নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়ে অনলাইনে একটি অত্যন্ত করদর্য জাতীয় ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবিটি মূলত হলিউডি ছায়াছবি “থ্রি হান্ড্রেড” এর পোস্টারকে ফটোশপ করে বানানো যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচিত গতি দানব তাসকিন আহমেদ তাঁর বাম হাতে একটি ধারালো তলোয়ার ধরে রেখেছে যেখান থেকে ঝরে পড়ছে রক্ত ও তাসকিনের ডান হাতে ধরে রাখা ইন্ডিয়া ক্রিকেট দলের মাঝ বয়সী অধিনায়ক মহিন্দ্র ধনীর কাটা মাথা।
এই ছবিটি কোথা থেকে এলো, কিভাবে এলো সেটি কখনই প্রমাণ করা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে অত্যন্ত স্টেরিওটাইপড ভাবে সবাই ধরে নিয়েছিলো যে ছবিটা হয়ত বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট ভক্ত অত্যন্ত আবেগের স্থান থেকে করেছে। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটেছে ও সন্দেহ তৈরী হয়েছে ঠিক তখন যখন এই ছবিটি ধরে ধরে ভারতের সব প্রথম সারির মিডিয়া গ্রুপগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডায় মেতে উঠেছিলো। এমকি অসভ্যতার সকল সীমারেখা ছেড়ে বেনাপোলের ওপারের দেশটি বলে আসছিলো যে এই ছবিটির কারনেই নাকি তাসকিন আহমেদের বোলিং ব্যান করা হয়েছে।
ভারতের সিধু সারাটা জীবন বাংলাদেশকে নিয়ে উপহাস করেছে, কৌতূক করেছে। শেষ পর্যন্ত সে বাংলাদেশকে কাংলাদেশ বলেছে। বিশ্বকাপের আগে মওকা মওকা গান বানিয়ে নোংরামি করেছে, এই টি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের আগে তারা ভিডিও বানিয়েছে “পেহলা শিকার” নামে। ভারতের মিডিয়াকে আশ্চর্যজনকভাবে এ নিয়ে কখনোই উচ্চকিত হতে দেখা যায়নি অথচ এই সুনির্দিষ্ট ছবি নিয়ে ভারতের এই মাতামাতি খুব সন্দেহের ছিলো।
এদিকে এই ছবি কোথা থেকে এসেছে এটি নিয়ে বাংলাদেশেও কৌতূহলের শেষ নেই। আজকে বের হয়ে এসেছে যে এই ছবিটি মূলত ভারত থেকেই তৈরী করা হয়েছে। সুমিত কুমার নামে এক ভারতীয় ক্রিকেট বিষয়ক লেখক একটি লেখা লিখেন ক্রিক স্পিরিট নামে একটি সাইটে। যেখানে এই ছবিটি ব্যবহার হয় যদিও উল্লেখিত ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তারও দুইদিন আগে। কিন্তু বিপত্তির স্থানটি হচ্ছে যে ছবি নিয়ে এত মাতামাতি সে ছবিটিতে সব সময় দেখা গেছে তাসকিনের কোমরের উপর থেকে। কখনোই এই ছবির পূর্ণাঙ্গ ভার্সন অনলাইনে আসেনি এবং কেউ তা দেখেওনি। কিন্তু সুমিত কুমার নামে সে ভদ্রলোকের ব্যাপারে অনুসন্ধানে নামতেই দেখা মিলেছে যে সুমিত এই ছবিটির মাস্টার কপির মূল মালিক। তার নামেই এই ছবিটি অনলাইনে রয়ে গেছে। যে ছবিতে তাসকিন আহমেদের ট্রাউজার, ডান হাতের দিকে আরো বিশাল অংশের ক্যানভাস, ডান দিকেও ক্যানভাস্টা বেশ চওড়া যেগুলো আগে কখনো কেউ দেখেনি।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে সুমিত কুমার নামে এই ভারতীয় এই পূর্ণ ছবিটি কোথায় পেলেন। যদিও ৫ই মার্চের একটি লেখায় তিনি ওই উল্লেখিত ছবিটির একটি কাটা ভার্সন দিয়ে বলেছেন ছবিটি তিনি “স্পোর্টস কিডা” নামের ওয়েব সাইট থেকে পেয়েছেন কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে সেইখানে পূর্নাঙ্গ ছবিটি দেয়া নেই শুধু পূর্ণাঙ্গ ছবিটি রয়ে গেছে গুগল ইমেজ স্টোরেজে আর সেটি রয়েছে সুমিতের নামেই। এই থেকে সন্দেহ প্রবল ভাবে দানা বেঁধেছে যে ছবিটার মূল হোতা এই ভারতের সুমিত কুমার।
অনেক বাংলাদেশী ক্রীড়াপ্রেমীরা শুরু থেকেই ভারতের দিকেই আঙ্গুল নির্দেশ করে এসেছেন। তাঁদের মতে এই ধরনের নোংরা খেলা ভারতের পক্ষেই খেলা সম্ভব যা তারা সব সময় করে আসছে। ভারত বাংলাদেশকে জব্দ করবার জন্য, বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শক জঙ্গী এটা প্রমাণ করবার জন্যই এই অসভ্য অস্ত্রটি চেলেছে বলে অনলাইন ব্যবহারকারীদের ধারনা। অনলাইন ব্যবহারকারীরা আরো বলছেন যে এই ছবিটির ব্যাপারে বাংলাদেশের সবাই বিরুদ্ধ চারন করেছিলো শুরু থেকেই, তবে তারপরেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ছবি ব্যবহার করে কেন এই অশোভন প্রোপাগান্ডা?
সুমিতের নামে পূর্ণাঙ্গ ছবিটাই সব রহস্যের জট খুলে দিল অবশেষে।
কৃতজ্ঞতাঃ bbarta24.info
আসলেই রেন্ডিয়ানরা অনেক মহান জাতি যাহারা নিজেরা চুরি করে আবার অন্যদের চোর বলে অপবাদ দেয়। পুনরায় ডাকাতি করে আগের চুরির দোহাই দিয়ে!
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯
আরজু পনি বলেছেন:
পুরোটা পড়েতো তব্দা খাইছি !
২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এই ছাড়া আপাতত আর কি'বা করবার আছে। কিন্তু তাদের চুরি ধরা পরেছে এটাই সান্ত্বনা
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১
ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: চোরের দেশ। ধর্ষনের দেশ। যেখানে প্রতিদিন ৪০ জন নারী ধর্ষিত হয়।
২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: চুরির শাস্তি দিতে পাড়লে ভাল হইত। আপাতত তাদের সব কিছু বর্জন করা যাতে পারে। যা হবে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৪
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার দেওয়া তথ্য সত্যি হলে তো ভয়াবহ ব্যাপার। মানুষ কেমন স্তরের কুচক্রি হলে এমন কাজ করতে পারে চিন্তা করা যায় না। সেক্ষেত্রে তো বাংলাদেশ সরকারের উচিত আনুষ্ঠানিকভাবে এমন বদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপকর্মের প্রতিবাদ করা। স্মরণ করা যেতে পারে যে আমাদের দেশে আইন করা হয়েছে যে বন্ধু দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয় এমন কোনো কথা বা কাজের জন্য বাংলাদেশের একজন নাগরিক রাষ্ট্রদ্রোহীতার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে।
২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আসলেই বিষয়টি অত্তান্ত ভয়াবহ।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আসলেই রেন্ডিয়ানরা অনেক মহান জাতি যাহারা নিজেরা চুরি করে আবার অন্যদের চোর বলে অপবাদ দেয়। পুনরায় ডাকাতি করে আগের চুরির দোহাই দিয়ে!
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
তার আর পর নেই… বলেছেন: তবে ছবিটি … …
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০
মশার কয়েল বলেছেন: আমিতো চো**না হয়ে গেলাম
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: এখন উচিত এর জন্য জোরালো প্রতিবাদ জানানো..ছি ছি ছি..
৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আব্দুল্যাহ বলেছেন: জানার জন্য খুজছিলাম, পেয়েও গেলাম।
ধন্যবাদ
১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
আইএমওয়াচিং বলেছেন:
১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
আহলান বলেছেন: ও ... তারমানে এর জন্যই আইসিসি (ক্রিকেটের আইএসাইএস) তাস্কিনরে শাস্তি দিছে? তাহলে তো প্রমাণ হয়েই যায় আইসিসি ভারতের কেনা গোলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
দায়ী বলেছেন: