নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আইএস/আল-কায়েদা জঙ্গিরা মসজিদে হামলা করে মুসল্লি হত্যা করে আর
সৌদিরাও ইয়েমেনে জানাজার নামাজে হামলা করে শতশত মুসল্লীকে হত্যা
করল। সুতরাং জঙ্গিবাদীদের পৃষ্ঠপোষকের পরিচয় পরিষ্কার!!
গত হজ্জেও সৌদি সরকারের একপ্রকার অপঘাতে সাড়ে তিন সহস্রাধিক হাজি
মারা যান। যাদের সংখ্যা পর্যন্ত সঠিক ভাবে প্রকাশ করা হয় নাই। এমনকি
খুব দ্রুত বুলড্রেজার ব্যবহার করে লাশ সরিয়ে ফেলা হয়। ঠিকমতন তদন্ত
পর্যন্ত করা হয় নাই বা এ সম্পর্কিত কোন তথ্যই মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা
হয় নাই, বরং লাশের সংখ্যা নিয়ে নানা সময়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গি সংগঠন দায়েসদের শুরু থেকে পৃষ্ঠপোষক
হিসেবে সৌদি আরবের নাম এসেছে। এমনকি বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন
জেএমবি প্রতিষ্ঠাতা সায়াখ আব্দুর রহমান কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থেকে
লেখাপড়া করে এদেশে আসে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সে যে দুইটি দেশে
নিয়মিত যাতায়াত করত তার একটি সৌদি আরব আর অন্যটি কিন্তু ভারত।
এমনকি আমাদের দেশে সৌদি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন মাদ্রাসা জঙ্গি
কার্যক্রমে প্রায় ব্যবহার করবার অভিযোগ পাওয়া যায়।
আর ফিলিস্তিনি মুসলিম হত্যার জন্য যদি আমরা ইসরাইলকে ঘৃণা করে থাকি
তবে সৌদি কে আরও বেশি ঘৃণা করা উচিৎ কেননা গত বিশ বছরে ইহুদিরা
যে পরিমানে মুসলিম হত্যা করেছে তার থেকে বেশি হত্যা সৌদি সেনাবাহিনী
করেছে শুধুমাত্র ইয়েমেনয়েই।
এমনকি বাংলাদেশের মতন রাষ্ট্র যখন ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়না সেখানে
সৌদি আরব আর ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপিত আছে।
©somewhere in net ltd.