নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
গ্রাহকদের কাছ থেকে বেপরোয়া সার্ভিস চার্জ আদায় করছে ব্যাংকগুলো।
সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে গিয়ে বেশির ভাগ গ্রাহকেরই হিসাবের মূল টাকা কমে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসা খরচ। এ কারণে ব্যবসায়ীরা তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন। সাধারণ গ্রাহকরাও ব্যাংকে টাকা রেখে মুনাফা পাওয়া তো দূরের কথা উল্টো ফতুর হচ্ছেন।
ব্যাংকগুলো আগে ঋণের সুদ থেকেই মূল আয় করত। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক জালিয়াতির কারণে ব্যাংকগুলো ঋণ আদায় করতে পারছে না। ওইগুলো খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। এর বিপরীতে প্রভিশন রাখতে গিয়ে ব্যাংকের তহবিল আটকে যাচ্ছে। ফলে ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার দায় চাপাচ্ছে গ্রাহকদের ওপর। তাদের কাছ থেকে গলাকাটা সার্ভিস চার্জ আদায় করে মুনাফা বাড়াচ্ছে। এই মুনাফা দিয়ে দুর্নীতির দায় শোধ করছে।
জানা গেছে, ব্যাংকিং বিভাগের সচিবের কাছে লেখা নোটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যেখানে সর্বমোট চার্জ ৪শ’ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়, সেখানে বর্তমানে এক হাজার টাকা পর্যন্ত চার্জ আরোপ করা হচ্ছে।
মাত্রাতিরিক্ত চার্জ আদায়ের দায়ে এখন পর্যন্ত ৭টি ব্যাংককে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে মাত্রাতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ নেয়ার দায়ে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি চার্জ ফেরত দিতে বাধ্য করেছে।
সার্ভিস চার্জ আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে প্রতি বছর একটি হিসাবের বিপরীতে একজন গ্রাহকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ব্যয় হচ্ছে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। এর মধ্যে হিসাব পরিচালন ফি ৫০০ টাকা ও এটিএম কার্ড ফি ৫০০ টাকা। বিভিন্ন সময় ব্যাংকটি এসএমএস পাঠানো ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জন্যও বছরে ৫৭৫ টাকা কেটে রাখছে। কোনো গ্রাহক এসএমএস পেতে আগ্রহী না হলেও এই চার্জ নেয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা না দিলেও গ্রাহকের কাছ থেকে গণহারে এই ফি নেয়া হচ্ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংকে তদন্ত চালায়। ১১টি শাখা পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক দেখতে পায়, - ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই ঋণ ছাড়ের শুরুতে জীবন বীমা, অগ্নিবীমা, প্রসেসিং ফি, ঝুঁকি ব্যবস্থা, উচ্চ ঝুঁকি এসব বাবদ ঋণের টাকা থেকে একটি অংশ কেটে রাখে। ফলে গ্রাহক ঋণের পুরো টাকা পাচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ রয়েছে ঋণের টাকা পুরোটাই গ্রাহককে দিতে হবে। ফি আলাদাভাবে কেটে রাখতে হবে। এই নিয়ম ব্যাংক মানছে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস চার্জের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ কর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তেও তার প্রমাণ মিলছে, যা উদ্বেগজনক। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে ঘোষিত চার্জের বাইরে অন্য কোনো চার্জ আদায় না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমত অবস্থায় অর্থ মন্ত্রনলয় আর বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকর পদক্ষেপই পারে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতে।
সূত্রঃ যুগান্তর।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে তার ভেতর টাকা রাখতে হবে অন্যথায় ব্যাংক থেকে গায়েব হয়ে যাবে। দুঃখজনক হলেও আপনার ঘটনা সত্য হতে পারে। আমার সোনালী ব্যাংকের নিউমার্কেট একাউন্ট থেকে সার্ভিস চার্জ ছাড়াও গত বছর ৫০০০ টাকা গায়েব হয়েছে।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: মাটির ব্যাংক কিনতে হবে টাকা রাখার জন্য। আর ব্যাংকগুলো মন্ত্রনালয়ে মাল দেয় তাদের পরিচালকরা মাসে লাখ লাখ টাকা সম্মানী নেয় একটা এমডির মাইনে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা এসব যোগাতে মন্ত্রনালয়ের সম্মতিতে চার্জ কাটে, আছে আমরা ভোদাই গ্রাহকরা, আমাদের উপর দিয়েই ছুরিটা চলে আর কি!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: নিজেদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার দায় ব্যাঙ্কগুলো আমাদের মতন গ্রাহকদের ওপর চাপাচ্ছে।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
আলাপচারী বলেছেন: ডাচ বাংলায় ৫০০০ টাকা রেখেছিলাম ৮৯০ কেটে দিয়েছে।
ইর্ষ্টাণ ব্যাংকে ৪০০০ টাকা রেখেছিলাম পুরোটাই নানা খাত দেখিয়ে হাপিস।