নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরাকে মার্কিন সেনার বর্বরতা মেডেল দিয়ে সমর্থন প্রকাশ রাষ্ট্রের!!

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১০

ইরাকে মার্কিন সেনাদের পৈশাচিক গণহত্যা ও বর্বরতায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অবসরপ্রাপ্ত এক মার্কিন সেনা বলেছে, সে একাই ৫ বছরে আরব এই মুসলিম দেশের দু’হাজার ৭৪৬ নাগরিককে হত্যা করেছে।

ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ৪৮ বছর বয়স্ক ডিলার্ড জনসন নামের এই মার্কিন সেনা এক সাক্ষাৎকারে জানায় সে ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এইসব হত্যাকাণ্ড চালায় এবং এ জন্য সে কোনো অনুশোচনা না করে গর্ব অনুভব করে।

ইরাকে তার প্রথম হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে জনসন জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আসসামাভে শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের ওপর সাঁজোয়া যান চাপিয়ে দিয়ে গণহত্যা শুরু করেছিল সে। ওই হত্যাযজ্ঞে নিহত হয়েছিল ১৩ জন নিরপরাধ বেসামরিক ইরাকি।

মার্কিন ইতিহাসের ‘সবচেয়ে নির্দয় বা পাষাণ সেনা’ হিসেবে কুখ্যাত এই জল্লাদ আরও বলেছে, ইরাকে অবস্থানের সময় এমন কোনো দিন ছিল না যে কোনো একজন বা দু’জন ইরাকিকে হত্যা করিনি। অবসর গ্রহণের পর এই ঘাতক সেনাকে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে ‘যুদ্ধের বীর’ বলে অভিহিত করে খেতাব ও ৩৭টি মেডেল দেয়া হয়।

ইরাকে মার্কিন হামলা ও দখলদারিত্বের সময় প্রায় ১৫ লাখ ইরাকি দখলদার মার্কিন সেনাদের হাতে নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ ইরাকি আহত ও পঙ্গু হয়েছে মার্কিন সেনাদের হাতে।

যদিও জনসন নানা ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং তার স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু নিরাপরাধ লোককে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কোন বাবস্থা নেওয়া হয় নাই। এমন কি ২০১৩ সালের জুন মাসের শেষের দিকে তার এই স্মৃতি-কথা প্রকাশ হলে এ নিয়ে কোনো কোনো মহলে ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদ উঠলেও মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলাও হয় নাই!!

এক কথায় বলা যেতে পারে রাষ্ট্রীয় ভাবেই তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সবুজ সংকেত দেওয়া মার্কিন নীতির অংশে পরিণীত হয়েছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪০

এখওয়ানআখী বলেছেন: ডিলার্ড জনসনদের কারনেই সম্ভবত আইএসআইএস-এর উত্থান।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৪

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আমেরিকার কাছে এর চাইতে আর বেশি কি আশা করা যায়?

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পশ্চিমা চশমা পড়া ঘেটুপুত্র বুদ্ধুজীবীগণ তাহাদের প্রভুদের বিরুদ্ধে কিছু কহিবে না ইহাই স্বাভাবিক ! কহিলে আদর-সোহাগ , তৈল -সাবান, সেলামিতে কম পড়িয়া যাইবে !

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

প্রোলার্ড বলেছেন: ঠিকই তো আছে । সে আমেরিকার হয়ে তার ডিউটি পালন করেছে , আমেরিকা তো তাকে সন্মাননা দিবেই । আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের কবর পাকিস্তানে । তার এপিটাফে লিখা আছে - এখানে একজন গাদ্দার শুয়ে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.