নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
একটু অবাক হয়ে লক্ষ্য করুন সিলেটের সবজি বিক্রেতা শিশু রাজন হত্যার
প্রধান অভিযুক্ত কামরুল আর নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত ৭ খুনের প্রধান হোতা
নূর-হোসেনের মধ্যে কি চমৎকার মিল!
দুই জনই হত্যা করবার পর নিরাপদে, নিশ্চিন্তভাবে দেশ ত্যাগ করেছেন।
একজন হয়ত বিমানও ব্যাবহার করেছেন অন্যজন করেননি, বলা যায় না
বিমান ব্যাবহার করাটা অবশ্য এদের কাছে তেমন কোন ব্যাপার নয়।
সুতরাং পাসপোর্ট, ভিসা, ইমিগ্রেসন সকল পক্রিয়াই সম্পন্ন হয়েছে।
উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশ/র্যাব অর্থাৎ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব
অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক একটি ঘটনায় তারা সরাসরি
হত্যাকাণ্ডে যোগ দিয়েছে অন্যটিতে তাদের মদদে হত্যাকারী নিরাপদে দেশ
ত্যাগ করেছেন উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে।
দুটি ঘটনার মধ্যে কত মিল লক্ষ্য করেছেন কি? দুটি ঘটনাই জনগনের মনে
ব্যাপক ন্যাড়া দিয়েছে, পেপারে অনেক নিউজ হয়েছে, টিভি খবরে অনেক বার
করে প্রচার করা হয়েছে, ফেসবুকে শতশত ইভেন্ট খোলা হয়েছে বিচারের
দাবিতে।
নামে বেনামে শত-শত সঙ্ঘঠনের ব্যানারে বিচার দাবি করে মানব বন্ধন করা
হয়েছে, হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে হাসি মুখে মানববন্ধন করে যেন আমাদের
সুশীল সমাজ বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করেছে।
অতঃপর উভয় ঘটনায়ই মূল অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এমনকি
তারা ভিন দেশে আটক পর্যন্ত হয়েছে। আবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সাসপেন্ড হয়েছেন। কিন্তু সব থেকে মজার টুইস্ট হবে
তখনই যখন দেখবো নূরহোসেনের মতন কামরুলকেও দেশে ফিরিয়ে এনে
বিচার করতে ব্যার্থ হবে আমাদের আইন-আদালত /সরকার/রাষ্ট্রযন্ত্র।
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: মিডিয়াতে ছবি যাবে বলে কথা! কোটি কোটি মানুষ দেখবে না!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে হাসি মুখে মানববন্ধন করে যেন আমাদের
সুশীল সমাজ বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করেছে।