নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
কোনো উসকানি ছাড়াই আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজে হামলা নিহত ৩৪ জন মার্কিন সেনা আহত শতাধিক।
ইসরাইলি জঙ্গিবিমান রণতরীটিতে মিসাইল, কামান এবং নাপালাম দিয়ে হামলা করে। এরপরই তিনটি ইসরাইলি টর্পেডো জাহাজ রণতরীটির ওপর দ্বিতীয় দফায় ভয়াবহ হামলা পরিচালনা করে। প্রায় আধ ঘণ্টা সময় ধরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজে হামলা চালেছিল।
কি কিছু ভুল শুনছেন ভেবেছেন? না বিষয়টি শতভাগ সত্য। তবে ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় একান্ন বছর আগে ঘটেছিল।
দিনটি ছিল ৮ জুন ১৯৬৭ সাল। আরব-ইসরায়েল ছয় দিনের যুদ্ধে যখন ইয়ারাইলের সাথে জর্ডান যুদ্ধবিরতি দিয়েছিল এবং মিশরের সেনাবাহিনী পরাজয় মেনে নিয়েছিল তখনই ইসরাইল সম্পূর্ণ অতর্কিতে সেই সময়ের মার্কিন সেনাবাহিনীর সব থেকে আধুনিক গোয়েন্দা সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো ইউএসএস লিবার্টি জাহাজের ওপর আক্রমণ করে।
এটি ছিল মার্কিন জাহাজের উপর আক্রমণের সবচেয়ে বড় ঘটনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই হামলার ঘটনায় কোনো সংসদীয় তদন্ত সংঘটিত হয়নি। কেননা তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন ইসরাইলের বৃহত্তর স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্যই এই ভয়াবহ আক্রমণের মূল ঘটনা চেপে যান ইচ্ছাকৃতভাবে। শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত সেনা পরিবারগুলোকে কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়েই ভুল বা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে অ্যামেরিকা-ইসরাইল ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে।
তবে ইসরাইলের এই হামলার পিছে যেসব কারন থাকতে পারে বলে মনে করা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ইসরাইল চেয়েছিল অ্যামেরিকা যেন যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে যোগদান করে। কেননা অ্যামেরিকা তখন ভিয়েতনামে পরাজয় নিয়ে ব্যাস্ত ছিল, সোভিয়েতপন্থী মিশরের বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ শুরু করতে আগ্রহী ছিল না। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দারা হয়ত এমন কোন গোপন তথ্য জানতে পেরেছিল যা ইসরাইলী বাহিনী প্রকাশ করতে রাজি ছিল না। ভাবতেই অবাক লাগে এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি অ্যামেরিকা প্রথম নীতির কথা বলে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি আবার ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনেই বলেন শতভাগ একমত কারন ইসরাইল বলেছে!
বিস্তারিত জানবার জন্য লিঙ্কগুলোতে ঘুরে আসতে আমন্ত্রন রইলঃ
ইসরায়েল যেদিন আক্রমণ করেছিল মার্কিন নৌবাহিনীর উপর
ইসরায়েল কেন মার্কিন নৌবাহিনীতে আক্রমণ করেছিল?
USS Liberty incident
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। আশাকরি পশ্চিমাদের বিতর্কিত সব ঘটনা আপনাদের জানাতে চেষ্টা করবো।
২| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
শামচুল হক বলেছেন: ঘটনাটি জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ, উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
৩| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এমন সুন্দর খবরটা দিলেন
কিন্তু পরক্ষনেই হতাশ হলাম।
আশা করি এমন একদিন আবার আসবে
যেদিন বুমেরাং হয়ে ইসরাইলীরা কিংবা আমেরিকানরা
একে অপরকে ধ্বংশ করার মহাযজ্ঞে নামবে।
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে। ইসরাইল আসলেই অ্যামেরিকাকে নিজ স্বার্থে ধংস করে চলছে।
৪| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। আশাকরি আরও এই ধরণের অমীমাংসিত রহস্যগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হব।
৫| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:১১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুধুমাত্র আমেরিকার কারণেই ইসরাইলের যত তাফালিং। আর আমেরিকাতে ইহুদিও বেশী। তাই...
০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: প্রথমটা পড়ে তো মাথাটা আউলাইয়া গেছিলগা।
পরেরটা পইড়া ঞাঁপাইতেছি ভাইজান।
আমার প্রীতি নিন।