নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, আমাদের জন্য অশুভ সঙ্কেত নয় কি !!!!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৬



আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেবার ফলে সারা দেশে একসাথে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে বলা হয়, ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সংযোগস্থলে ত্রুটি থেকেই বিভ্রাটের শুরু হয়েছে।

ভারতের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন - শনিবার ভারতীয় সময় ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টায়) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহের একটি লাইন মিনিটখানেকের জন্য 'ট্রিপ' করেছিল বা বসে গিয়েছিল।তবে লাইন 'ট্রিপ' করার সাথে সাথেই দ্বিতীয় আরেকটি লাইন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।



প্রকৃত ঘটনা জানতে হলে যেসব বিষয়ে পর্যালোচনা হওয়ার প্রয়োজনঃ



>>একটি ছোট তথ্য ভারত থেকে আমাদের দেশে মাত্র ৫০০ মেগা-ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, বাকি চাহিদা পূরণ করে দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো।



>>আজ আমাদের চাহিদা ছিল ৬৫০০ মেগা-ওয়াট বিদ্যুৎ। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ১০,০০০ মেগা-ওয়াট।



>>মাত্র ৫০০ মেগা-ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মিনিট খানিকের জন্য ফল করায় সারা দেশের বিদ্যুৎ গড়ে ১০ ঘণ্টার মতন বন্ধ ছিল!!!



>>এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল???



>>বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সংযোগস্থলে ত্রুটি হলে দেশের ভেতরের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কিভাবে একযোগে বন্ধ হয়ে যায়?



>>ধরে নেই বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে নয় বরং জাতীয় সরবরাহ লাইনে সমস্যা হয়েছিল কিন্তু কেন আঞ্চলিক সাবস্টেশনগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আশেপাশের এলাকাগুলোর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয় নাই????



>>ধরে নেই আজ এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য ভারত দায়ী, তার অর্থ কি এই নয় ভারতের ইচ্ছার ওপর আমাদের দেশের বিদ্যুৎ থাকা বা না থাকা নির্ভর করে???



>> বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা কি স্বীকার করছেন আমাদের দেশের বিদ্যুতের কন্ট্রোল ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে!!!



>>চাহিদা অপেক্ষা অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সত্ত্বেও আমরা কেন ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনছি? ( সর্বোচ্চ চাহিদা ৭,৮০০ মেগা-ওয়াট আর উৎপাদন ১০.০০০ মেগা-ওয়াট )



আজকের এই বিদ্যুতের বিপর্যয় আমাদের জন্য একটা ম্যাসেজ, যা আমাদেরকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে অব্যাবস্থাপনা চিত্র তুলে ধরেছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কি ধরণের বিপর্যায়ের মুখে পরতে যাচ্ছে এটাই তার একটা নমুনামাত্র।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০০

নিশাচর রোবট বলেছেন: বাংলাদেশের প্রায় ৭০০০ মেগাওয়াট এর মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট আসছে ইন্ডিয়া থেকে। ইন্ডিয়া থেকে আগত লাইনটিতে কোন ফল্ট হওয়ার কারনে হটাত করে হাই ভোল্টেজ চলে আসে। নিয়ম অনুযায়ী কোন লাইনে হাই ভোল্টেজ চলে এলে বাকি অংশ ত্রুটি মুক্ত রাখার জন্য ব্রেকার ট্রিপ হয়ে যায় অর্থাত কানেশন ডিসকানেক্ট করে দেয়। ফলে যেটা হল হটাত করে ন্যাশনাল গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াটের ঘাটতি পড়ে গেল।

এখন লোড বেশি কিন্তু উতপাদন কম। যার ফলে জেনারটরের উপর লোড বেশি পড়ল। ফলে ফ্রিকুয়েন্সি কমতে থাকে। অন্যদিকে ফ্রিকুয়েন্সি একটা নির্দিস্ট লেভেলের নিচে নেমে গেলে ওটাও ট্রিপ হয়ে যায়। ফলে যে কয়টা পাওয়ার প্লান্ট বাকি থাকে সেগুলো লোড ডিমান্ড এবং ফ্রিকুয়েন্স ঠিক রাখতে গিয়ে ট্রিপ করে যায়। একে একে সব পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে যায়।

এই গুলো নিয়ন্ত্রন করে NLDC ( National Load Despatch Centre)।

নরমাল অবস্থায় এরকম ঘাটতি পড়লে লোড শেডিং দিয়ে লোড ব্যলান্স করা হয়। ফলে ব্যালান্স থাকে। কিন্তু আজকের বিষয়গুলো খুব দ্রুত ঘটায় লোড কমানোর সময়ই পাওয়া যায়নি যার ফলে সব জেনারেশন বন্ধ হয়ে যায়।

নরমাল একটা প্লান্ট বন্ধ হলে চালু করে গ্রিডে দিতে ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে। আর স্টিম হলে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা লেগে যায়।
যার জন্য এই দেরি....


According to one of my university's junior
(Mechanical Engineer)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভাই আপনার যুক্তি মানছি। ফ্রিকুয়েন্সি একটা নির্দিস্ট লেভেলের নিচে নেমে গেলে ওটাও ট্রিপ হয়ে যায়। এর পূর্বেও কিন্তু আমরা দেশের বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হটাত করে বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ, বড় পুকুরিয়ার কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ এবং বিভিন্ন গাস বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। কিন্তু এমন সমস্যার সামনে পরতে হয় নাই। কারণ দক্ষ বাবস্থাপনা ছিল, কিন্তু আপনার যুক্তি ধরে নিলেও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের অদক্ষতা আমাদের হতাশ করেছে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৭

নিশাচর রোবট বলেছেন: ....আজ দুবার এমন ঘটনা ঘটে। প্রথমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে, এরপর বিকেল ৫ টায়। বিকেলে ৫০০-৭০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে আসলেই আবার কলাপ্স করে যায়।
ব্যাপারটা হচ্ছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা। এমন দুর্ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারতো। বর্তমানে পুরো কন্ট্রোল সিস্টেমই অটোমেটিক, তারপরও দায়িত্বে থাকা কিছু মানুষ হয়তো কিছুটা উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে । তদন্ত ছাড়া বিস্তারিত কোথায় কি হয়েছে, হয়তো বলা যাবে না।
তবে, যে রকম পুর্ন সক্ষমতার সাথে ইঞ্জিনিয়াররা পুরো দেশকে দ্রুত অন্ধকারের কবল থেকে টেনে তুলতে পেরেছে, তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: দায়িত্বশীল বাক্তিদের performance সত্যি আমাদের হতাশ করেছে । ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশংসা জানান যেতেই পারে কিন্তু প্রবাদ ভুলেগেলে চলবেন - prevention is better then cure.

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৬

সরদার হারুন বলেছেন: সহমত
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫০

নয়ন01 বলেছেন: সহমত। আসলে আমরা সব সময় সব বিসয়ে রাজনৈতিক চিন্তা করি

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভাই আপনার রাজনৈতিক intention থাকতেই পারে কিন্তু আমার লেখার কোথাও কি রাজনৈতিক কোন উক্তি পেয়েছেন? তবে দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা কোনভাবেই গতকালকের দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

খেলাঘর বলেছেন:

এতদিন যে এ ধরণের কিছু ঘটেনি, সেতাই বিস্ময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.