নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
বাংলালিংকের একটা এড আছে। এডে দেখায়, বাসায় একটা বল এলে গিন্নী ব্যালকনিতে এসে বকাঝকা করতে থাকেন। যদি জানালার কাচ ভেঙ্গে যেত এই ভয়ে! পরে যখন দেখেন নিজের ছেলেই বলটা ছুড়েছে, তখন আবার সব ঠিক! এত নিচ থেকে বল পিটিয়ে দোতলায় পাঠানোয় গর্ব বোধ করে পাশের বাসার ভাবিকে বলেন!
আসলে মা পুত্রের সম্পর্কটা এমনই। এই সম্পর্ককে কোনো উপমা দিয়ে বোঝানো যাবে না। সব সন্তানের জন্যই মায়ের এমন টান। ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তির মা চিৎকার করে কাদেন, আমার ছেলের কোনো দোষ নাই। ওরে আমার কাছে আইনা দাও...
..কিন্তু আমার আম্মা জননী সম্পুর্ণ উল্টা! ছোটবেলায় কোনো কারনে বাসায় নালিশ এলে বা আমি নালিশ করলে আম্মা আমার কান বরাবর একটা থাব্রা মেরে তারপর কথা শুরু করতেন। যে কোনো বিচারে আগে আমাকে শাস্তি দিয়ে পরে বিচার কার্য শুরু করতেন! একবার ক্লাসে স্যার আমাকে বেত দিয়ে মেরেছিল, আম্মাকে নালিশ করতেই আমাকে মেরে পীঠ কেটে দিয়েছিলেন । আর বলেছিলেন কোনটাতে বেশি ব্যাথা ? এ তো গেল ছোটবেলার কথা! বড়বেলায়?!
তখন ক্লাস সেভেন/ এইটে পড়ি , শীতের সময় একদিন বন্ধুরা( সুকান্ত , সজল, ইখতিইয়ার, রাজন, আমি) মিলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলতে যাই । আম্মা কিভাবে যেন বুঝেছিলেন যে আমি এখানে আছি। কেউ গিয়ে বলেছে হয়তো। তিনি বাসা থেকে মাঠে চলে এলেন! এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ওই, তুই এইখানে কি করছিস?
আমার কিছু বলার সাহস ছিলনা আম্মার সামনে। তিনি প্রথমে ধমক দেন তারপর আমার কলার ধরে টেনে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান ।
পিছনে তাকিয়ে দেখলাম পুলাপাইন থেমে গেছে! সবাই এখন আমার বেঈজ্জতি হওয়া দেখতেসে! কয়েকটা আবার মিটমিট করে হাসতেসে!
এখনও আম্মার অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারি না । ছুটিতে বাড়ি যাই কিন্তু বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না। বন্ধুরা সবাই আমার উপর রাগ করে বলে আমাদেরতো ভুলে গেছিস ।
তবে এতো কিছুর পর ও আম্মুই আমার সব । একদিন ও আম্মুর সাথে কথা না হলে খুব খারাপ লাগে। আম্মু জানি তুমি আমার এই পোস্টটি দেখবে না তার পর ও বলবো আম্মু তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি আর মিস করছি । এক্সাম শেষ হলে হয়তও বাড়ি যাব ততদিন তোমাকে খুব ফীল করবো ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ এখনও বেঁচে আছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫২
কোজাগরী চাঁদ বলেছেন: হায়রে খোদা! এত ভালো ছেলে এখনও দুনিয়ায় আছে?