নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আমি পক্ষে বা বিপক্ষে কোন ধরনের মন্তব্য করছি না তবে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলাম।
বাংলাদেশী এমপিদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত জানতে চেয়ে অফিসিয়ালি চিঠিও পাঠিয়েছিল ভারতের লোকসভা সচিবালয়। সংসদ সচিবালয় ওই চিঠির ভিত্তিতে বাংলাদেশী এমপিদের বেতন, ভাতাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার একটি হিসাব লোকসভায় পাঠিয়েছে।
লোকসভা থেকে সরাসরি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এ নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়।
লোকসভা সচিবালয় ৩০শে অক্টোবর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কাছে চিঠি পাঠায়। পরে আইন শাখা ১-এর সিনিয়র সহকারী সচিব (উপ-পরিচালক-প্রশিক্ষণ) নাজমুল হককে দায়িত্ব দেন স্পিকার। তিনি অর্থ শাখা ২-এর কাছ থেকে এমপিদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে ২রা নভেম্বর লোকসভা সচিবালয়ে পাঠান। এতে এমপিদের মাসিক পারিতোষিক ও ভাতার পাশাপাশি বার্ষিক ভ্রমণ-ভাতা, সংসদ অধিবেশন ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়ার ভাতা ও নির্বাচনী এলাকার দুস্থ ও দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে বিতরণের জন্য ঐচ্ছিক অনুদানের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে হিসাবটি তুলে ধরছিঃ-
লোকসভাকে দেয়া হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের একজন এমপি প্রতি মাসে পারিতোষিক ও ভাতা পান এক লাখ ৫০০ টাকা। এর মধ্যে
পারিতোষিক পান ২৭,৫০০ টাকা,
নির্বাচনী এলাকা খরচ ৭,৫০০,
ব্যয় নিয়ামক ভাতা ৩,০০০,
গাড়ি ও ড্রাইভারের মেইন্টেনেস ৪০,০০০,
নির্বাচনী এলাকা খরচ ভাতা ৯,০০০ টাকা,
লন্ড্রি ভাতা ১,০০০ টাকা,
অন্যান্য ব্যয় ভাতা ৪,০০০ টাকা,
চিকিৎসা ভাতা ৭০০ টাকা ও
টেলিফোন ভাতা ৭,৮০০ টাকা।
এছাড়া
একজন এমপি বার্ষিক বাংলাদেশ ভ্রমণ ভাতা (বিটিএ) বাবদ ৫০ হাজার টাকা অথবা দেশের অভ্যন্তরে সরকারি যানবাহনে ভ্রমণের জন্য ভ্রমণ পাস নিতে পারেন।
সংসদের অধিবেশন এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য একজন এমপিকে উপস্থিতি ভাতা (উপস্থিতির রেকর্ড অনুসারে) ১০০০ টাকা এবং অবস্থানের জন্য দৈনিক ভাতা ৩৭৫ টাকা হারে পেয়ে থাকেন।
নির্বাচনী এলাকার দুস্থ ও দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে বিতরণের জন্য বার্ষিক ৩ লাখ টাকা ঐচ্ছিক অনুদান পেয়ে থাকেন।
সহকারী সচিব এ কে এম আবদুর রহিম ভূঞার স্বাক্ষরিত ওই হিসাব এমপিদের জন্য প্রণীত হ্যান্ডবুকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এ প্রসঙ্গে আইন শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, লোকসভা সচিবালয়ের ৩০/১০ ২০১৪ তারিখের ২০.১৮.২০১৪/সিওএন নম্বর পত্রের আলোকে এমপিদের হিসাব লোকসভাকে দেয়া হয়েছে।
সুত্রঃ মানবজমিন
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: দাদাদের দয়াতেই তো আমাদের স্বাধীনতা। সুতরাং তাদের সাথে বেয়াদপি করা কি ঠিক?
আর অন্তত পক্ষে তাদের কল্যাণেই এই হিসাবটি আমরা জানতে পেরেছি।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
হাসান নাঈম বলেছেন:
আর কী কী হলে আমরা বলতে পারব যে বাংলাদেশ আর ভারত আসলেই এক দেশ এক জাতি?
শুধু শুধু নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম বলে মিথ্যে প্রবোধ দেয়ারতো কোন অর্থ হয় না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: Click This Link
ভাই পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব তথ্যতো নেটে খোজ নিলেই পাওয়া যায়। দু দেশের এমপিদের বেতন ভাতা সব পাবেন। এত হাকডাকের দরকার কি?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: তাহলে এত কষ্ট করে ভারতের লোকসভা সচিবালয় কেন বাংলাদেশের স্পিকার এর কাছে অফিসিয়ালি চিঠি পাঠানোর প্রয়োজন বোধ করল?
নেট সার্চ দিয়েই তো তারা পেয়ে যেত, নাকি তাদের নেটে সার্চ দেওয়ার যোগ্যতাও নাই??(আপনার ভাষ্য মতে)
সত্যি বিস্ময়!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘটনা কি?
বাংলাদেশ কি ভারতের করদ রাজ্য নাকি?????
এমপিদের খরচ নিয়া তাগোর মাথঅ ব্যাথা কেন????
হাসিনা পারলে ভারতের এমপিদের ব্যায় চাইয়া দেখূকতো .. কতটা ভদ্রতা তারা দেখায়!!!!
কি বিস্ময়কর নতহওয়া!!!!