নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। তার স্বপ্ন আকাশছোঁয়ার।
ছবি: গবেষণাগারে কাজ করছেন জাহিদ হাসান
স্বপ্নের নায়ক ছিলেন পদার্থের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। সেই নায়কের পথ ধরেই বিশ্বের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন। বলছি বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের কথা। তিনি এখন বাংলাদেশেই নয় বরং বিশ্বের গর্ব।
জাহিদ হাসান নতুন কণা ফার্মিয়ন, ভাইল ফার্মিয়ন আবিষ্কার করে বিশ্বজুড়ে হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন। এই কণা আবিষ্কার করতে লেগেছে পঁচাশি বছর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল গবেষক পরীক্ষাগারে ওই কণা খুঁজে পেয়েছেন। গবেষক দলের অন্য সদ্যসরা হলেন ড্যানিয়েল সানচেজ, গুয়াং বিয়ান, হাও শ্যাং ও ইলিয়া বেলোপোলস্কি।
এই আবিষ্কারের মাধ্যমে এখনকার মুঠোফোন, কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক সামগ্রীর বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। বাড়বে গতি। হবে শক্তিসাশ্রয়ী। এই আবিষ্কারের ফলে নতুন প্রযুক্তির মোবাইল আসবে বাজারে। যে মোবাইল কখনও গরম হবে না। কারণ, এই কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না। এমন আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এ কণার।
গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স-এ ভাইল ফার্মিয়নের পরীক্ষামূলক প্রমাণের বিষয়টি বিস্তারিত ছাপা হয়েছে।
জাহিদ হাসান বর্তমানে আইনস্টাইনের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে শিক্ষকতা করছেন। জাহিদ হাসানের এমন অসামান্য আবিষ্কারে তার নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। আর এটা সম্ভব হলে তিনিই হবেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম বাঙালি।
বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, গাছপালা, ফুল কিংবা মানুষ—সবই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার পিণ্ড। দুনিয়ার এসব বস্তুকণাকে বিজ্ঞানীরা দুই দলে ভাগ করেছেন।
এসব কণার একটি ফার্মিয়ন, যার একটি উপদল হলো ভাইল ফার্মিয়ন। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল এই কণার অস্তিত্বের কথা প্রথম জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি তারই পরীক্ষামূলক প্রমাণ হাজির করলেন জাহিদ হাসান।
আরেক জাতের কণা হলো ‘বোসন’, যার নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তার আবিষ্কারের ৯১ বছর পর ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে যুক্ত হলেন আরেক বাঙালি জাহিদ হাসান।
জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, মোট তিন ধরনের ফার্মিয়নের মধ্যে ডিরাক ও মায়োরানা নামের বাকি দুই উপদলের ফার্মিয়ন বেশ আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে ভেবেছেন, নিউট্রিনোই সম্ভবত ভাইল ফার্মিয়ন। কিন্তু ১৯৯৮ সালে নিউট্রিনোর ভরের ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে আবার ভাইল ফার্মিয়নের খোঁজ শুরু হয়।
অবশেষে জাহিদ হাসানের গবেষক দল ওই কণাকে খুঁজে পেয়েছেন একটি যৌগিক কেলাসের (ক্রিস্টাল) মধ্যে।কেলাসেই কেবল এটি পাওয়া যায়। অবশ্য জাহিদ হাসানের ধারণা, নতুন যুগের সেই ইলেকট্রনিকসের জন্য হয়তো আরও ১০ থেকে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
আশাকরি গবেষক জাহিদ হাসানকে বাংলাদেশে এনে সংবর্ধনার বাবস্থা করা হবে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে। যারা বাইরের দেশে থেকে আমাদের দেশের জন্য সন্মান বয়ে আনছেন তাদের সন্মান দেওয়াটা আমার মতে আমাদের কর্তব্য। জাহিদ হাসানদের মতন গুণী ব্যাক্তিদের কাছে থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে আমাদের ছাত্র সমাজ।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: জাহিদ হাসানের জন্য শুভ কামনা ।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের জন্য শুভ কামনা ।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: জাহিদ হাসানকে অভিনন্দন।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০০
সুমন কর বলেছেন: জাহিদ হাসানের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের জন্য শুভ কামনা ।