটি পড়ুন তারপর ওই সময়ে কি ধরনের পরিস্থিতি ছিল তা জানার চেষ্টা করুন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলো সংগ্রহ করুন। বিবিসি আরকাইভ থেকে ১৯৭১ এর ২৬,২৭ মার্চের রেডিওতে প্রচারিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভাষণগুলো শুনুন। প্রয়োজনে আপনাদের আব্বা-আম্মা, দাদা-দাদি, নানা-নানিদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করুন। উত্তর পেয়ে যাবেন। দয়াকরে রাজনীতি টেনে আনবেননা এর ভেতরে।
©somewhere in net ltd.