নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি যেন না করি ভয়’।
হ্যাঁ সত্যি গত পরশু জুজুর ভয় মুক্ত থাকতে পেরেছে আমাদের জনগন। নজিরবিহীন একটি দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
বিরোধী দলও এই বিপর্যয় চলাকালে রাজনৈতিকভাবে তেমন আক্রমণ করা থেকে বিরত থেকেছে। বিরোধী দল দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।
হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়েছিল। রোগীর খাবার রান্না হয়নি।
বহুতল ভবনের লিফট বন্ধ হয়ে কত মানুষ হয়তো অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। কিন্তু কোথাও মানুষ ধৈর্যহারা হয়নি। কাউকে তাদের আশ্বস্ত করতে হয়নি। তারা নিজে থেকেই শান্ত থেকেছে। নাগরিকেরা সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছে।
আমাদের এত বড় একটি অঘোষিত জাতীয় দুর্যোগ, কী আশ্চর্য কোথাও ‘উহু’ শব্দটি না করেই পেরিয়ে এলাম।জাতি হিসেবে আমাদের অহংকার করার আছে। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।
দীর্ঘ সময় অন্ধকারে ডুবে থাকা সত্ত্বেও ঢাকা সহ সারা দেশের কোথাও তেমন একটি লুটপাট, ছিনতাই-রাহাজানি অথবা ধর্ষণের মতন জঘন্য ঘটনা ঘটতে দেখা যায় নাই। আজ একটি সত্য আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের অধিকাংশ জনগণই শান্তি প্রিয়।
সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে কারণ তারা এসময় মখা মার্কা তামাশা না করে বরং এটাকে বড় ধরনের কোনো মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হতে দেয়নি।
সর্বোপরি কথিত সভ্যজাতি হিসাবে দাবিকারি দেশ গুলোর, যারা সব সময় আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী নিকৃষ্ট শহর, আমাদের বিমান বন্দর নিকৃষ্ট বলে প্রচার করেছে তাদের গালে জনতার চপেটাঘাত।
©somewhere in net ltd.