নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিম্ন মানের ভারতীয় কোম্পানির "এ" ক্যাপস্যুল বিতারন কর্মসূচী বন্ধ হল মাঠপর্যায়ের কর্মী ও কর্মকর্তাদের প্রতিরোধে

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫


আগামীকাল শনিবার সারা দেশে স্থায়ী টিকা কেন্দ্র ছাড়াও বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন "এ" ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। অ্যাজটেক নামে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান এই ক্যাপসুল সরবরাহ করেছে।
জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে যথাক্রমে নীল ও লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। একটি জেলার সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা ক্যাপসুলে ছত্রাক দেখতে পেয়েছেন। পুষ্টি কর্মসূচির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাল রঙের ক্যাপসুলগুলোতেই সমস্যা পাওয়া গেছে। সারা দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মী ও কর্মকর্তারা ক্যাপসুলের মান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তারা এই নিম্ন মানের ক্যাপস্যুল বিতারনে নিজেদের অনিহা প্রকাশ করেন এবং তাঁরা ঘটনাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানান। এরপর গত বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্থগিতের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকটি জায়গায় ক্যাপসুল জোড়া লাগানো দেখা গেছে। এ জন্য কর্মকর্তারা আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই ক্যাপসুল খাওয়ানো আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

কর্মসূচি স্থগিত করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংসদ ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। কোনো ঝুঁকি নেওয়া উচিত না। তদন্তে কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এটাই প্রত্যাশা।’

মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুব শিগগির শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। মূলত রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে রাতকানা রোগের প্রকোপ দেশে অনেক কমে গেছে।

ধন্যবাদ মাঠ পর্যায়ের সাহসী কর্মী ও কর্মকর্তাদের যাদের প্রতিরোধে এই খারাপ মানের ক্যাপস্যুল বিতারন রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

সুত্রঃ প্রথম আলো

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



এ জাতির রাতকানা রোগ থাকা ভাল, অন্তত রাতের সিল মারা দেখতে পারবে না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: হা হা এজন্যই বুঝি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাতকানা করে দেবার প্রয়াস

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: দুঃখজনক হত যদি ওই মানহীন ক্যাপস্যুল সত্যিই শিশুদের গ্রহন করতে হত।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সুমন কর বলেছেন: X((

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৩৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আর যাই হোক সরকারী এসব ভিটামিন-ফিটামিন আমার সন্তানকে কখনোই খাওয়াবোনা। এদের বিশ্বাস নেই।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: দুঃখজনক হলেও আপনার সাথে সহমত পোষণ করতে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.