নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প তার প্রথম বিদেশ সফর করেছেন সৌদি আরবে, সেখান থেকেই সরাসরি ইসরাইলে গিয়েছে তাদের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করতে। সৌদিআরবে ট্র্যাম্প ৪০ এর অধিক কথিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে বৈঠক করে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছেন।
ট্র্যাম্প তার বক্তিতায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে একই সময়ে ইরান হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বলে অপবাদ দিয়েছে।
বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের থেকে মুক্ত করবার কথা বললেও আইএস,বকোহারামের মতন সন্ত্রাসী জঙ্গিগুষ্ঠির বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ তার দেশ নিবে তা উল্লেখ করেন নাই!! প্রকারন্তরে আইএসের মতন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মদতদাতা ইসরাইল ও সৌদিআরবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ ইরান, হিসবুল্লাহ, হামাসকে আক্রমণ করে বক্তিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!!
অতঃপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর শেষ না হতেই বিশ্বজুড়ে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা শুরু হয়েছে
যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী হামলাগুলো ছিলঃ
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে কনসার্টে বোমা হামলা
ফিলিপাইনে আইএস সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলা ও শহর দখল
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার এক বাস টার্মিনালে আত্মঘাতী বোমা হামলা
মিশরে কপটিক খ্রিস্টানদের বহনকারী একটি বাসে সন্ত্রাসীদের হামলা
প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসবাদীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি ও বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ট্র্যাম্প এসব জঙ্গিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে আর সবুজ সংকেত পেয়ে এসব জঙ্গিরাও তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
©somewhere in net ltd.