নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে এক ধরনের অচলবস্থা বিরাজ করছে। অব্যাহত ভাবে বেড়েই চলছে খেলাপি ঋণের হার। এই মুহূর্তে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা।
খেলাপী ঋণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকারি ৬ ব্যাংক এবং বেসরকারি ৩ ব্যাংক। শীর্ষ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৬০.৩৬%
সরকারি ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের ১৫ ভাগ। আলোচ্য সময়ে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৮ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপির ১০ দশমিক ২২ ভাগ। ৯ দশমিক ৬২ ভাগ নিয়ে বেসিক ব্যাংক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ৭ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা।
এছাড়া অন্য ৩টি সরকারি ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ দশমিক ৭৯ ভাগ, রূপালী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৫৫ ভাগ এবং কৃষি ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৭ ভাগ। বেসরকারি তিনটি ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ২৭ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৩ দশমিক ৭৮ ভাগ। এর পরেই রয়েছে পূবালী ব্যাংক ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ২ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ঋণের টাকা সঠিক ব্যবহার করেননি। কিছু ব্যাবসায়ি শিল্প কারখানার জন্য ঋণ নিয়েছেন, কিন্তু তা শিল্প কারখানায় ব্যবহার না করে জমি কিনেছেন। অনেকে আবার অন্য ব্যাবসায় ঋণের টাকা বিনিয়োগ করেছে। কেউ বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে (এলটিআর, লিম ইত্যাদি) ব্যাংকের ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু ওইসব ঋণ আর পরিশোধ করেননি। এসব ঋণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জামানত পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
এসব কারণে ব্যাংকগুলি ঋণ আদায় করতে পারছে না। খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য ঋণ নবায়ন করার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে চাপ দিচ্ছেন তারা। কিন্তু ঋণ নবায়ন করার জন্য যে ন্যূনতম এককালীন অর্থ পরিশোধ করতে হয় (ডাউন পেমেন্ট) তা এসব ব্যবসায়ীরা দিতে পারছে না। গুটিকয়েক বড় ব্যবসায়ীর কাছে ব্যাংকগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামের বড় কয়েকটি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার কাছেই বড় অঙ্কের টাকা আটকে রয়েছে। সব মিলে ব্যাংকগুলো ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়েছে। এতে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে চলছে।
ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় না হওয়ায় আয় কমে যাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সামনে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ করা বা ঋণ বিতরণ করা কষ্টকর হয়ে পড়বে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো কোন ফলাফল উপহার দিবে না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের সাধারন জনগন মনে হয় এ নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।
সরকারি মাল যে যেমন পারছে নিজের মত করে নিয়ে যাচ্ছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সরকারের কিছুই না বরং সাধারণ জনগনের টাকা সরকারি নানা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১১
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সরকার কা মাল, দরিয়া মে ডাল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সরকার কা না হবে আমআদমিকা মাল!
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনি কত টাকা ঋন খেলাপি করেছেন?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: দরবেশ বাবার দোয়া পেলে বলতে পারবো!
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার টাকাই নাই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভাই অনেক সুখি মানুষ
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আল-শাহ্রিয়ার ,
টাকা আদায় হবেনা কোনও দিন । আদায় করার দরকারও নেই ।
শুধু ঋণ প্রদানে দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মচারীদের ঝুলিয়ে দিন .............