নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
গত কাল শুক্রবার সকালে এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোন রাষ্ট্রপ্রধান সীমান্ত রেখা পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্র প্রধানের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন। সীমান্তের শূন্যরেখা সামনে রেখে অপেক্ষায় ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন (ডানে)। হাত বাড়িয়ে এগিয়ে গেলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। সাড়ে ছয় দশক পর গতকাল সাক্ষাৎ হয় দুই কোরিয়ার নেতাদের।
ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষ্যঃ
সাক্ষাতে দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপকে ‘সম্পূর্ণ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত’ করতে সম্মত হন। সেইসঙ্গে দুই কোরিয়ার মধ্যকার বিদ্বেষপূর্ণ সম্পর্কের অবসান ঘটাতেও একমত হন কিম ও মুন।
বৈঠকের আগে দুই নেতা হাসিমুখে পরস্পরের সঙ্গে হাতও মেলান। পরে বিকেলের অধিবেশনে দুই নেতা সীমান্তে বৃক্ষরোপণ করেন।জানা গেছে, পাইনগাছ লাগিয়েছেন এই দুই নেতা।
দুই কোরিয়া থেকে আনা পাহাড়ের মাটি দেওয়া হয় পাইনের গোড়ায়।এই গাছ লাগানোর মধ্য দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির বীজ বপন’ করেছেন। গাছের কাছে স্থাপিত একটি পাথরের ফলকে এ কথা লেখা হয়েছে। গাছ লাগানোর পর কিম বলেছেন, ‘আমরা কোরীয়রা বলে থাকি, পাইনগাছ খুব শক্তিশালী এবং প্রায় পুরো বছরই সবুজ থাকে। এমনকি শীতকালেও সবুজ পাতার অভাব থাকে না পাইনগাছে। আমাদের চলার রাস্তায় যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক না কেন, আমরা তা কাটিয়ে উঠব। ঠিক এই গাছের মতো।’
বৈঠকের পর দুই নেতার ওই যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে আর কোনো যুদ্ধ হবে না।নর্থ-সাউথ কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কোরিয়া যুদ্ধে যেসব পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল তাদের একত্রিত করা, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেয়া এবং চলতি বছরের এশিয়ান গেমস থেকেই আন্তর্জাতিক খেলাধুলার ইভেন্টগুলোতে দুই কোরিয়ার যৌথ অংশগ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
১৯১০ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জাপানী সাম্রাজ্য কোরীয় উপদ্বীপ শাসন করে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জাপানের পরাজয় হলে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখায় কোরিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করে নিজেদের দখলে নেয় মার্কিন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। উত্তর কোরিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে আর দক্ষিণ কোরিয়া অ্যামেরিকার অধীনে চলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে মার্কিন অ্যামেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের বলি হয় দুই কোরিয়ায় জনগন। যুদ্ধে প্রায় ২৫-৫০ লক্ষ মানুষ নিহত হয়। পরবর্তীতে চীনের সাথে অ্যামেরিকার সরাসরি বড় ধরনের যুদ্ধের সম্ভাবনা এড়াতে যুদ্ধ বিরতি এবং জাতিসংঘের জোরালো হস্তক্ষেপে ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নেতার মধ্যে যখন ঐতিহাসিক বৈঠক হচ্ছে - তখন একটা প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন - এটা যে শেষ পর্যন্ত সম্ভব হলো - তার কৃতিত্ব আসলে কার?
Please do not forget the great help that my good friend, President Xi of China, has given to the United States, particularly at the Border of North Korea. Without him it would have been a much longer, tougher, process!— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 27, 2018
তবে ট্রাম্প এক্ষেত্রে প্রথমে নিজের ও অ্যামেরিকার কৃতিত্ব দাবী করে পরে আবার চীনকেও কৃতিত্বের ভাগ দেয়। তবে ইরান মার্কিন হস্তক্ষেপ ছাড়াই সম্পর্ক স্বাভাবিক করুতে দুই কোরিয়াকে আহব্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, তার দেশ সব সময় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনের পক্ষপাতি ছিল এবং দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা সে লক্ষ্যে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে তেহরান স্বাগত জানায়। অন্যদিকে রাশিয়া এবং চীন উভয় দেশ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই শান্তি প্রকৃিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এমনকি উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবার জন্য আন্দোলন করে তাকে এক সময় জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছিল। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় নেতা চীন সফরে গিয়েছিলেন এবং তার আপন বোনকে দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রীয় সফরে পাঠিয়েছিলেন। ওই সফরের অভিজ্ঞতা ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে তিনি সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়ার নেতার সাথে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেন যা গতকাল বাস্তবতায় রুপ নিল। নিঃসন্দেহে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি আর উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি একত্রিত হলে বিশ্বে কোরিয়া হয়ে উঠবে নতুন এক পরাশক্তি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।
সাবার জীবন শান্তি ময় হোক।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। শুভ কামনা।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
এখওয়ানআখী বলেছেন: ট্রাম্প খুবই দূরদর্শী রাজনীতিক। নিজের কাধ থেকে বিপদ নামানোর চেস্টা করছেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: যাই হোক দিন শেষে আমাদের চাওয়া যুদ্ধ নয় শান্তি। সেটা ফিলিস্তিন, আফগানস্থান, লিবিয়া, সিরিয়া থেকে কোরিয়া সবার জন্য। প্রযোজ্য।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২২
শহীদ আম্মার বলেছেন: শান্তিবাদী মানুষগুলো সবসময়ই আপোষকে স্বাগত জানাই যুদ্ধকে নয়। ধন্যবাদ দুই কোরিয়াকে!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
আবু আফিয়া বলেছেন: শান্তিময় হোক বিশ্ব,
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কোরিয়ার সংযুক্তিকরণ ভালো কোরিয়ানদের পক্ষে বা ভালো পূর্ব এশিয়ার স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে।কিন্তু রাশিয়া বা আমেরিকা কী সহজে এই মিত্রতা ঘটতে দেবে।গতকাল দুই কোরিয়ার বৈঠকে সৌহার্দ্যের পরিবেশ ছিল লক্ষ্যনীয়, তবুও যতক্ষণ পর্যন্ত এই মৈত্রী সাফল্য না পাচ্ছে,ততক্ষণ সংশয় থেকেই যায়।
পরিশেষে একথা বলবো জার্মানি যদি পূর্বপুরুষের দায় মুক্ত হয়ে এক্যবদ্ধ হতে পারে,তাহলে অবশ্যই কোরিয়ানরা সমস্ত বাঁধাবিঘ্ন অতিক্রম করে চলার পথ মসৃণ করবে।
কেউ বলতে পারে? যে আগামী দিনে দুই বাংলা এক হবার কোনো কথা উঠবেনা।
শুভ কামনা নিরন্তর।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: শুভ কামনা। পশ্চিম বঙ্গকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সৌদী ও ইরান কি ইতিহাস গড়বে, নাকি আস্তাকুড়ে যাবে?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সময়ই বলে দিবে। তবে আমি চাই তাদের বন্ধুত্ব হোক।
৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শান্তির পায়রা উডুক দুই কোরিয়ার আকাশে
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বুদ্ধি দিয়ে প্রেম আর হৃদয় দিয়ে সিদ্ধান্ত দুটোই পাপ।
------------মহাভারত
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: পূর্ব জার্মানী-পশ্চিম জার্মানী এক হয়েছে এর আগে।
চীন আর হংকং এক হয়েছে।
এখন কোরিয়ানদের পালা।
মুসলিম উম্মাহ কি কখনো এক হতে পারবে?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সত্যি যদি সৌদী ও ইরান এক হতে পারত খুব ভাল হত।
১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নিঃসন্দেহে ভালো সংবাদ! শুধু কোরীয় উপদ্বীপের জন্য নয় বরং পুরো বিশ্বের জন্যই।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
হাঙ্গামা বলেছেন:
আর আমরা মুসলমানের একে অপরের রক্ত ঝরাচ্ছি।
দেখে ও শিখবো না।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: দুঃখজনক
১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
ধূসর সপ্ন বলেছেন: ভাল উদ্যোগ
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
সনেট কবি বলেছেন: সবার জন্য শান্তি চাই।