নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আমরা HSC-2012 ব্যাচ হরতালের কারনে শুক্রবার পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। আজ পড়াশোনা করছি কাল পরীক্ষা হতাৎ বিকাল ৪ টায় খবর শুনতাম হরতালের কারনে আগামিকালকের পরীক্ষা হচ্ছে না।
ভার্সিটি জিবনে প্রবেশ করে দেখি হরতালের কারনে ছুটির দিনগুলতে ডবল ক্লাস করতে হয়। আবারও শুক্রবার পরীক্ষা দিতে বাধ্য হলাম।
গত ২৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বার তারিখ আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা সূচি ছিল। প্রথম পরীক্ষা ২৬ তারিখ হরতালের কারনে দেওয়া হল না। ২৮ তারিখ ২য় পরীক্ষা দিলাম। ৩০ আর ৩ তারিখ হরতালের এর জন্য আরও ২ টি পরীক্ষা পিছিয়েছে। এতো গেল আমার কথা।
আগামী ২ নভেম্বর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু হরতালের ছোবলে তাদের পরীক্ষার প্রথম ২ দিন ।
একটি জিনিস খেয়াল করলাম হরতালে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দূর পাল্লার বাস আর মহাসড়কের পাশের কিছু দোকান গুলোই বন্ধ থাকে বা তাদের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অথচ অফিস, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান সব খোলা থাকে। আমি তো বরং হরতালের ভেতর ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যাই কারণ ভীর কম থাকে, সহজেই কাজ শেষ করে ফিরে আসা সম্ভব হয়। হরতালে কিন্তু কারখানাগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ থাকে না।
আর হরতালের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় ঘুরাঘুরি করার মজা সেই রকমের! কোন যানজট থাকে না, সিগনাল থাকে না, নগর পরিবহনে ভীর থাকে না।
হরতালের সাথে শিক্ষার কি সম্পর্ক ? যখন হরতালে সব কিছুই চালু থাকছে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতো
সেশন জট নামক ঘুমের বড়ি দিয়ে ছাত্রদেরকে বছরের বেশি সময় ঘুম পরিয়ে রাখে। সেখানে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোত সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড় নীতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে সেশন জট থেকে মুক্ত রাখে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় অবিলম্বে শিক্ষা খাতকে হরতালের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.