নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
তারাই মন্ত্রী, তারাই শ্রমিক- মালিক নেতা। একজন জাসদ থেকে আওয়ামীলীগার হয়েছেন, আরেকজন এখনও স্বৈরাচার এরশাদের অনুসারী, সংসদের বিরোধীদলের এমপি এবং সরকারের মন্ত্রী! সরকারের মন্ত্রীর বাসায় মিটিং করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়।
ট্রাক চালককে আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছে, তার প্রতিবাদে ধর্মঘট। এই ট্রাক চালক রাস্তায় ট্রাক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করেনি। হত্যা করেছে, অন্যের পারিবারিক রাস্তা দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক চালাতে নিষেধ করা হয়েছিল বলে।
বিচার বিভাগ বা আদালত নয়, কোন আইন কোন ধারায় বিচার হবে, তা বলে দিচ্ছেন মন্ত্রীর শ্রমিক সংগঠন। শুধু শ্রমিকদের দিয়ে তা বলাচ্ছেন না, মন্ত্রীরা নিজেরাও তা বলছেন। মানুষ হত্যা করা যাবে, বিচার বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যাবে না, এই দাবিতে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ধর্মঘট বৈধ। সরাসরি আদালতকে চ্যালেঞ্চ করছেন। মন্ত্রীত্বে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আদালতে শাস্তি পেয়েও তো মন্ত্রী থাকতে সমস্যা হয় না। আদালত এবং আদালতের বিচারিক ক্ষমতায় তারা বিশ্বাস করেন না ।
ন্যায় দাবি করে লাঠি পেটা খায়, অন্যায় দাবি করে মন্ত্রির সাধুবাদ পায়। এখানে আইন, বিচার, অবমাননা, এগুলো শুধু মুখের বুলিতেই সীমাবদ্ধ।
'দেশ এগিয়ে' যাচ্ছে কোন দিকে? ' দেশ এগিয়ে' অন্ধকার বাঁশের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। আর বাঁশের কাঞ্চীর আঘাত জনগণকেই সহ্য করতে হচ্ছে।
০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হীরক রাজার দেশে বাস করছি যেখানে মন্ত্রির নেতৃত্তে আদালতের রায়ের পতিবাদে জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে!!!
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের জনগণের বড়োই দূর্ভাগ্য যে, অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী শাজাহান খানদের মতো ষণ্ডামার্কা অসভ্য প্রকৃতির !
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: ২০০৩ সালের সাভারে ট্রাক চাপা দিয়ে খোদেজা বেগম নামের এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী ট্রাক চালক মীর হোসেন এবং নিহত খোদেজা দুজনেই ছিলেন সাভারের ঝাউচর এলাকার বাসিন্দা । হত্যার দিন গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাচ্ছিল মীর হোসেন। আর এতে বাঁধা দিয়েছিলেন খাদিজা এবং তার স্বামী। মীর হোসেন প্রতিহিংসা বশত তাদের ওপর ট্রাক চাপা দেয় । এতে মারা যায় খাদিজা। বেঁচে ছিলেন খাদিজার স্বামী নূরু গাজী এবং মামলার বাদী। পুরো ঘটনাই ব্যক্তিগত শত্রুতা । আদালতও সেই বিবেচনায় রায় দিয়েছেন।
এই রায় দেয়ার কোথায় অন্যায়? এই রায়ের কোথায় অন্যায় হয়েছে? কিসের প্রতিবাদে সব অচল? তার মানে আমি গাড়ি নিয়ে নেমে যেতে পারব রাস্তায় এবং মানুষ মেরে ফেলে বলতে পারবো এটি দুর্ঘটনা। আমাকে শাস্তি দিলে দেশ অচল করবো। এটা কি মগের মুল্লুক?
এই সব দাবির বিরুদ্ধে সরকারে কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। হাজার আন্দোলন দমন করা সরকারের কোনো বাহিনীকে দেখছি না কঠোর হতে। কেমন ফিসফিস পরিবেশ। সেই ফিসফাস গোপনীয়তা দেখার আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা জানি আইন সবার জন্য। আর জানি এই অনৈতিক, অবৈধ, অহেতুক দাবি মেনে নিলে বা মেনে নেয়ার চেষ্টা করা মানে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এইসব খুনিকে লাইসেন্স দেয়া আর প্রমাণ করা এই দেশে চালকরা সব আইনের, সব সাজার ঊর্ধ্বে । আমরা কি আসলেই তা প্রমাণ করতে চাই?
যারা এই আন্দোলন দমন না করে নিরব, যারা গোপনে উস্কে দিচ্ছেন দেশ অচল করার এই ষড়যন্ত্র তাদের বলি এইসব খুনিদের হাতে রাস্তায় মরে পড়ে না থাকুক আপনার স্বজন। অন্যের কষ্ট বোঝানোর জন্য আপনি কষ্টে পড়েন সেই বদ দোয়া আমরা দেই না। আমরা প্রতিশোধ নিবো না। কারণ আমরা জানি প্রকৃতি কখনও প্রতিশোধ নিতে ভুলে না।