নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সম্প্রতিকালে একটি বিষয় আমাদেরকে খুব বিব্রত করছে। আমরা অহেতুক মনে করছি ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লেখা মানেই মুক্তচিন্তার অধিকারী হওয়া। সুতরাং মুক্তচিন্তার নামে অনেকেই একটা সুনির্দিষ্ট ধর্মের বিরোধিতাকেই বেছে নিয়েছেন। বলাই বাহুল্য সেই সুনির্দিষ্ট ধর্মটি হল ইসলাম। মুক্তচিন্তার মানুষ কোন একটি চিন্তার মধ্যে আবদ্ধ না থেকে যুক্তি তর্ক,বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার মতামত তুলে ধরবে। এর জন্য ধর্মদ্রোহী হতে হবে এটি কোন সংবিধানে লেখা নেই। কিন্তু আজকাল সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের একটি মাধ্যমে হয়ে দাঁড়িয়েছে মুক্ত চিন্তা প্রকাশের নামে ধর্মপ্রাণ মানুষদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া।
আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে অনেক সমস্যা, অনেক পিছিয়ে আছি জীবনের নানা ক্ষেত্রে। এই দেশগুলোতে ক্ষুধা দারিদ্র, অশিক্ষা – কুসংস্কার আর পুজির সীমাহীন দাপট আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাখে। সমাজের অসাম্যতা একে অন্যকে দাবিয়ে রেখে উপরে উঠার যে নিরন্তর অশুভ প্রতিযোগিতা চলে সেই প্রতিযোগিতায় ধর্ম মানুষকে অনেকটাই বেঁধে রাখে। একথা গুলো যারা অস্বীকার করতে চান তারা আসলে নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া অন্য কিছুই করতে পারবেন না।
আমাদের দেশ যখন অনেক পশ্চাৎপদ ছিলো তখন ওয়ালিউল্লাহ সাহেবের মতো লেখক লালসালুর মতো উপন্যাস লিখেছেন, কিন্তু কোনদিন তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ আসে নাই। তাদেরকে হত্যা তো দূরের কথা তাদেরকে আজো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। তারা কিন্তু মুক্তচিন্তার মানুষ। তারা কিন্তু জনপ্রিয়ও। আজকে আমার মনে হয় সস্তা জনপ্রিয় হওয়ার জন্যে নিজের জীবনকে বিপন্ন করে মুক্তচিন্তার নামে নিজের ধর্মকে বা অন্যের ধর্মকে ব্যঙ্গ করার পথ পরিহার করা উচিৎ।
আজকের রাজীব, দীপ, অভিজিৎ আর ওয়াসিকুরসহ অসংখ্য ব্লগার হত্যার
সাথে রাজনীতির অনেক সমীকরণ কাজ করছে বলেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এবং বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান পেক্ষাপটে অনেকবেশী গরুত্ব বহন করছে। সেই গুরুত্বের সাথে এইসব হত্যাকান্ড কে কোনভাবেই দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ, সরকার এমনকি বিদেশী সংস্থা পর্যন্ত তদন্তে নেমেছে। অনেক তদন্ত কমিটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতসহ রিপোর্ট জমা দিয়েছে কিন্তু কোন সমাধান পাওয়া যায় নাই। আর হত্যাকান্ডও থেমে থাকেনি। কিছুদিন পত্র পত্রিকায় গরম গরম খবর ছাপা হয়েছে, পত্রিকার ভেতরের পাতা গুলোতে বিভিন্ন বিশিষ্ট জনের বড় বড় কলাম ছাপা হয়েছে।
জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসকে দায়ী করে আমরা লেখালেখি করে আসল ব্যাপারগুলোকে আড়ালে চলে যেতে দিচ্ছি কিনা সেটাও আজ ভেবে দেখা দরকার। আজকে সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেবার। আমরা কি করবো এবং কোনদিকে যাবো। আমরা কি হাতে হাত লাগিয়ে দেশের জন্য দশের জন্য কাজ করবো?, দেশকে সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌঁছে দিব?, নাকি একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নিজের দেশের ও দশের সকল সম্ভাবনার সমাধি রচনা করবো?
আসুন, আমরা আমাদের চিন্তা চেতনাগুলোকে আমাদের দেশের গরীব অশিক্ষিত মানুষগুলোকে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পথ বাতলে দেবার কাজে লাগাই। আমাদের জ্ঞান, চিন্তা ভাবনা এবং আমাদের সকল প্রচেষ্টা ধাবিত হোক মানুষের কল্যাণে, ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। আমরা আমদের মুক্ত চিন্তা ভাবনা কাজে লাগাতে চাই মানুষের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা পূরণে।
(পরিমার্জিত)
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
রাখালছেলে বলেছেন: কি কেন এবং কোথা থেকে এলাম আমরা এই মানুষেরা জানার ইচ্ছা সবসময় মনের ভিতর ঘুরতে আছে । উত্তর খোজা বন্ধ করা মানে আমার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চালনা করা ।আমরা কথা বলতে চাই । কেউ থামাতে পারবে না । চলুক মুক্ত চিন্তা ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: ধর্মের অনুশাষণ মেনে চলাই বরং মুক্ত চিন্তা