নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
বর্তমানে সব থেকে দুর্ভাগ্যজনক সংবাদ হল অবৈধ পথে মালায়শিয়া গমন করতে গিয়ে লাশ হয়ে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া। কয়েক হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে মাঝ সাগরে অবস্থান করে।
খাবার, পানি জ্বালানী কোনটাই তাদের কাছে নেই।প্রায় ২০০ জন মানুষ মারা গেছে খাবার ও পানির অভাবে। প্রতিনিয়ত তারা একে অন্যর সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হচ্ছে ক্ষুধা নিবারণের উদ্দশে।প্রায় ৫০ জন বা তারও বেশি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি একে অন্যের সাথে খাবারের জন্য সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছে।
আজকের একটি সংবাদ "মানবপাচার রোধে একনেক সভায় ৪৬৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা অনুমোদন"।
এই অর্থ খরচ করা হবে কোস্টগার্ডের আধুনিকায়নের জন্য।কিন্তু সমুদ্রে ভাসমান প্রায় ৮০০০ ও থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় আটক আরও কয়েক হাজার মানুষদের জন্য এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ-ই সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়নাই।
এমনকি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া উপকূল এবং আন্দামান সাগরে এখনও মৃত্যুঝুঁকিতে প্রায় ছয় হাজার অভিবাসী। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এ ব্যাপারে জোরালো উদ্যোগ না নিয়ে দোষ চাপানোর কূটনৈতিক খেলা শুরু করায় এবং উপকূল থেকে অভিবাসীদের নৌকা তাড়িয়ে দেয়ায় এ সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে। এদিকে অভিবাসীদের উদ্ধার না করতে ইন্দোনেশিয়া নির্দেশ দিয়েছে, বিদেশিদের ঢুকতে দেবে না বলেছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডও তার উপকূলে টহলরত নৌযানগুলোকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌযানের ওপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে।
আটকেপড়া বোটগুলোতে অভিবাসীরা বেঁচে আছেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে। তাদের দেহ হাড্ডিসার। ফ্যাল ফ্যাল করে ওরা তাকিয়ে রয়েছেন সমুদ্রের উত্তাল জলরাশির দিকে। রোগে ভুগে, ক্ষুধায় কাতর এসব মানুষ। তাদের পান করার মতো পানি নেই। খাবার, পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় অধৈর্য হয়ে পড়ছেন সবাই।
সত্যি আজ আমি হতাশ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ওই অঞ্চলের সরকারগুলোকে দ্রুত এসব মানুষের জীবন রক্ষার আহ্বান জানালেও তাতে কোনো সাড়া মিলছে না। সবথেকে কষ্টকর ব্যাপার হল আমাদের দেশের মানুষ মরছে অথছ সরকারের কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের কোন মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, দূতাবাস বা কোন সরকারি কর্মকর্তা এসব স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নাই।
১৯ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সরকার যদি সুধুমাত্র এসব লোকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করতে পারত তবে এসব লোককে এভাবে অকালে মৃত্যুর মুখমুখি হতে হত না।
২| ১৯ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: ছবিগুলো দেখলে গা শিউরে ওঠে । কি এক বিভৎস পৃথিবীতে আছি আমরা !!!!!!
১৯ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সত্যি আমরা এক অমানবিক জগতে বাস করি।
৩| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি আজ আমি হতাশ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ওই অঞ্চলের সরকারগুলোকে দ্রুত এসব মানুষের জীবন রক্ষার আহ্বান জানালেও তাতে কোনো সাড়া মিলছে না। সবথেকে কষ্টকর ব্যাপার হল আমাদের দেশের মানুষ মরছে অথছ সরকারের কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের কোন মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, দূতাবাস বা কোন সরকারি কর্মকর্তা এসব স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নাই।
কি দুঃখজনক !!! ভাষা নেই কষ্ট আবেগ আর ক্রোধকে প্রকাশ করার!
শুধু ফিলিপাইন কিছু লোককে নেবে বলে ঘোষনা দিয়েছে! আমাদের সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রকাশ আজকের এই চিত্র।
অন্তর্জাতিক সম্র্পককে একঘরে নীতিত নেয়ার কুফল এই ঘটনা! মধপ্রাচ্যের সাথৈ সম্পর্কের উন্নতি করতে না পারায় আজ ৭ বছর প্রায় বন্ধ দুবাই আরব সহ বেশির ভাগ দেশে বৈধ দরজা!
নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকারতো করেইনা- উল্টো যারা আজ মৃত্যুর মূখে তাদেরই দায়ী করতে চায় এই ব্যর্থ সরকার এবং তাদের পা-চাটা অন্ধ দালালেরা।
মানবাধীকার সংস্থার পশুগুলোও আজ নিরব! হায় আইজদ্দিন! কি বিচিত্র এই দেশ আর তার রাজনীতি!!!!!!!!!!!
১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আমাদের সরকার কোনভাবেই দ্বায় এড়াতে পারেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
িশপু মাস্তান বলেছেন: শুধু আইন প্রয়োগ করে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার শিক্ষা ও সচেতনতা। যারা বিভিন্ন ভাবে দেশের বাহিরে যেতে চাই বা যাচ্ছে তারা যেই লোকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তারা তার সমাজেরই কেউ না কেউ বা আত্নীয় স্বজন।