নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সম্প্রতি ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের কারনে তুফান সরকারের নাম সবার মুখে। কিন্তু এই তুফান সরকার যার আশ্রয় প্রশ্রয়ে এসব অপরাধে যুক্ত হবার সাহস দেখিয়েছে আসুন সেই মানুষটির(অমানুষের) সাথে পরিচিত হই।
বগুড়া শহরের ‘মহা ক্ষমতাধর’ সেই মানুষটির নাম আবদুল মতিন সরকার। তিনি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আর শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি তুফান সরকারের মেজ ভাই!!
যিনি ৪ টি খুনের মামলাসহ মোট ৯ টি মামলার আসামী ,বগুড়া শহরের চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখলের মত সব ঘটনায় তার নাম প্রথমে আসে। এসব করেই হঠাৎ শত শত কোটি টাকার মালিক তিনি। সে র্যাবের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র মামলায় তাঁর ২৭ বছরের সাজা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত আছে!
একটি খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০ বারের বেশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পলাতক হিসেবে তাঁর নাম-ঠিকানা দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন আদালত। মালামাল ক্রোকের পরোয়ানাও জারি হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর ‘অনুপস্থিতিতে’ই মামলার বিচার চলছে।
অথচ সে কখনোই পালাতক ছিল না বরং পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকেছেন, বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওঠবস করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনাও জানিয়েছেন। অথচ পুলিশ দফায় দফায় আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, ‘তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’
তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন ও মাদক মামলা থাকলেও জেলা পুলিশের বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর রয়েছে অবাধ ওঠাবসা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বগুড়া সফরের সময় তিনি তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আর কোনো দিন আদালতে হাজির হননি এই মতিন সরকার।
যেখানে অপরাধ ছাড়াই সন্দেহের বসে পুলিশ যখন ইচ্ছা, যাকে তাকে ধরে নিয়ে যায়, মাসের পর মাস মিথ্যা অভিযোগে জেলে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়। সেখানে মন্ত্রী/ পুলিশ কর্তাদের সাথে মতিন সরকারের দেখা পাওয়া গেলেও আদালতে পালাতক বলে প্রতিবেদন জমা দেয় সেই পুলিশ প্রশাসন? মনে হয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে এখন। সুতরাং তুফান সরকাররা ইচ্ছা মত যত খুশি অপরাধ করে চলছে, কারন আইনকে তারা থোরাই কেয়ার করতেই পারে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাবধান! গুম হয়ে যেতে পারেন যেকোন সময়।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: না লিখলেও গুম হতে পারি!!
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে সব সম্ভব।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০০
বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশের ঘৃণ্যতম বাস্তব চিত্র।