নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুর্কি প্রেসিডেন্টের ইরান সফর সিরিয়া ও কুর্দিস্থান নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

গত আগস্টের মাঝামাঝি দিকে ইরানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাকেরি তুরস্ক সফর করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর ইরানের কোনো সেনাপ্রধানের সেটাই ছিল প্রথম তুরস্ক সফর। অতঃপর পাল্টা সফরে এলেন তুরস্কের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল হুলুসি অকার। আজ আবার ইরান সফরে এলেন স্বয়ং তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এটি অবশ্য তুর্কি প্রেসিডেন্টের ৩য় বারের মত ইরান সফর। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্টের এবারের ইরান সফরের মধ্যে অনেক তাৎপর্য রয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

৬ বছর পেড়িয়ে সিরিয়া যুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, যেখানে ইরান সমর্থিত আসাদ সরকার ক্ষমতায় টিকে আছেন। অন্যদিকে মাত্র গত সপ্তাহে ইরাকের বারজানির আঞ্চলিক কুর্দি সরকার ইরাক থেকে বেরিয়ে গিয়ে সেখানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। যদিও ইরাক থেকে বেরিয়ে গিয়ে কুর্দিদের ঘোষিত এই স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু এখন পর্যন্ত একমাত্র ইসরাইল ছাড়া আর কোন দেশ কুর্দি স্বাধীনতাকে স্বীকার করে নাই। তাছাড়া তুরস্ক, ইরান এবং সিরিয়ার মাঝে অবস্থিত কুর্দিরা তাদের সহায়তা ছাড়া কিভাবে স্বাধীনতা ভোগ করবে সেটা রহস্যের বিষয়। ইতিমধ্যে ইরাকের আহব্বানে সারা দিয়ে কুর্দিদের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে ইরান, লেবানন, তুরস্ক। কুর্দিস্থানে সকল প্রকার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।

ইরাকের কুর্দিস্তানের বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ইরান ও তুরস্ক একই অবস্থানে রয়েছে। ইতিপূর্বে ইরান ও তুরস্কের সেনাপ্রধান ইরাকের কুর্দিস্তানের বিতর্কিত গণভোট ও বিচ্ছিন্নতার বিরোধিতা করেছেন। তারা দুজনই ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

এরপরই আজ একটি উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি দল নিয়ে ইরান সফরে এসেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে ইরান ও তুরস্ক দীর্ঘকাল ধরে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে সম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পরিপেক্ষিতে দু'দেশই বিরোধ এড়িয়ে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে পারে।

সিরিয়ার ব্যাপারে তুরস্কের বর্তমান অবস্থান এবং উত্তর ইরাকের পরিবর্তিত পরিস্থিতির ব্যাপারেও আঙ্কারার স্পষ্ট নীতির আলোকে বলা যায়, আঙ্কারা এ অঞ্চলের বাস্তবতা আগের চেয়ে অনেক বেশি উপলব্ধি করছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমিয়ে এনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারের ব্যাপারে তুরস্ক এখন আন্তরিক বলেই মনে হচ্ছে। অথচ সিরিয়া যুদ্ধের প্রথম দিকে বিদ্রোহীদের সব থেকে বড় সহায়তা করত এই এরদোগান সরকার। বিদ্রোহীদের সমর্থনে রাশিয়ান সামরিক বিমান পর্যন্ত ভূপাতিত করেছিল সেই সময়ে।

তবে বাস্তবতা পাল্টেছে এরদগানের বিপক্ষে সঙ্ঘটিত ব্যর্থ কুয়ের পর থেকেই। তখন থেকেই ক্রমে ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সিরিয়া সঙ্কট দূরীকরণে অনুষ্ঠিত আস্তানা বৈঠকের উদ্যোক্তা এই তিন দেশই ইতিমধ্যে বিদ্রোহী আর সিরিয়ার সরকারের মধ্যে যুদ্ধকে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সিরিয়ান সেনারা এখন বিদ্রোহীদের পরিবর্তে আইএসের সাথে লড়াই করতে পারছে সিরিয়ায় আইএস ৮৫% জায়গা থেকে উৎখাত হয়েছে।

তবে সিরিয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা দখল করেছে অ্যামেরিকা সমর্থিত কুর্দি বাহিনী। যদিও এখনো তারা সিরিয়ার সরকারের সাথে দন্দে জড়িয়ে পড়ে নাই বা সিরিয়ার থেকে বের হয়ে স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে নাই তারপরও সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইরাক, ইরান সিরিয়া এবং তুরস্ক মিলে প্রায় সাড়ে তিন কোটি কুর্দি জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা বিশ্বাস করে তারা এই চারটি দেশের মাঝে স্বাধীন কুর্দিস্থান প্রতিষ্ঠা করবে।

সুতরাং দেশ ৪ টি স্বাভাবিক ভাবেই তাদের দেশ ভেঙ্গে নতুন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করবে। এখানে ক্ষুদ্র স্বার্থ পরিহার করে বৃহতর স্বার্থে ৪ টি দেশ এক হতে যাচ্ছে, যার মুলে রয়েছে ভৌগোলিক অখণ্ডতা। আগে থেকেই সিরিয়া ইরান ও ইরাকের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন ছিল কিন্তু এবার তুরস্ক এই জোটে যুক্ত হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মধ্যপাচ্যে
ইজরায়েল আমেরিকা সৌদিদের শায়েস্তা করতে একতা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

NurunNabi বলেছেন: বিজ্ঞ লেখকের এখানে একটু মিস হয়েছে। তার লেখাটিতে "১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর..." এর স্থলে হবে "১৯৭৯ সালে শিয়া বিপ্লব সফল হওয়ার পর..."।

এরপর আরেকটি বিষয়ে জানতে পেরে খুব ভাল লেগেছে তা হল, এরদোগান সরকার ইরানের সাথে বিরোধের জায়গা গুলো খুব বেশি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। যাতে আমেরিকা ইসরাইল এদের মত ধূর্ত পুরনো শত্রুরা কাটা দিয়ে কাটা তুলতে ছিদ্র খুঁজে না পায়।

ইনশাআল্লাহ সময় দ্রুত পরিবর্তনের পথে। ইমাম মাহদী (আ)-এর আবির্ভাব বোধ হয় আর বেশি দেরি নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আশাকরি ভালো কিছুই হয়ত অপেক্ষা করছে

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছবিতে ২ জনের কাপড় চোপড় দেখেন, এরা কি একই সংস্কৃতির, একই সভ্যতার লোকজন?

ইরান তেলের পয়সা দিয়ে জংগী পালন করে আসছে, তুরস্কও সেই ব্যবসার দিকে যাচ্ছে, সৌদী আগের থেকেই ছিলো সেই ব্যবসায়; ইরান পারসিক সাম্রাজ্য, তুরস্ক অটোম্যান ও সৌদীরা আব্বাসীয় যুগে যাবার চেস্টা করছে? মাঝখানে কুর্দীরা যুদ্ধ করবে প্রতিদিন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: হায়রে ভাউ আপনার কুর্দিরা মাইর খাবে কিভাবে সামলাবেন?

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বলেছেন: বিজ্ঞ লেখকের এখানে একটু মিস হয়েছে। তার লেখাটিতে "১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর..." এর স্থলে হবে "১৯৭৯ সালে শিয়া বিপ্লব সফল হওয়ার পর..."।
কোন হাদিসে পাইছেন 1989 সালে শিয়া বিপ্লব হইছে। আপনার কাছ থেকে শুনলাম প্রথম মিঃ নুরনবি।
কট্টর শিয়া অনুসারী মনে হচ্ছে আপনাকে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ইসলামে শিয়া সুন্নি বিষয়না এমনকি ইরান ও এই বিপ্লবকে ইসলামী বিপ্লব বলে।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: লেখকের সাথে সহমত। কিছু কট্টরপন্হী লোকের কারনে শিয়া সুন্নি বিরোধ আজীবন টিকে থাকবে মুসলমানদের মাঝে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৭

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত। সারা বিশ্বে যখন পশ্চিমারা আক্রমন করে তখন তারা শিয়া বা সুন্নি বলে না মুসলিম বলেই নির্যাতন করে।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: শিয়া সুন্নি ভেদাভেদ ভুলে মুসলিমরা কেন এক পতাকার তলে আসতে পারেনা?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সুন্নি তুর্কি যদি শিয়া ইরানের সাথে সম্পর্ক করে তাহলে আশাকরি এই বিভেদ কমাতে সাহায্য করবে।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে মনে হয় আমেরিকা ইসরাইল এখন একটু দিশেহারা। তুরস্ক এখন রাশিয়া ও ইরানের মিএ এদিকে ইয়েমেনে যুদ্ধে ক্লান্ত সৌদি বাদশা এখন রাশিয়া যাচ্ছে মিটমাটের জন্য ইরানের সাথে নাকি সংযোথা ক রতে চায়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: তুরস্ক আবার ন্যাটো সদস্য। রাশিয়ার সাথে বেশি দহরমমহরম দেখালে আবার সদস্যপদ হারাতে পারে। তবে আমেরিকার প্রভাব শেষ হয়ে গেছে সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার হস্তখেপে। এরদোয়ান আসলেই পাকা রাজনীতিবিদ। ভবিষ্যতে রাশিয়াই মোড়লি করবে তাই সকাল সকাল আমেরিকা ছেড়ে রাশিয়া অনুসরন করছে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: তুরস্ক ইতিমধ্যে জার্মানির সাথে দন্দে জড়িয়েছে । তারা সাফ বুলে দিয়েছে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেতে আর ইচ্ছুক নয়।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪০

এম আর তালুকদার বলেছেন: মুসলিম বিশ্বের প৾তি রইলো ঐক৽ের আহব্বান।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই ঘটনা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একটা ঐক্য গড়ে উঠলে মন্দ হয় না | যদিও সম্ভাবনা কম কিন্তু তবুও ভাবতে ভালো লাগে | অল্প দুএকটা জায়গায় না হয় একটু স্বাপ্নিক হলাম খুব ক্ষতি কি হয়ে যাবে তাতে কারো ?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.