নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘে দেওয়া প্রথম ভাষণে বিশ্বের উদ্দেশে কি বলতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

গত কাল রাত্রে কিছুদিন পূর্বে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৪৩ মিনিটের ভাষণ শুনলাম।
সম্পূর্ণ ভাষণে তাকে একবারের জন্যও বিশ্ব নেতা মনে হয় নাই। বরং ট্রাম্প তার ভাষণে জার্মানির স্বৈর শাসক হিটলারের মতন চরম জাতীয়তাবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

প্রথমেই ট্রাম্প বরাবরের ন্যায় অ্যামেরিকা প্রথম নীতির ঘোষণা দিলেন ও অন্যদেশগুলিকে নিজ নিজ দেশের কথা প্রথমে ভাবতে বললেন। এরপর নিজ সরকারের প্রশংসা করলেন। অতঃপর উত্তর-কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেবার হুমকি দিলেন, সিরিয়া ও ইরাকে আইএস বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেওয়া হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংঘঠন ঘোষণা করলেন, ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে বাবস্থা নিতে চাইলেন। আফগানস্থান ও সিরিয়া যুদ্ধে তার সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। সিরিয়ার বিমান ঘাটিতে হামলা চালানোকে মার্কিন বাহিনীর মহত্ত্ব বলে প্রচার করেছেন।

অ্যামেরিকা ও ইসরাইল ধ্বংস যাক বলে শ্লোগান দেওয়া ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ছড়াবার অভিযোগ করেছেন। বিশ্বশক্তিগুলোর সাথে করা ইরানের পারমাণবিক চুক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। ইরান, ভেনিজুয়েলা, সিরিয়া সরকার পরিবর্তন করে তাদের উন্নত করবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্বের সব থেকে বড় জঙ্গি অর্থদাতা রাষ্ট্র সৌদি আরবের প্রশংসা করেছেন তাকে সৌদি আরবে আমন্ত্রণ করে ৫০ টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য। ইয়েমেনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা ও আল-কায়েদাকে অস্ত্র সরবরাহ করা সত্ত্বেও সৌদি আরবের নিন্দা করে নাই ট্রাম্প। ইহুদিবাদি ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প নিরব থেকেছেন।

সিরিয়ান শরণার্থীদের জন্য ট্রাম্প তুরস্ককে ধন্যবাদ জানালেও, একবারের জন্য রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটি তুলে ধরবার প্রয়োজন অনুভব করেন নাই। রোহিঙ্গাদের দমনের জন্য সুচি সরকারকে একবারের জন্যও তিরস্কার করেন নাই। বলা হয়ে থাকে নীরবতা সম্মতির লক্ষন সুতরাং রোহিঙ্গা দমনে যে মার্কিন মৌন সমর্থন আছে তা ট্রাম্পের ভাষণের মাধ্যমে আবার প্রতিয়মান হল।

ট্রাম্প তার সম্পূর্ণ ভাষণে যুদ্ধ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর ঘোষণা না দিয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উগ্রবাদ আর জাতিগত বিদ্বেষ উস্কে দিলেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

নতুন বলেছেন: পাগলকে প্রসিডেন্ট বানাইছে... এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা ঠিক না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত। জাতিসংঘ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বকে এক সুতায় বেঁধে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য সেখানে জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান নিঃসন্দেহে খারাপ নজির হয়ে থাকবে।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

নতুন বলেছেন: আর এখন চায়নাও চাইবে আমেরিকাকে কোন যুদ্ধে জড়াতে যাতে আমেরিকা যুদ্ধে দূবল` হয়

তখন বিশ্বে আমেরিকান সম্রাজ্যের শেষ করে চাইনিজ সম্রাজ্য শুরু করতে পারবে।

এটা খুবই সুক্ষ এবং সুদুর পরিকল্পনা করছে চাইনিজরা। তারা অথ`নৈতিক ভাবে আমেরিকার চেয়ে ভালো... সমর শক্তিতেও কমনা...

তাই এটা সুধু সময়ের ব্যাপার যে দুইজন সম্রাজ্যের আধিপত্য নিয়ে ঝামেলা শুরু করবে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট আর সেনাবাহিনী হত্যা আর ধ্বংস ছাড়া কিছুই বুঝে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.