নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী অনৈতিক দখলদারিত্ব ও নিপীড়নকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ছেড়েছে আমেরিকা
নিরস্ত্র গাজাবাসীর ওপর ইজরাইলের আক্রমণ।‘গ্রেট রিটার্ন মার্চ’ নামে অনুষ্ঠিত এবারের বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ১৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১৩,৯০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়।
২০১৪ সালের একটি ভিডিও রিপোর্ট।
জানা যায় ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী অনৈতিক দখলদারিত্ব ও নিপীড়নকে আলোচ্যসূচির স্থায়ী বিষয়বস্তু হিসেবে রেখেছে জেনেভাভিত্তিক এই মানবাধিকার কাউন্সিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার কাউন্সিলের আলোচ্যসূচি থেকে ইসরাইলি দখলদারিত্বকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।
৪৭ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘ মানবাধিকার প্যানেল গত মাসের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের তদন্তের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে।
এর পূর্বে ২০১৭ সালে ইসরাইলের অন্যায় তৎপরতার বিরুেদ্ধ প্রস্তাব পাস করার কারণে ইউনেস্কো থেকেও বেরিয়ে যায় অ্যামেরিকা। তবে এবার খোদ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রস্তাব ১০-১ ভোটে পরাজিত হওয়ায় আসাকরা যায় খুব শীঘ্রই জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকেও বেরিয়ে যাবে অ্যামেরিকা। আসাকরা হচ্ছে ইজরাইলের পক্ষে জাতিসংঘে একা হয়ে পড়া অ্যামেরিকা নতুন কোন সঙ্ঘ গড়ে তুলতে পারে বিশ্ব বা পৃথিবীর বাহিরে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি গেন্নাদি গাতিলভ বলেছেন, “আমি বলতে পারছি না যে, মানবাধিকার পরিষদ কোনোকিছু হারিয়েছে।” তিনি আরা বলেন, “আমি আশা করি আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কারণে এ সংস্থায় এখন রাজনীতিকীকরণ, দ্বিচারিতা ও দ্বন্দ্ব কমে যাবে।”
এদিকে, ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাব্যঞ্জক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন। তবে খবরটি বিস্ময়কর নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসী পদক্ষেপকে গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরার কোনো উপায় নেই। আমেরিকার পদক্ষেপের কারণে বর্ণবাদী ইসরাইল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও একঘরে হয়ে পড়বে।
২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:০৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। সময় এসেছে মুসলিম বিশ্বের নিজেদের ভাইদের রক্ষায় সচেষ্ট হবার এবং মোনাফেক মুসলিম রাজাদের ত্যাগ করবার।
২| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হলো কেউ কাউকে মানতে চায় না।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: মার্কিন আর ইজরাইলী এই দুই রাষ্ট্রের জন্মই বিশ্ব শান্তির জন্য সব থেকে বড় সমস্যা।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবেই পরাজিত হোক অসভ্য আমেরিকা! ভন্ড আমেরিকা! সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা!
বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর কি চোখ খুলছে? চেতনা জাগছে?
না এখনো ক্ষমতার মোহবলয়ে আটকে আছে পাচাটা চেতনায়?
নূন্যতম সভ্য, বিবেকবান, মানবতাবাদী সকলেই আজ জাতিসংঘেও এক হতে পেরেছে!
কথিত মুসলিম বিশ্বকি এখনো এক হবার চেতনা অনুভব করে?