নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
এমন এক দুনিয়া থাকলে কেমন হয়? যেখানে বন্দুক নিয়ে নেমে পড়বেন, হত্যা-ধর্ষণ-নৃশংসতা কোনো অপরাধ নয়।
কল্পনার অসাধু ইচ্ছা মিটে যাবে কেবল কিছু টাকা খরচ করে কেনা টিকিটের বিনিময়ে?
ইচ্ছামতো ভোগ করুন সেখানকার নারীদের, ছিন্নভিন্ন করে দিন; কিংবা জ্বালিয়ে দিন বসতি। কেউ আপনার কিচ্ছু করতে পারবে না। আপনার গুলি সেখানকার মানুষকে হত্যা করলেও তাদের গুলি আপনার গায়ে লাগবে না। ঠিক এই ধরনের ‘আনন্দ’ বিক্রি করছে ইসরায়েলি ক্যালিবার ৩ নামের এক নিরাপত্তা কোম্পানি। ইসরায়েলের দখলীকৃত এলাকা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে এমন থিম পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে ফিলিস্তিনি এবং আরবদের আদলে ডামী তৈরি করে ইহুদিদের মনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিঃসংশয়তা ধুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।
ওই জমিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডো ও অফিসাররা সন্ত্রাস দমনের টার্গেট হিসেবে যাদের নকল বা ছবি সাজিয়েছে, তারাই ওই জমির ঐতিহাসিক ও আইনসংগত মালিক। সেখানে সাজানো পরিস্থিতিতে আপনি আরব অথবা ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী ‘হত্যা’ করতে পারবেন। চোখের সামনে দেখতে পাবেন সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করার মহড়া। পর্যটকদের আনন্দ দিতে শিকারি কুকুর দিয়ে তাদের কামড়ানো হয়। আপনাকে এমন একটি রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানকার আরব অধিবাসীদের মধ্যে আপনি সন্ত্রাসী খুঁজবেন।সত্যিকার গুলি চালাবেন ফায়ারিং রেঞ্জে সারি দিয়ে সাজানো আরবদের ফটোতে। বছরে ২২ থেকে ২৫ হাজার পর্যটককে আনন্দ দেয় এই অমানবিক পার্ক, যেখানে শিশুরাও অংশ নিতে পারে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে ইসরাইলীদের নিয়ে এরকম একটা গেইম যদি তৈরি করা হয় এন্টি সেমিটিজম বলে ইহুদির সারা দুনিয়া মাথায় নিয়ে ফেলবে। একের পর এক মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে অবরোধ আরোপ করা হবে।
বর্বর এই পার্কের সঙ্গে অবরুদ্ধ ও নির্যাতিত গাজা উপত্যকার পার্থক্য আসলে কতটা?
গাজা বিশ্বের বৃহত্তম নির্যাতন ও নিয়ন্ত্রণের গবেষণাগারও, গিনিপিগের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় আরবরা। আরব ও ফিলিস্তিনিদের জমি দখল, তাদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্যাতনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ইসরায়েল বড় জনগোষ্ঠী দমন, গণনজরদারি, মনস্তাত্ত্বিক নিয়ন্ত্রণ ও নির্যাতনের মারাত্মক সব অস্ত্র ও কৌশল উদ্ভাবন করেছে। ২০০৬ সালে গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে হাজারো ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই হামলার সময় গাজার শিশুদের হত্যার জন্য যে বোমা ফেলা হয়েছিল, সেসবের গায়ে ইসরায়েলি শিশুদের দিয়ে লেখানো হয়েছিল ঘৃণার বাণী। অর্থাৎ আইএস যেমন শিশুদের দিয়ে হত্যা/নির্যাতনের প্রশিক্ষণ দেয় এসবে উৎসাহিত করে তোলে ঠিক তেমনই ইসরাইলও তার জাতিকে একই আদর্শে গড়ে তুলছে। সম্ভাবত ভুল বললাম ইসরাইল থেকেই তো ইসরাইলী সিকিউরিটি এন্ড ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (আইএসআইএস) এসেছে।
যাদের নাম করে নির্বিচারে মুসলিম হত্যা করা হচ্ছে ও মুসলিম দেশের সরকার পরিবর্তন করা হচ্ছে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: কারন তারা বিশ্ব সন্ত্রাসী, নেতা নন।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেছেন: ইহুদিদের এই নির্যাতন মুশলিম বিশ্ব মুখ বুজে সহ্য করছে,,,
কতটা অবনতি হয়েছে অামাদের মুশলমানদের।।
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: কারন তারা আজ আল্লাহ্ নয় বরং আমেরিকার অপর ভরসা করা শুরু করেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২০
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: বিশ্ব নেতাদের নিকট ফিলিস্থিন কোন দেশ না। এটা বিছিন্ন ওখানে যা ঘটুক দেখার কেঊ নাই।