![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।
আচ্ছা আমরা কি কভু নিজেদের জন্যে বাঁচতে চেয়েছি? নিজে যা হতে চেয়েছি সেরকম ভাবে? আমাদের কি প্রতিদিনকে লুফে নিতে ইচ্ছে করেনি? নাকি করেছিল? আজও করে? যদি কভু করে? যদি লুফে নিতে চাই... তবে যেন চিৎকার করে বারেবারে বলি "সিইজ দ্যা ডে!" "সিইজ দ্যা ডে!"
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি একটা সংগঠনে যোগ দিয়েছিলাম যেটির কাজ ছিল বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত উপন্যাসগুলোকে একটি একটি করে একেক দিন সবাই এক সাথে বসে চক্রাকারে পঠন করা এবং এর সম্পর্কে আলোচনা করা।
যে সিনেমাটি দেখে আমার চার বছর পূর্বের কথা মনে পড়ে গিয়েছে তার নাম “ডেড পুয়েটস সোসাইটি“, মৃত কবিদের সংঘ। না বাংলা অর্থের সাথে সিনেমাটির নামের কোন মিল নেই কিন্তু আমাদের জীবনের সাথে এই সিনেমার মিল রয়েছে। সিনেমাটিতে যেন আমি, আমার শিক্ষকরা আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর আমার সহপাঠিরা ছিল।
টড, নেইল, রিচার্ড, চার্লি, নক্স, স্টিভেন, পিট তারা সবাই ওয়াল্টন একাডেমিতে পড়ে। গত ১০০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলায় বেঁধে ছাত্রদের ডিগ্রি দিচ্ছে এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। টডরা তো তা ই জানতো। কিন্তু প্রথম ক্লাসেই তারা চমকে গিয়ে এমন একজন শিক্ষক মিস্টার কিটিংকে আবিষ্কার করে যিনি ছিলেন ওয়াল্টন একাডেমির শিক্ষাদান থেকে সম্পূর্ন ব্যতিক্রম। কিটিং তার ছাত্রদেরকে আত্মোপলব্ধি করতে সহযোগিতা করলেন। কাব্যের গাণিতিক সঙ্গাকে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে নিজেদের মত কাব্য সাধনা করতে বললেন। নতুন নতুন শব্দ ব্যবহার করতে বললেন। কিসে আমাদের জীবন বাঁচায় আর কিসের জন্যে আমরা বেঁচে থাকি সেটি উপলব্ধি করতে বললেন। সবাইকে তার টেবিলের উপর দাঁড় করিয়ে জীবনকে নতুন ভাবে দেখতে বললেন। নিজেকে গুরুত্ব দিতে বললেন। নিজেকে সম্মান করতে বললেন। নিজেকে সহযোগিতা করতে বললেন। কখন ধৈর্য ধরতে হয় আর কখন ছুটে পালাতে হয় তা শেখালেন।
এবং অবশ্যই তাকে “ওহ ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন“ ডাকতে বললেন। হিহিহি।
১৯৮৯ সালে নির্মিত পিটার উইয়ারের “ডেড পুয়েটস সোসাইটি“ আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর সিনেমাগুলোর মাঝে অন্যতম। এই সিনেমাতে শিক্ষক কিটিংসের চরিত্র অভিনয় করেছেন রবিন উইলিয়ামস। আহারে অভিনয়! যেন বাস্তবতাকে ছাপিয়ে সিনেমাতে অভিনয় করা মিস্টার কিটিংসই রয়ে যাবেন নিজের প্রিয় শিক্ষকের তালিকায়। উত্তেজনা আর বেদনায় ঘেরা আমেরিকান এই ড্রামাটিক সিনেমাটি বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিন প্লে এর জন্যে সেবার অস্কার পর্যন্ত জয় করেছিল।
©somewhere in net ltd.