![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।
বারেবারে বলি, রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকুক সেটি কখনোই চাইনা। বরং কোন রাষ্ট্রে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম প্রধান থাকলে এবং রাষ্ট্রকে সেই ধর্মের নামে ডাকা শুরু করলে রাষ্ট্রে বসবাসরত অন্য ধর্মের লোকেদের সেই রাষ্ট্রকে আপন ভাবার সুযোগটি কমে যায়।
ছোটবেলা থেকে শুরু করে এখনো প্রায়ই শুনি অনেক হিন্দু ধর্মালম্বীরা মাঝেমাঝে আফসুস করে বলে যে, "এই দেশ তো আমাদের জন্য নয়। এতো শুধু মুসলিমদের দেশ!" এখনো সংখ্যায় অল্প এমন ধর্ম মতাদর্শের এমন অনেকেই সবকিছু গুটিয়ে নিজের দেশ ছেড়ে পাশের দেশে কিংবা দূর দেশে যেখানে নিজেদের নিরাপত্তা আছে, সম্মান আছে সেখানে চলে যাচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই আমার চারপাশ আমাকে বিধর্মীদের প্রতি চরম হিংসা আর ঘৃণা নিয়ে বড় হতে বাধ্য করতে চেয়েছিল । আমারই অনেক চেনা জানা, সম্ভবত অনেক নয় প্রায় সব চেনা জানারাই নিজের ধর্ম ব্যতিত বিধর্মীদের কোন এক অজানা কারণে চরম ঘৃণা করে। এতই যদি নিজের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে অদৃশ্য প্রতিযোগিতা আর ঘৃণা থাকে তবে প্রচলিত নিয়মানুসারে ধর্ম মেনে চলারই বা দরকার কি!
তবে আমি মনে করি এদেশ তথা পুরো উপমহাদেশেই ধর্মীয় সহিংসতার প্রধান কারণ মূলত রাজনৈতিক। এদেশের সরকার দল এবং প্রধান বিরোধী দল সহ সকলেই ধর্মান্ধদের উগ্র আচরণকে দেখেও না দেখার ভান করে উলটো সমর্থন দেয় ধর্মীয় সহমতের কারণে নয় বরং সংখ্যা গরিষ্ঠতার সমর্থন লাভের আশায়। এই সুযোগে সংখ্যালঘুদের অঢেল সম্পত্তি খুব সহজেই ছিনিয়ে নেওয়া যায় । তাদের উপর অন্যায় বিরোধ আরোপ করা যায়। তাদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশাও করা যায় বৈকি। কিন্তু সরকার যদি চায় তবে তার শিক্ষিত এবং জ্ঞানী জনগনকে সাথে নিয়ে সে দেশের ধর্মীয় অসহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ধর্মীয় বিভেদ দূর করতে পারে। এবং প্রচলিত নিয়মে তার রাষ্ট্রের প্রধান ধর্ম থাকুক অথবা না থাকুক তবে দেশ যে সকলের সেটি বোধগম্য করাতে পারে।
আমার স্লোগান,
রাষ্ট্র ধর্ম হোক না হোক
নিজের দেশটা নিজের চাই!
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: আর দেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে হামলা হয় তার পিছনে মূলত কোন ধর্মীয় কারন নেই তা হলো রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপকৌশল।।।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: বারেবারে বলি, রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকুক সেটি কখনোই চাইনা। বরং কোন রাষ্ট্রে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম প্রধান থাকলে এবং রাষ্ট্রকে সেই ধর্মের নামে ডাকা শুরু করলে রাষ্ট্রে বসবাসরত অন্য ধর্মের লোকেদের সেই রাষ্ট্রকে আপন ভাবার সুযোগটি কমে যায়।
আপনার এই কথা এদশের ৮৯% মুসলিমরা মানে না।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: ভাই রাস্ট্রভাষা বাংলা আছে।। সবাই আমাদের বাংগালী বলে ডাকে।। তাই কী চাকমাদের বাংলাদেশকে আপন ভাবার সুযোগ কমে যায়??
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: জাতীয় পাকি দোয়েল।। তাই কি ঘুঘু, শালিক এর মর্যাদা দোয়েল থেকে কম?? একটা দেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মুসলমান তাই বলে এটা মুসলিম প্রধান দেশ।।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: আসলে যারা ধর্মান্ধ তারাই মুসলিম প্রধান দেশটাকে নিজেদের করে নিতে চায় না।। তারা মাঝে মাঝে রাস্ট্রদ্রোহীও হয়।। এদেশের রাস্ট্রভাষা বাংলা সবাই বাংগালী বলে ডাকে।। তাই বলে কখনো চাকমা বা অন্যান্য উপজাতিরা এই দেশকে পর করে নেয়নি।। আপনি কি রাস্ট্রভাষা বাংলার বিরোধী??
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: আসলেই রাস্ট্রভাষা বাংলা থাকলে যেমন অন্যান্য ভাষাভাষিরা দেশটাকে আপন করে নিতে পারে না।।
আগে সঠিক ভাবে ভাবতে শিখুন।। দেশে রাস্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারনে এমন কোন আইন হয়েছে যাতে বিধর্মীদের অধিকার ক্ষুন্ন হয়।।। আগে নিজে রাস্ট্রের বেশীরভাগ মানুষের ধর্মকে রাস্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে মানতে শিখুন