নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ক্রীড়াবিদ ও ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কর্মকর্তাদের জন্য স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স প্রায় ৪,০০০ 'গ্যালাক্সি নোট ৮' ফোন প্রস্তুত রেখেছে। যা তাদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। মোবাইলগুলোতে শীতকালীন অলিম্পিক সংক্রান্ত নানা তথ্য রয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
পিয়ংচ্যাং অলিম্পিকের আয়োজকদের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইওনহ্যাপ জানিয়েছে, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়দের জন্য এসব বিনামূল্যের কোন স্মার্টফোন দেওয়া হবে না! কর্মকর্তারা দাবি করছেন, সামরিক কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছে এ ধরনের পণ্য সরবরাহ করা হবে না।
এ সিদ্ধান্ত ইরানে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি করেছে। কারণ, স্যামসং ইলেকট্রনিক্সের বিশাল বাজার রয়েছে ইরানে। যে স্মার্টফোন সামরিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে তা ইরানে অবস্থিত স্যামসং কোম্পানির হাজার হাজার শোরুমে বিক্রি হচ্ছে। এই মুহূর্তে ইরানের এক কোটি ৭৮ লাখ ইরানির হাতে স্যামসং ইলেকট্রনিক্সের স্মার্টফোন রয়েছে। ইরানে স্যামসংয়ের আনুষ্ঠানিক দপ্তর রয়েছে এবং তারা গ্রাহককে বিক্রয়োত্তর সেবাও প্রদান করে থাকে।
এই ঘটনায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত 'কিম সুংহো'-কে মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, অন্যথায় তা স্যামসাং কোম্পানির সঙ্গে ইসলামি ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। ইরান বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত অলিম্পিক গেমসের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনার স্লোগানের পরিপন্থী বলেও তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ইরানি ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ক্ষমা চাইতে স্যামসাং কোম্পানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন অন্যথায় তিনি আর কখনোই স্যামসাং'র সেট ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছেন।
অতঃপর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি স্যামসাং’র মোবাইল না দেয়ার ভুল পদক্ষেপের কারণে ইরানের ক্রীড়াবিদদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া সফররত ইরানি ক্রীড়াদলের প্রধানের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। অলিম্পিক কমিটির একজন পদস্থ কর্মকর্তা ইরানি ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি আবারও ব্যাখ্যা করবেন বলে জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমিটির চিঠিতে বলা হয়েছে, স্যামসাং’র মোবাইল নিয়ে যা ঘটেছে তা ছিল ভুল বোঝাবুঝি। এর আগে ওই কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্যান্য দেশের ক্রীড়াবিদদের মতো ইরানিদেরকেও স্যামসাং'র নতুন মোবাইল দেয়া হবে। মোবাইলগুলো তারা নিজ দেশেও নিয়ে যেতে পারবেন।
এখানে কয়েকটি মোবাইল কখনোই বড় বিষয় নয় কিন্তু আপনার দেশের সন্মানটাই মুখ্য বিষয়। এর পূর্বে বাংলাদেশ দল বিভিন্ন দেশে গিয়ে ৩ তারকা হোটেলে উঠতে বাধ্য হয়েছে এবং পচা-বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছে কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে কখনোই প্রতিবাদ জানানো হয় না! সম্প্রতি চিটাগাং টেস্টের উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা টিম আইসিসিকে অভিযোগ করেছে কিন্তু বাংলাদেশ কখনোই কোন দেশের উইকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বলে শুনিনি।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
ধন্যবাদ।