নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের কাছে একটি বিদেশি সামরিক অভিযান কেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩০ জন ইসরাইলি ও পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। সিরিয়ার উপকূলে মোতায়েন রুশ যুদ্ধজাহাজ থেকে আলেপ্পোর পাহাড়ি এলাকার বিদেশি সামরিক কেন্দ্রে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
হামলায় আমেরিকা, তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার ও ব্রিটেনের কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাও নিহত হয়েছে। সামরিক অপারেশন্স রুম থেকে এসব কর্মকর্তা আলেপ্পো ও ইদলিবে সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশনা দিত।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে, “আলেপ্পোর সামান পর্বতের কাছে দার ইজ্জা এলাকায় রুশ যুদ্ধজাহাজ থেকে তিনটি ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে ইসরাইল ও পশ্চিমা ৩০ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।” আলেপ্পোর সারি সারি আকাশচুম্বি পাহাড়ের গভীরে গুহার ভেতরে এ অপারেশন্স রুম অবস্থিত। এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী আকস্মিকভাবে কথিত আলেপ্পো অপারেশন্স রুমে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা ও সিরিয়ার সেনাদের জন্য রসদ সরবরাহ রুটের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়।
কিছু দিন পূর্বে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মার্কিন সেনারা বিমান হামলা চালিয়ে ৬২ জন সিরিয়ান সেনাকে হত্যা করে। অথচ কথা ছিল রাশিয়ার সাথে সমন্বয় করে তারা দায়েস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে।
আর সিরিয়ার আকাশে তুরস্ক কর্তৃক রাশিয়ান যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করবার ঘটনা বেশ আগেই ঘটেছিল। তবে তখন রাশিয়া পাল্টা হামলা না চালিয়ে হয়ত এই ধরনের কোন উপযুক্ত ক্ষণ গুনছিল। সময় সুযোগ বুঝে মুনাফাসহ্ পাওনা মিটিয়ে দিল মনে হচ্ছে। মাত্র তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ৬ টি দেশকে শিক্ষা দিয়ে দিল যারা এতদিন ধরে সিরিয়াতে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছিল।
এমনকি সিরিয়ায় তৎপর উগ্র জঙ্গিরা দেশটিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণবহরকে নিজেদের সামরিক কাজে ব্যবহার করেছে। জঙ্গিরা বিপুল পরিমাণ মর্টারবাহী পিক-আপ ট্রাক স্থানান্তরের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণবহর ব্যবহার করতে বাদ রাখেনাই। পরবর্তীতে হামলায় সেই ত্রাণবহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্রানবহরে হামলার জন্য অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়াকে দায়ী করা হলেও রাশিয়া দ্বায় নিতে অস্বীকার করে।
এদিকে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন ইরান আহব্বান জানিয়েছে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ভুমিকা রাখতে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিরিয়ায় কিছু এলাকায় নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার যে আহ্বান জানিয়েছেন তা নাকচ করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি । ড. রুহানি বলেছেন, বিমান হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদেরকে চাপে রাখতে হবে। বিমান হামলা বন্ধ হলে তা সন্ত্রাসীদের জন্য শতকরা ১০০ ভাগ কল্যাণ বয়ে আনবে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
আহলান বলেছেন: হুমম .. !
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
পথহারা মানব বলেছেন: কথা যদি সত্য হয়
তবে খারাপ নয়
এই দালালগুলিই
খালি যুদ্ধ বাজায়
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: কথা সত্য। সহমত।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সিরিয়া যেন ভাগারের মাল!!!
সবাই খেলছে যার যার মতো করে! অদ্ভুত! খোদ সিরিয়ানদের ইচ্ছা অনিচ্ছার যেন কোন মূল্য নেই!!!!!!!!!!!!!!!
মাত্র তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ৬ টি দেশকে শিক্ষা দিয়ে দিল যারা এতদিন ধরে সিরিয়াতে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছিল। এরকমটি হয়ে থাকলেই ভাল! কারণ সবকিছূর শেষ আছে। সিরিয়ানদের জন্য একটা ভাল সমাধান দরকার !
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। দ্রুত সিরিয়ান নাগরিকরা তাদের জন্মভূমিতে নিরাপদে বাস করতে পারুক সেই কামনা করি। নতুন করে আর কোন ৩ বছরের শিশুর আয়লান কুর্দির মতন ভাগ্য বরন করতে না হউক।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওটাই সমাধান হলে, বাশার অনেক আগেই জিতে যেতো; সিরিয়া মাটির সাথে মিশতো না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ৮০ % ঠিক হয়ে গিয়েছে আর ইরাক থেকেও কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। শেষ চেষ্টা করেছিল যুদ্ধবিরতির নাটক করে কিন্তু ধরা খাবার পর তাদের সেই পরিকল্পনাও ব্যার্থ, ফলে সন্ত্রাসী আর তাদের দোসরদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: উচিৎ শিক্ষাই মনে হয়।