নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
গতকাল রাত থেকে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যায় একটি দোকানের সামনে চেয়ারে বসে আছেন প্রৌঢ় এক ব্যক্তি। হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই, তাকে এসে নির্বিচারে পেটাতে শুরু করল একদল যুবক। মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহম্মেদকে মারধর করা হচ্ছে
ভিডিওতে আরো দেখাচ্ছে, পেটানোর এক পর্যায়ে অনতিদূর থেকে আরেকজন তরুণ এসে প্রৌঢ়কে রক্ষার চেষ্টা করলেন। সম্ভবত তার নিকটাত্মীয়। আক্রমণকারী দল তখন প্রৌঢ়কে ছেড়ে এই তরুণকে পেটাতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর তারা আবার ফিরে এলো।যুবকদের মধ্যে একজন ওই প্রৌঢ়কে সম্ভবত ছুরি নিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হল। পাশের এক ব্যক্তি তাকে নিবারণ করল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছিল ঝিনাইদহের শৈলকূপায়। গত মাসের শেষ দিকে এই ভিডিওটি সংগ্রহ করে বেসরকারি এনটিভিতে প্রচার করেন ঝিনাইদহের সংবাদদাতা মিজানুর রহমান। তিনি জানান, যাকে পেটানো হচ্ছিল তার নাম মোক্তার আহমেদ মিজান। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
কিন্তু ক্যামেরার সামনে এভাবে একজন প্রৌঢ় মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মম প্রহারের ভিডিও দেখে ফেসবুকে অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
পরে যে তরুণকে পেটানো হয়েছে, তিনি মি. আহমেদের ছেলে সুমন আহমেদ। আর যারা পেটাচ্ছে তারা স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিম হোসেন মোল্লার অনুসারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মী। মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, স্পষ্টতই এই ঘটনাটি স্থানীয় আওয়ামী লীগের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল। মূলত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া সংক্রান্ত কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
এরকম ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়।
জানা যাচ্ছে, এ ঘটনার কয়েকদিন পর শামিম হোসেন মোল্লা ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম জোয়ারদার সহ দশ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন মোক্তার আহমেদের ছেলে। পুলিশ শামীম হোসেন মোল্লা ও শামিম জোয়ারদারকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু অচিরেই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। এদিকে, পিটুনিতে মারাত্মক আহত মোক্তার আহমেদ মিজান পঙ্গু হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়ার পর এখন ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার ছেলে সুমন আহমেদ সম্পর্কে জানা যায়, তার দু পাই ভেঙে দিয়েছে আক্রমণকারীরা। সে পঙ্গু হাসপাতালে কয়েক দিন চিকিৎসা শেষে দু পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় এখন বাড়িতে অবস্থান করছে।
ভালোই তো মুক্তিযুদ্ধ করেছিল কি টেন্ডারবাজি করবার জন্য!! তখন দেশের জন্য জীবন ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিল আর এখন দলের জন্য নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাইয়ের জন্য একটি টেন্ডার ছাড়তে রাজি নয়!! কেমন মুক্তিযোদ্ধা। আমি তো মনে করি তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা প্রয়োজন। পরিশেষে একটি কথা বলবো মুক্তিযুদ্ধ করলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করা জরুরী।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: দুই পক্ষের জন্য অভিনন্দন আর আমার জন্য ধিক্কার!! যাই হোক মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
গোফরান ডাকু বলেছেন: চেতনা নিয়া কথা হবেনা, খালি মাইর হবে ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: একমাত্র মাইর ইজ রিয়েল!!
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
ভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আশ্চর্য ব্যাপার! রাজাকারেরা মরে ফাঁসির দড়িতে আর মুক্তিযোদ্ধারা মারা পড়ে চেতনাবাজদের হাতে মার খেয়ে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছাগল, মুক্তিযোদ্ধারা টেন্ডার পেন্ডারে নেই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আরে ছাগুমিয়া বিবিসি'র রিপোর্ট ভুল!!
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি যে কেন এই পোস্ট দিয়েছেন তা বুঝার জন্য হাই স্কুল পাশ ও লাগে না। আপনারা কিছু জামাত সাপোর্টার আছেন যারা খুজে খুজে এমন ঘটনা গুলিকে হাই লাইট করেন যাতে মুক্তিযুদ্ধ পুরা ব্যাপার টাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যেমন খবর: মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায়।
হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা তো ভালই আছে। আমেরিকার ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুদ্ধ করা হাজার হাজার সৈন্য এখন ও হোমলেস...।
আপনাদের কে চিনা আছে.. আপনারা ১৯৭১ কে ভয় পান....এই পোস্ট যে মুক্তিযুদ্ধ কে ভালবাসার কারন থেকে দিয়েছেন, তা ভাবার কোন কারন নাই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আপনার মতন টিনের চশমা পরা মানুষরূপী জীবগুলার জন্যই মুক্তি যোদ্ধারা স্বাধীনদেশে মারপিটের স্বীকার হয়, তালিয়া বাজান।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
মো: রেজাউল হাসান বলেছেন: ধিক্কার জানাই আপনাকে আপনার এই রকম সরলীকরণ মন্তব্যের জন্য ।