নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের একশ মিটারের মধ্য দিয়ে ইরানি জাহাজ চলাচল করেছে বলে মার্কিন নৌবাহিনী পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে একবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজের ১৩৭ মিটার কাছে চলে আসা ইরানের একটি জাহাজকে লক্ষ্য করে ‘সতর্কীকরণ গুলি’ ছোড়া হয়েছিল। মার্কিন যুদ্ধজাহাজের রেডিও কল, মশাল, জাহাজের হুইসেল অবজ্ঞা করে ইরানি জাহাজটি কাছাকাছি চলে এলে সতর্ক করতে সে সময় গুলি ছোড়া হয়েছিল। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ইরানি জাহাজটি তখন অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। নৌপথে সংঘাত এড়াতে এবার মার্কিন বাহিনী তাদের যুদ্ধজাহাজের সাথে সমন্নয় করতে আহব্বান জানিয়েছে ইরানকে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি মার্কিন আহ্বানকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে ইরানের নৌবাহিনীর তৎপরতার সমন্বয়ের যে আহ্বান আমেরিকা জানিয়েছিল তাকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেন তিনি। তিনি বলেন, উপকূলীয় বিধি অনুযায়ী পারস্য উপসাগরে ইরানের অধিকার রয়েছে এবং ইরান এ অধিকার বজায় রাখবে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বের অপর প্রান্তের একটি দেশ পারস্য উপসাগরে বিশেষ অধিকার দাবি করছে। সন্ত্রাসীরা যদি পারস্য উপসাগরে ইরানের তেল রিগে হামলা করে তাহলে অন্য দেশের বিমানবাহী রণতরি তার জন্য জবাবদিহি করবে কিনা পাল্টা সে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, অন্য দেশের বাহিনী এ অঞ্চলে ইরানর স্বার্থ রক্ষার কোনো দায়িত্ব নেবে না তাই ইরানের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে সমন্বয়ও করা হবে না। এর পূর্বে একবার ইরানের নৌসীমায় প্রবেশের অপরাধে দুইটি মার্কিন বোট ও বোট দুইটিতে অবস্থানকারী সেনাদের আটক করেছিল ইরানের নৌবাহিনী।
মজার বিষয় হল বিশ্বের প্রতিটি সাগরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করা থাকলেও জলদস্যু দমনে তাদের বলতে গেলে তেমন কোন ভূমিকাই নাই! অত্যাধুনিক শনাক্তকারী যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও উন্মুক্ত সাগরে প্রায় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর সাথে মার্কিন জাহাজের সংঘর্ষ বেঁধে যায়! কিছু দিন পূর্বে এমন দুইটি ঘটনায় মার্কিন বাহিনীর ১৭ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য মার্কিন ক্যাপ্টেন আর নাবিকদের সাঁজাও হয়েছে!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন মিয়ানমারের মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ইরান প্রস্তুত রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে ইরানের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তবে বাংলাদেশ যদি না পদক্ষেপ নেয় তবে কিভাবে ইরান সহায়তা করবে?
http://parstoday.com/bn/news/iran-i45271
নিউজটি পড়ে দেখবেন।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমাদের
সরকার আল্লাদ্বে কথা কইছে একসাথে
নাকি বিদ্রোহী রোহিংগা দমন করবে। কি
তেলবাজি কথা""
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভারতের মত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০
আবু তালেব শেখ বলেছেন: রোহিংগা মুসলিমজাতির ব্যাপারে এখন ইরানের ভুমিকা খুবই দুর্বল। যেখানে ঈজরায়েলি আদালত বার্মিজদের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।