নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
চীনে ব্রিকস সম্মেলনের অবকাশে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্পের আচরণে এবং মস্কো-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক টানাপড়েনে পরাছে কিনা এবং পুতিন হতাশ হয়েছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কনে নন এবং তিনি তার বর নন। এ প্রশ্নকে খুবই সাদাসিধা বলে নাকচ করে দেন তিনি। তিনি বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে কাজ করছেন, একই ভাবে তিনিও রাশিয়ার স্বার্থে কাজ করছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা নিরসনে কোনো ধরণের সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন। এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইমপিচ করা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তা নিয়েও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বললে সেটা পুরোপুরি ভুল হবে।
আমেরিকার মাটিতে মার্কিন সরকার রাশিয়ার তিনটি বাণিজ্য মিশন বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, তার দেশ আমেরিকার আরো কূটনীতিক বহিষ্কার করতে পারে। তিনি মন্তব্য করেন, "মস্কোয় কতজন মার্কিন কূটনীতিক থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আমরা রাখি। কিন্তু আমরা এখনই তা করছি না। অপেক্ষা করা যাক, দেখি ঘটনা কোন পর্যন্ত যায়।”
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, তিনি তার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমেরিকার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেবেন। রাশিয়ার সম্পদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এ মামলা করা হবে। পুতিন বলেন, এর মাধ্যমে পরিষ্কার হবে এত প্রশংসিত মার্কিন আদালত কতটা স্বচ্ছ।
এদিকে গতকাল দেইর আয-যোরে কৌশলগত বিজয়ের পর টেলিগ্রামের মাধ্যমে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে অভিনন্দন জানান তিনি। পাশাপাশি রুশ সামরিক গোষ্ঠীর কমান্ড এবং সিরিয় সেনাবাহিনীর কমান্ডকে অভিনন্দন জানান পুতিন।
গতকাল সিরিয় সেনাবাহিনী এবং দেশটির সরকারপন্থি যোদ্ধারা তীব্র লড়াইয়ের পর বিগ্রেড ১৩৭ ঘাঁটিতে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে দেইর আয-যোরের অবরোধ ভেঙ্গে ফেলা হয়। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসের হাত থেকে তিন বছরের অবরোধ ভাঙ্গার পর দেইর আয-যোরের মানুষ মুক্তির আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠেন। বিজয়ের উৎসবে মেতে ওঠা নগরীর এক অধিবাসী এক অধিবাসী বলেন, তাদের আনন্দের কোনো শেষ নেই। এ দিনটির জন্য গত তিন বছর ধরে অপেক্ষা করেছি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী এবং নেতৃবৃন্দের প্রতি দেইর আয-যোরবাসীদের গভীর বিশ্বাস ছিল। তারা জানতেন বিজয় অনিবার্য। বিজয়ের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে রাজি ছিল দেইর আয-যোরের মানুষ। তেল সমৃদ্ধ শহরটিতে প্রায় একলক্ষ বিশ হাজার মানুষ আইএসের অবরোধের স্বীকার ছিল।
©somewhere in net ltd.