নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের ওপর নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে চীন!!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা দমনের পিছে সহায়ক হিসেবে রয়েছে বিশ্বশক্তি চীন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিবৃতি আটকে দিয়েছে চীন। চীনের আপত্তির কারণে রাখাইনে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা কাউন্সিল আলোচনার পর বিবৃতি দিতে পারেনি।

গতবার রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিরাপত্তা কাউন্সিলে আলোচনা হলেও চীনের আপত্তির কারণেই রুদ্ধদার এই বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়া সম্ভব হয়নি। পর্দার অন্তরালে কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশই রাখাইন ইস্যুতে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে আলোচনা সূত্রপাতের উদ্যোগ নিয়েছিল।

গত শুক্রবার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু করেছে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী। চলছে হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে আগুনের লেলিহান শিখা যা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেই চোখে পড়ে। নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
সরকারের মতে, প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বৈধ-অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাস করছে। রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিরাপত্তা কাউন্সিল বুধবার মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করেছে।১৫ সদস্যের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রুদ্ধদার এই বৈঠকের পর কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। তবে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রোফট বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিষদের সদস্যরা।

এই বৈঠক আহ্বান করেছিল ব্রিটেন। কিন্তু রাখাইন সঙ্কটে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের জড়িত হওয়ার বিষয়ে ঘোর বিরোধিতা করেছে চীন। তবে আগামী মাসে জাতিসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা সমবেত হলে ইস্যুটি আলোচনায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রাইক্রোফট বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ এখনো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চিকে সমর্থন করে। আমরা চাই তিনি সঠিক কথা বলুক। একটি সমঝোতার পথ বের করে আনুক। মিয়ানমারের সব মানুষের মঙ্গলের জন্য এই সমস্যা সমাধান করে উত্তেজনা প্রশমন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আরোপিত নাগরিকত্ব ও চলাচলের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওতাইমিন। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব কফি আনান ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির কাছে লেখা পৃথক দু’টি চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান। চিঠিতে ওআইসি মহাসচিব বলেছেন, রাখাইনে বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে অঞ্চলজুড়ে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ওতাইমিন রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য জাতিসঙ্ঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সু চিকে লেখা চিঠিতে মহাসচিব অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ, উদ্বাস্তুদের তাদের ঘরে ফিরতে দেয়া এবং মানবিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে দুর্গতদের সহায়তার অনুমতি দেয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

বিজন রয় বলেছেন: চীন খুব ভাল রাষ্ট্র!!!!!!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: স্বার্থপর রাষ্ট্র।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

বিজন রয় বলেছেন: এবার বুঝলেন তো!!!

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় রাজনীতি!!!!!!!!!!

সাধারন পরিষদে যাই হোক, এই ভেটো ক্ষমতা পৃথিবীর কত অন্যায়কে যে প্রশ্রয় দিয়েছে ইয়ত্তা নেই।

ধিক্ চায়না!

অবশ্য তারাও তো আরেক হন্তারক!!!, উইঘুরে সহ চায়নাতেও নির্বিচারে মুসলিম হত্যার ইতিহাস আড়াল করতেই কি মায়ানমারকে আড়াল করতে চায়!!!!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সম্ভাবত এভাবেই উইঘর মসুলমানদের দমন করে

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

ইরিবাসের রাত বলেছেন: চীন এক হাস্যকর তামাশার নাম। ক্যাপিটালিস্ট কম্যুনিজম যে দেশের শাসন্তন্ত্রের চাবিকাঠি, তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল আর কী আশা করতে পারি? :D
জোকস এসাইড, চৈনিক রা ভয়াবহ কুটিল ও তাঁরা নিজেদের ভাল ছাড়া আর কারোটাই যে পরোয়া করে না তা তারা বহু আগে থেকেই জানিয়েছে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁদের ব্যপারে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: মসুলমান দেশগুলির মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া অত্যাচারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আল-শাহ্‌রিয়ার ,




ভেটো দিয়েছে তো কি হয়েছে ? আজ ভেটো দিয়েছে, কাল চাপের মুখে তা উইথড্র করবে ! চাপ বজায় রেখে যেতেই হবে । রাষ্ট্রকে দৌঁড়াতে হবে সদস্য প্রতিটি রাষ্ট্রের দরজায় দরজায় যদি এই দেশটার আত্মসম্মানবোধ বলে কিছু থাকে ।
চীনের বিশাল স্বার্থ আছে বাংলাদেশে , সেটাকে শেয়ালের মতো বুদ্ধি নিয়ে এক্সপ্লয়েট করতে হবে । এই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঙ্ঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে সোচ্চার হতে হবে । তার আগে তাকে হোমওয়র্ক করতে হবে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর সাথে বসে ।
দেশে অঘটন কিছু হলেই সরকার যেমন বলে ," কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা " তেমনি দেখতে চাই প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঙ্ঘে বলছেন --- মায়ানমারকে কিছুতেই ছাড় দেয়া হবেনা ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: তাহলে মুসলিম দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক ভালো করতে হবে কিন্তু সেটা কি সম্ভব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.